`ON পথশ্রী WORK,` সরকারি প্রকল্পের স্টিকার সাঁটা ডাম্পারেই বালি পাচার!
জলঢাকা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তুলে পথশ্রী স্টিকার সাঁটিয়ে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে বালি পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। দুটি ডাম্পার আটকানোর পাশাপাশি গ্রেফতার দুই চালকও।
প্রদ্যুৎ দাস: "ON পথশ্রী WORK" প্রকল্পের স্টিকার সাঁটা গাড়িতে। সেই গাড়িতেই বালি পাচারের অভিযোগ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে। বেআইনিভাবে বালি উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে বার বার। এবার পথশ্রী প্রকল্পের স্টিকার সাঁটা ডাম্পারেরই বালি পাচার চলছিল বলে অভিযোগ। অভিযোগ, পথশ্রীর স্টিকার ডাম্পারে সাঁটিয়ে তার আড়ালেই চলছিল পাচার। পুলিসি অভিযানে আটক দুটি ডাম্পার।
জলঢাকা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তুলে পথশ্রী স্টিকার সাঁটিয়ে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে বালি পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। দুটি ডাম্পার আটকানোর পাশাপাশি গ্রেফতার দুই চালকও। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার সকালে অভিযান চালিয়ে "অন পথশ্রী ওয়ার্ক" স্টিকার লাগানো দুটি ডাম্পার গাড়ি আটক করে ময়নাগুড়ি থানার পুলিস। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি-ধূপগুড়ি ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের হুসলুডাঙা টোল গেট সংলগ্ন এলাকা থেকে গাড়ি দুটিকে আটক করে পুলিস। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
জানা গেছে, জলঢাকা নদী থেকে এই ডাম্পার দুটি অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে ময়নাগুড়ির দিকে আসার পথে আটক করে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, ধৃত দুই চালকের নাম বিরাজ বেরা (২৬) এবং গোপাল দাস (৩৭) । তাদের বাড়ি গয়েরকাটা এবং গোঁসাইহাট এলাকায়। তবে বালি বোঝাই ডাম্পার ধরা পড়লেও, কোথা থেকে কীভাবে পুলিসের চোখের সামনে দিয়ে বালি আনা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন উঠছে। কেন তাহলে বালি তোলার সময় নদীতে অভিযান চালিয়ে গাড়িগুলিকে আটকানো যাচ্ছে না? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। ঘটনার তদন্তে পুলিস।
আরও পড়ুন, Howrah Station: হাওড়া স্টেশনেই আদরের ছোট্ট গণেশের মুখেভাত! এমনটা এই প্রথমবার...