Jalpaiguri: বিজেপিতে ফের ভাঙন, পুরভোটের আগেই `ঘর ওয়াপসি` জেলা সহ-সভাপতির
দলীয় সূত্রে খবর, বিধানসভার টিকিট না মেলায় বেড়েছিল ক্ষোভ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জলপাইগুড়ি বিজেপিতে ভাঙন। পুরসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে ঘর ওয়াপসি বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি ধরতি মোহন রায়ের। দলীয় সূত্রে, বিভিন্ন কারণে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়ছিল। মেলেনি বিধানসভার টিকিটও। ধরতি মোহন রায়ের অভিযোগ, পদ্ম শিবিরে কার্যত নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছিল তাঁকে।
রবিবার বিকেলবেলা তৃণমূল জেলা সভাপতি মহুয়া গোপের উপস্থিতিতে জলপাইগুড়ি তৃণমূল ভবনে জেলার চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায়ের হাত থেকে ফের তৃণমূলের পতাকা নিলেন একদা তৃণমূল নেতা তথা জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ধরতিমোহন রায়।
আরও পড়ুন, Bankura: BJP-তে জারি 'হোয়াটসঅ্যাপ বিদ্রোহ', এবার গ্রুপ ছাড়লেন বাঁকুড়ার ৪ বিধায়ক
এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে ধরতি বাবু বলেন, ''তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবার পেছনে অবশ্যই কিছু কারন ছিল। কিন্তু বিজেপিতে থাকাকালীন আমাকে একপ্রকার নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছিল। গুরুত্বহীন ছিলাম। এছাড়া তৃণমূল ছাড়ার পরেও দলের পক্ষ থেকে সব সময়ই যোগাযোগ রাখা হয়েছিল।''
ঘটনায় জেলা বিজেপি নেতা অলোক চক্রবর্তী জানান, ধরতিমোহন বাবু তৃণমূলে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। তাই তিনি বিজেপিতে যোগ দেবার পরও আমরা তাঁকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে জেলার সহ-সভাপতি পদে নিয়েছিলাম। কিন্তু ওনার ধারণা ছিল তাঁকে বিজেপি বিধানসভার প্রার্থী হিসেবে টিকিট দেওয়া হবে। দলে এইভাবে টিকিট দেওয়া হয়না। টিকিট না পেয়ে দলের কাজ থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন। আজ জানতে পারলাম তিনি তৃনমূলে যোগ দিয়েছেন। তবে উনি দল ছেড়ে চলে যাওয়ায় দলের কোনও ক্ষতি হবে না।
উল্লেখ্য, গত (২০১৬) বিধানসভা নির্বাচনে ধরতি মোহন রায় জলপাইগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে লড়াই করেন। সেই সময় তার বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন ডঃ সুখবিলাস বর্মা। সেই নির্বাচনে পরাজিত হয়ে তিনি অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূলের একাংশ কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁকে হারিয়েছে। তারপরেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।