নিজস্ব প্রতিবেদন : কচুয়ায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ঘিরে উঠল 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান। মন্দির কমিটির সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরিয়ে আসার পরই বিক্ষোভের মুখে পড়েন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পুণ্যার্থী থেকে স্থানীয়রা। সেইসময় ওই ভিড়ের মধ্যে থেকেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে উদ্দেশ করে 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান ওঠে। কোনওরকমে বিক্ষোভ এড়িয়ে গাড়িতে উঠে যান খাদ্যমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


প্রসঙ্গত,  জন্মাষ্টমী উপলক্ষে লোকনাথের মাথায় জল ঢালতে এবার কচুয়ায় রেকর্ড ভিড় হয়। সঙ্গে ছিল তুমুল বৃষ্টি। একদিকে রেক্ড ভিড়, অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ভিড়ের চাপে রাত ৩টে নাগাদ ধসে পড়ে মন্দিরের পাশের পাঁচিল। প্রবল ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় অপর্ণা সরকার, পূর্ণিমা গড়াই ও তরুণ মণ্ডলের। আহত হন কমপক্ষে ১৬ জন। আহতদের ন্যাশনাল মেডিক্যাল ও এসএসকেএম-এ নিয়ে আসা হয়।


পরে হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালে দাঁড়িয়েই মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লাখ টাকা ও আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। অন্যদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই কচুয়ায় যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। লোকনাথ মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় মন্দির কমিটিকেই দোষারোপ করেছেন মন্ত্রী।


আরও পড়ুন, মিড-ডে মিলে এবার ডিমের সঙ্গে মাছ-চাটনি-পোস্তও, মেনু নির্দিষ্ট করে দিল রাজ্য সরকার


তিনি বলেন, মন্দিরের ভিতরে তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব ছিল কমিটির। স্টলগুলি থেকে টাকা পায় কমিটি। এখন রাস্তার ধারে অস্থায়ী স্টল বসানোর অনুমতি তাদের কে দিল? তা নিয়ে এদিন প্রশ্ন তোলেন মন্ত্রী। একসঙ্গে ১০ হাজার মানুষ মন্দিরে ঢুকতে গিয়ে বিপত্তি ঘটেছে বলেও জানান তিনি। পরের বছর থেকে এক-একজন করে মন্দিরে ঢোকার ব্যবস্থা করার কথা বলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।


কী কারণে দুর্ঘটনা? তদন্তে উঠে এসেছে ৪টি কারণ। কী কী?
১) ১২ ফুটের সরু রাস্তা। তার পাশেই পুকুর। আবার সেইসঙ্গে রাস্তার ধারে দোকান। যার ফলে রাস্তা হয়ে গিয়েছে আরও সরু।
২) সরু রাস্তা দিয়েই হাজার হাজার পুণ্যার্থী যাতায়াত করছেন। মাঝে কোনও ডিভাইডার নেই।
৩) রাতে বৃষ্টি হচ্ছিল। পাঁচিল ভাঙার পর মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আশ্রয়ের খোঁজে এদিক ওদিক ছুটতে থাকে সরু জায়গায়।
৪) পুলিস ও মন্দির কমিটির মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে কোনও সঠিক তদারকি ব্যবস্থা ছিল না।