প্রদ্যুৎ দাস: ১৪ বছর বয়সী এক থ্যালাসেমিয়া রোগীর জন্য খুব দ্রুত 'এ' নেগেটিভ রক্তের প্রয়োজন হয় জলপাইগুরি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। বিষয়টি জানতে পেরে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই প্রয়োজনীয় রক্তের ব‍্যবস্থা করেন জলপাইগুড়ি জেলা পুলিস সুপার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিস সুপারের এই মানবিক দৃষ্টান্তের কথা ছড়িয়ে পরতেই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হচ্ছেন জলপাইগুড়ি শহরের সমাজকর্মী‌রা। যদিও বিষয়টি‌কে নিজের কর্তব্য বলেই মনে করেন জেলা পুলিস সুপার বিশ্বজিৎ মাহাত।


থ‍্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত এক নাবালকের জন্য রক্তের প্রয়োজনীয়তার কথা জানতে পেরে জলপাইগুড়ি মহিলা সঙ্ঘ সমিতির সেক্রেটারি সুচিত্রা সেনগুপ্ত ফোন করেন ফাইট ব্যাক কোভিড গ্রুপের কর্নধর তন্ময় সেনগুপ্তকে। এভাবেই বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে খোঁজ চলতে থাকে রক্তের।


আরও পড়ুন: Dooars: আর ট্রেনের ধাক্কায় বেঘোরে প্রাণ যাবে না হাতির...


যদিও অনেকটাই বিরল 'এ' নেগেটিভ রক্তের খোঁজ মিলছিল না কোথাও। জানা যায় ১৪ বছরের ওই রোগীর নাম সুখদেব রায়। সে সোনাউল্লা হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র। তার বাবা একজন ট্যাক্সি চালক। থ‍্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত সুখদেবকে সহযোগিতা করেন ব্লাড ব্যাঙ্কের সকলেই।


কিন্তু এই প্রয়োজনিয় রক্ত মিলবে কোথায়? শেষ পর্যন্ত বিষয়টি জানানো হয় জলপাইগুড়ি জেলা পুলিস সুপার‌কে। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই রক্তের ডোনারের হদিশ করে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে‌র ব্লাড ব‍্যাঙ্কে পাঠিয়ে দেন তিনি।


আরও পড়ুন: Bengal Weather Update: চৈত্রের পয়লা তারিখেই মরশুমের প্রথম কালবৈশাখি, স্বস্তি ফিরল বঙ্গে


জানা গিয়েছে রক্তদাতা নিজেও একজন পুলিস কর্মী। পুলিস সুপার জানান, জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে উৎসর্গ নামে একটি প্রকল্প রয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতি মাসেই রক্ত‌দান শিবিরের আয়োজন করা হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জেলা পুলিস কন্ট্রোল রুমে রক্ত‌দাতাদের ব্লাড গ্রুপের একটি তালিকা রয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী খোঁজ চালিয়ে দেখা যায় একজন পুলিস কর্মীর ওই গ্রুপের রক্ত রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে কল করে ব্লাড ব‍্যাঙ্কে পাঠিয়ে রক্তের ব‍্যবস্থা করা হয়।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)