নিজস্ব প্রতিবেদন : সবাই মিলে দলবেঁধে বিয়েবাড়িতে গিয়েছিল। কিন্তু সেই আনন্দের রাতই বদলে গেল বিষাদে। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন একই পরিবারের ৬ জন। অভিশপ্ত রাতের স্মৃতি নিয়ে বেঁচে রয়েছেন সহ মাত্র ২ জন। যার মধ্যে এক শিশু রয়েছে। হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছে ২ জনই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় মৃত একই পরিবারের ৬ জন মালবাজারের ওদলাবাড়ির দেবীপাড়ার বাসিন্দা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন অনিতা সিং (৩২), মেয়ে প্রিয়াঙ্কা সিং (১৭), মেয়ে রিতিকা সিং (৫), রাজেস মিস্ত্র জামাই (৩০), রেনু মিস্ত্র (২৬) ও লক্ষী সিং (৬০)। আর গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই পরিবারেরই শিশু রিরেস মিস্ত্র (৭) এবং যুবক অজয় সিং (২৫)-এর। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাড়ি বন্ধ অবস্থায় পড়ে। কাউকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। জানা গিয়েছে, বাড়ির ৮ সদস্য ময়নাগুড়িতে আত্মীয়ের বাড়ি বিয়ের নিমন্ত্রণে গিয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে সেখান থেকে তিনটি ছোট গাড়ি করে ধূপগুড়িতে বউভাতের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। সেইসময়ই জলঢাকা সেতুর কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রাণ হারিয়েছেন মোট ১৪ জন।


পাথরবোঝাই ১০ চাকার ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় ৩টি গাড়ির উপর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৪ জনের। বাকি ৯ জনের ধূপগুড়ি হাসপাতালে মৃত্যু হয়। একজনের মৃত্যু হয় জলপাইগুড়িতে। আহত হয়েছেন আর ১০ থেকে ১২ জন। এদিন সকালে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। পরে আহতদের দেখতে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল যান পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ইতিমধ্যেই মৃত ও আহতদের পরিবারের প্রতি আর্থিক সাহায্য় ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র।


আরও পড়ুন, Jalpaiguri Accident : মৃতদের পরিবারকে আড়াই লাখ করে অর্থ সাহায্য রাজ্য সরকারের


'ভোটে আমাকে হারাতেই সারানো হচ্ছে না রাস্তা,' ফের 'বেসুরো' প্রবীর ঘোষাল