নিজস্ব প্রতিবেদন: ভৌগলিক অবস্থানের বিচারে এক জন দক্ষিণবঙ্গের তৃণমূল নেতা, তো অন্যজন উত্তরবঙ্গের। চেহারা এবং আচরণেও ফারাক বিস্তর। তবে এত ফারাক থাকা সত্বেও স্রেফ হাতযশের (বা ক্যারিশ্মা) গুণই মিলিয়ে দিল বীরভূমের প্রবল প্রতাপশালী অনুব্রত মণ্ডল ওরফে 'কেষ্টা দা' ও জলপাইগুড়ির কৃষ্ণ দাসকে। পরিস্থিতি এমনই যে, দলীয় স্তরে এখন জলপাইগুড়ির রাজনৈতিক কর্মীরা এলাকার নেতা কৃষ্ণ দাসকে 'উত্তরবঙ্গের কেষ্টা দা' বলেই ডাকছেন। কিন্তু, হাঁক-ডাকহীন আপাত নীরিহ কৃষ্ণ দাসকে 'উত্তরবঙ্গের কেষ্টা দা' বলা হচ্ছে কেন?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উত্তর খুবই সহজ। বীরভূমের অনুব্রতর মতোই, জলপাইগুড়ির কৃষ্ণ দাসও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ‘জয়’ এনে দিয়েছেন দল তৃণমূলকে। অন্তত জলপাইগুড়ি কিংবা বীরভূমের বিরোধী মহলে কান পাতলে এমন গুঞ্জনই শোনা যাচ্ছে। আর তার জেরেই জলপাইগুড়ি বিরোধীদের কথাতেও, কৃষ্ণ দাস না কি উত্তরবঙ্গের ‘কেষ্ট দা’। 


আরও পড়ুন: LIVE : বাংলাদেশ থেকে লোক এনে ভোট লুটের চেষ্টা বিজেপির, অভিযোগ জ্যোতিপ্রিয়'র


জলপাইগুড়ির বারোপেটিয়া থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন কৃষ্ণ দাস। এখানে ১১ টা আসনের মধ্যে ১০ টা আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ‘জয়’ পেয়েছে তৃণমূল। বারোপেটিয়ার ১৮/১৬৩ নম্বর সর্দারপাড়া বুথ থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ‘জয়ী’ হয়েছেন কৃষ্ণেরই স্ত্রী স্বপ্না দাস। ফলে, ভোট হচ্ছে কেবলমাত্র ১৮/১৬২ মাছুয়াপাড়া বুথেই। আর এখানেই দাঁড়িয়েছেন স্বয়ং কৃষ্ণ। ফলে, এমনিতে বারোপেটিয়া মোটের উপর বিরোধীশূন্য হলেও লড়ছেন কৃষ্ণ দাস। তবে নিজের জয়ের ব্যাপারে এক প্রকার নিশ্চিত কৃষ্ণবাবু। সাত সকালে সস্ত্রীক ভোট দিতে এসে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েই এক গাল হেসে বললেন, ‘জয় এখন সময়ের অপেক্ষা।'


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বীরভূম জেলা পরিষদের ৪২ টি আসনের মধ্যে এবার ৪১ টি আসনেই কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না। ১৯ টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১৪টি কার্যত তৃণমূলের দখলে। বীরভূম জেলা পরিষদে কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ‘জয়’পেয়েছে তৃণমূল। আর এই ক্যারিশ্মার নেপথ্যে যে তাঁর নতুন ‘ট্যাবলেট’ ফর্মুলাই সফল হয়েছে, তা নিজেই জি ২৪ ঘণ্টাকে জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।


তবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় 'জয়ী' হলেও সুপ্রিম নির্দেশে এই ‘জয়’-এর ভবিতব্য এখন অনিশ্চিত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আগামী ৩ জুন পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী প্রার্থীদের নাম নির্বাচনের গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা যাবে না। ৩ জুন, ফের ই-মনোনয়ন সংক্রান্ত মামলার শুনানি। সেদিন এই বিষয়ে ফের নির্দেশ দিতে পারে আদালত। উল্লেখ্য, সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে যে সকল প্রার্থীদের নাম বেরোবে, তাঁরাই কেবল বোর্ড গঠনে অংশ নিতে পারবেন।