Jalpaiguri: উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী জল্পেশ মন্দিরে শুরু শ্রাবণী মেলা...
Jalpaiguri Jalpesh Temple: এসে গেল শ্রাবণ। এসে গেল জল্পেশবাবার পুজোর লগ্নও। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা এসে এ সময়ে জলপাইগুড়ি তিস্তা নদীতে পুণ্যস্নান করে জল্পেশ মন্দিরে যান। রাজ্যের পাশাপাশি অসম-সহ অন্যান্য জায়গা থেকেও ভক্ত সমাগম লক্ষ্য করা গেল এবার।
প্রদ্যুত দাস: এসে গেল শ্রাবণ। এসে গেল জল্পেশবাবার পুজোর লগ্নও। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা এসে এ সময়ে জলপাইগুড়ি তিস্তা নদীতে পুণ্যস্নান করে জল্পেশ মন্দিরে যান। রাজ্যের পাশাপাশি অসম-সহ অন্যান্য জায়গা থেকেও ভক্ত সমাগম লক্ষ্য করা গেল এবার। ভক্তদের জন্য রয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের তরফে সমস্ত ব্যবস্থা। রয়েছে জেলা পুলিসের কড়া নিরাপত্তা-সহ সব রকমের সুযোগসুবিধা। সিসি ক্যামেরায় নজরদারির পাশাপাশি মোতায়েন থাকছে সাদা পোশাকের পুলিসও।
আজ শ্রাবণের প্রথম সোমবার। আর রবিবার থেকেই জল্পেশ মন্দিরে শুরু হয়েছে শ্রাবণী উৎসব। প্রতি বছরের মতো এবারও জল্পেশে শিবের জন্মমাস উপলক্ষে শ্রাবণে শুরু হল এই উৎসব। এদিন ভুটান, নেপাল, উত্তরবঙ্গ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে পুণ্যার্থীরা আসেন বাবার মাথায় জল ঢালতে। এক মাস জুড়ে চলে এই উৎসব এবং শ্রাবণী মেলা। এবারেও চলবে।
এই মেলা ঘিরে প্রচুর দোকানপাট বসে এখানে। শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে এবার নিরাপত্তার উপর খুবই জোর দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তায় রাজ্য পুলিসের কর্মীরা ছাড়া থাকবেন সিভিক ভলেন্টিয়ার, সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। সাদা পোশাকের পুলিসও থাকছে এই মেলায়। প্রতিটি গেটেই লাগানো হয়েছে মেটাল ডিটেক্টর ও সিসিটিভি ক্যামেরা। করোনার ঠিক পরের কয়েক বছর ভক্তেরা জল্পেশ মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারেননি। এবার তাঁরা সেটা পারবেন। যদিও কিছু সরকারি নিয়মকানুন থাকছেই। মূল গেটে লাগানো হয়েছে স্বয়ংক্রিয় সেন্সর মেশিন। এই গেট দিয়ে ৫০ জন করে পুণ্যার্থীরা ভিতরের প্রবেশ করতে পারবেন। স্বয়ংক্রিয় মেশিন দ্বারাই গেটটি বন্ধ হয়ে যাবে। পুণ্যার্থীরা যাতে ভালো করে জল ঢালতে পারে এবং ভিড় এড়ানো যায় তার জন্য এই ব্যবস্থা বলে জানান মন্দির কমিটির সম্পাদক। সেই সঙ্গে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকেও থাকবে তাদের নিজস্ব ভলান্টিয়ারের দল।
মন্দিরে জল ঢালতে আসা পুণ্যার্থীদের একজন বলেন, এবারে জল ঢালতে পুণ্যার্থীদের কোনও রকম অসুবিধা হয়নি। সকলেই খুব সুন্দর ভাবে বাবার মাথায় জল ঢালতে পারছেন। তাঁরা খুশি এত বছর পরে সরাসরি বাবার মাথায় জল ঢালতে পারছেন বলে।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: ইংরেজিতে ফেল করেছিলেন, বেচতেন দুধ! কোন ম্যাজিকে তিনিই হয়ে গেলেন আইপিএস অফিসার?
পুলিসসূত্রে খবর, জল্পেশ মন্দির-লাগোয়া পুকুর চত্বরে মোতায়েন রয়েছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন সিভিল ডিফেন্সের কর্মী। সঙ্গে রয়েছে মহিলা ও পুরুষ পুলিস। কেউ যাতে নদীতে বা পুকুরে ডুবে না যান, থাকছে তার প্রতিরোধের বা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাও। যাতে কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সকলেই তার প্রতি সতর্ক নজর রেখেছেন তাঁরা।