নিজস্ব প্রতিবেদন: নিহত মেয়ের সন্তানদের খোঁজে বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ পরিজনদের। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ বিডিও অফিসের সামনে। ডলি রায় নামে নিহত ওই মহিলার বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, মেয়েকে খুনের পর তাঁর সন্তানদের গায়েব করে দিয়েছে অভিযুক্ত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পণের দাবি না মেটানোয় গত বুধবার ডলি রায় নামে ওই গৃহবধূকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর দেহ  তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। 


এর পরই ডলিদেবীর সন্তানদের খুঁজে দেওয়ার দাবিতে রাজগঞ্জ বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বাপের বাড়ির লোকজন। তাঁদের প্রশ্ন, সন্তানদের না-পেলে মুখাগ্নি করবে কে? মৃতের বাপের বাড়ির দাবি, মাকে কী করে খুন করা হয়েছে তা শিশু দু'টি জানে। তাই তাদের সরিয়ে রাখা হয়েছে। 


বাপের বাড়ি থেকে টাকা না আনায় স্ত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল স্বামী


রাজগঞ্জের বিডিও প্রেমা শেরপা বিক্ষোভের কথা স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছেন, আমি ওই সময় অফিসের কাজে বাইরে ছিলাম। তবে শিশুরা এখন কার হেফাজতে থাকবে তা নিয়ে আইনগত জটিলতা রয়েছে।  ঘটনা শুনেছি। যেহেতু ডলি দেবীর শ্বশুরবাড়ি জলপাইগুড়িতে। আর জলপাইগুড়ি আমার এক্তিয়ারে পড়ে না। তাই ঘটনাটি আমি এসডিও (সদর)-কে জানিয়েছি।


ঘটনায় জলপাইগুড়ির পুলিস সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, শিশু নিখোঁজের ঘটনার তদন্তে নেমে আমরা ওই শিশু দু'টির খোঁজে তল্লাসি চলছে। শুক্রবার রাতে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত কৃষ্ণ রায় সম্পর্কে ডলির স্বামী রবি রায়ের জামাইবাবু। ফলে ঘটনায় গ্রেফতারি বেড়ে হল ৪। আশা করছি জলদি শিশু দু'টির হদিস পাবো।


বিক্ষোভের পর শুক্রবার সন্ধায় ডলিদেবীর দেহ রাজগঞ্জ শ্মশানে দাহ করা হয়। মেয়ের মুখাগ্নি করেন বাবা দীনেশ সাহা।