নিজস্ব প্রতিবেদন:  “আমরা পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি। হাইকোর্টের আজকের নির্দেশ মতো, আমরা সিঙ্গল বেঞ্চে যাব না সুপ্রিম কোর্টে যাব, তা শীঘ্রই  ঠিক করব।” শুক্রবারের হাইকোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া বিজেপিনেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। এদিন প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে বিজেপির রথযাত্রা মামলাটি ফের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ঘরে ফেরান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই প্রসঙ্গে বিজেপিনেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “হাইকোর্ট আবার আপনারা সিঙ্গল বেঞ্চে যেতে বলল। আমরা পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি। রাজ্য সরকার যেমনভাবেই হোক যাত্রা আটকানোর চেষ্টা করছে।  আমরা সিঙ্গল বেঞ্চে যাব না সুপ্রিম কোর্টে যাব, তা আমরা শীঘ্রই ঠিক করব।  আমরা আমাদের আগামি দিনের কর্মসূচি জানাব। দু একদিনের মধ্যে জেনে যাবেন, আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি কিনা।”


আরও পড়ুন: বিশ বাঁও জলে বিজেপির রথযাত্রা, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে স্থগিতাদেশ


অন্যদিকে, এদিনের হাইকোর্টের নির্দেশের পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন,  “ আইনি লড়াই চলতে থাকবে। আমরা এবার রাস্তায় নেমে আন্দোলন করব। ব্লকে ব্লকে, গ্রামে গ্রামে আন্দোলন হবে। এটা সিরিয়াল প্রোগাম ছিল। বিকল্পভাবনা রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, "আমাদের মনোবল অটুট আছে। আমাদের বিকল্প রাস্তা ভাবাও আছে। বাকি কার্যসূচি আইন অমান্য, জেলায় জেলায় সভা হচ্ছে। আমাদের উদ্দেশ্য মানুষের কাছে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরা। যেদিন কোর্ট অনুমতি দেবে সেদিন রথযাত্রা করবো।'' শনিবার রামপুরহাটে তিনি আইন অমান্য ও সভা করবেন দিলীপ ঘোষ। 


প্রসঙ্গত, রথযাত্রা নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ আপাতত বাতিল করে দেন  হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত।  মামলা ফের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ঘরে  ফেরালেন তিনি।  ফলে আরও একবার বিশ বাঁও জলে বিজেপির রথযাত্রা। কারণ শনিবার থেকে হাইকোর্টে এক সপ্তাহের জন্য শীতকালীন ছু টি শুরু হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এবছরের শেষে বিজেপি আদৌ রথযাত্রা বার করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।  


সওয়াল জবাবের সময়ে এদিন প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “সব রিপোর্ট খতিয়ে না দেখে কী করে রায়?” প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, এবার সব গোয়েন্দা রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে হবে।


আরও পড়ুন: বড় জয় বিজেপির, রাজ্যের নির্দেশ খারিজ করে রথযাত্রার অনুমতি দিল হাইকোর্ট


প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার  রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দিয়ে বিজেপির রথযাত্রার অনুমতি দেয় বিচারপতি তপোব্রত চক্রোবর্তীর সিঙ্গর বেঞ্চে। শর্তসাপেক্ষে রথযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয় বিজেপিকে।


রথযাত্রায় সায় দিয়ে আদালত  ছিল কিছু শর্ত। বিজেপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যেখানে রথ বেরোবে, তার ১২ ঘণ্টা আগে স্থানীয় প্রশাসনকে জানাতে হবে। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। কোনও ক্ষয়ক্ষতি হলে তার দায় বিজেপিকে নিতে হবে। রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আইন শৃঙ্খলা বজায় পর্যাপ্ত পুলিস কর্মী মোতায়েন করতে হবে প্রশাসনকে। তারপরই প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয় রাজ্য।