নিজস্ব প্রতিবেদন : তিনি রত্নগর্ভা। সারা দেশ আজ একডাকে চেনে তাঁর ছেলেকে। আর তাঁকে চেনে সেই কীর্তিমান সন্তানের মা হিসেবে। তিনি অসীমা রানি কুমার। বিজ্ঞানী চন্দ্রকান্ত কুমারের মা। ৭ সেপ্টেম্বরের গভীর রাতে চাঁদের মাটি ছোঁবে ল্যান্ডার বিক্রম। চন্দ্রযান-২ অভিযান ঘিরে সারা দেশজুড়ে এখন উন্মাদনা তুঙ্গে। উৎকণ্ঠার আঁচ হুগলির গুড়াপে বিজ্ঞানী চন্দ্রকান্ত কুমারের গ্রামের বাড়িতেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


২২ জুলাই চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে চন্দ্রযান-২। নানা পর্যায় পেরিয়ে ৪৮ দিনের মাথায় ৭ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে চাঁদের বুকে অবতরণ করবে ল্যান্ডার বিক্রম। রাত ১টা ৪০ থেকে ১টা ৫৫-র মধ্যে চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং করার কথা বিক্রমের। এখন তাই শেষ মুহূর্তের কাউন্টডাউন। ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের মাটিতে পালকের মতো নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তৈরি হবে ইতিহাস। কারণ এখনও পর্যন্ত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কোনও অভিযান হয়নি। আর সেখানে ভারতই হবে প্রথম দেশ, যে এই সাফল্যের অধিকারী হবে। যার মুকুটে এই পালক জুড়বে। তবে ইসরো প্রধান ড. কে শিবনের কথায়, শেষের এই পর্যায়টাই হচ্ছে সবচেয়ে জটিল ও কঠিন ধাপ।


আরও পড়ুন, কীভাবে 'ব্রেক কষে' চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে বিক্রম? দেখে নিন ইসরোর ভিডিয়ো


তবে মনে কোনও ভয়, দুশ্চিন্তাকে ঠাঁই দিচ্ছেন না কুমার দম্পতি। ঘরের ছেলের সাফল্য কামনায় সকাল সকাল উঠেই পুজো দিয়েছেন অসীমা রানি দেবী। ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রযান অভিযানের ডেপুটি প্রোজেক্ট ডিরেক্টর গুড়াপের চন্দ্রকান্ত কুমার। তাঁর ডিজাইন করা অ্যান্টেনার মাধ্যমেই চন্দ্রযান-২-এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এদিন জি ২৪ ঘণ্টাকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আবেগে চোখের জল বাঁধ মানল না অসীমা রানি দেবীর। বার বার আঁচলের খুঁট দিয়ে চোখ মুছতে থাকলেন।


ছেলের বিয়ের অ্যালবাম হাতে স্মৃতিচারণায় উঠে এল অতীত দিনের কথা। একান্ত সাক্ষাৎকারে অসীমা দেবী বলেন, "ছেলেকে অনেক কষ্ট করে বড় করেছি। ঠিকমতো খেতে দিতে পারিনি। একটা বুট চেয়েছিল, তখন দিতে পারিনি।" সেদিন কিছু না ভেবেই বড় ছেলের নাম 'চন্দ্রকান্ত' রেখেছিলেন হুগলির গুড়াপের মধুসূদন কুমার ও অসীমা দেবী। সেই ছেলের জীবনের সঙ্গে চাঁদ যে এভাবে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যাবে, নামকরণের সময়ে তা স্বপ্নেও ভাবেননি কুমার দম্পতি।