Jharkhand MLA Arrested: রাজনৈতিক লাভের জন্য ফাঁসিয়ে দিলেন দিদি, ছাড়া পেয়ে মমতাকে নিশানা ঝাড়খণ্ডের বিধায়কের
শনিবার জেলে থেকে বের হতেই ইরফান আনসারিকে ঘিরে ধরে একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকেন সাংবাদিকরা। ওই টাকা উত্স কী? অসমে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিলা কিনা? মধ্য কলকাতার একটি হোটেলে তাঁদের যাওয়া ও সেখানে টাকা ব্যাগ নিয়ে তাদের কাছে এক যুবকের আসার বিষয় নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন করা হয়
দেবব্রত ঘোষ: গত ৩০ জুলাই হাওড়ার পাঁচলায় ৪৯ লাখ টাকা-সহ গ্রেফতার হন ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক। সেই সময় তাঁদের দাবি ছিল আদিবাসী উত্সবের জন্য বড়বাজার থেকে শাড়ি কিনতে এসেছিলেন তাঁরা। সেই জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে তাদের গ্রেফতার করে হাওড়া পুলিস। পরে ওই মামলার তদন্তভার নেয় সিবিআই। বেরিয়ে আসে ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলার তত্ত্ব। সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে থেকে জামিন পান রাজেশ কাশ্যপ, নমন দীক্ষিত ও ইরফান আনসারি। শনিবার তাদের মধ্যে হাওড়া সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পান কংগ্রেস বিধায়ক ইরফান আনসারি। ছাড়া পেয়ে ওই গ্রেফতারকে তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন। সাফ জানিয়ে দেন, উদ্ধার হওয়া টাকাতে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। দিদিকে সম্মান করি। গোটা ব্যাপারটা একেবারেই ভালো লাগেনি আমাদের।
আরও পড়ুন-Jharkhand MLAs Arrested: পাঁচলায় ৪৯ লাখ টাকা-সহ আটক ৩ বিধায়ককে গ্রেফতার করল পুলিস
শনিবার জেলে থেকে বের হতেই ইরফান আনসারিকে ঘিরে ধরে একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকেন সাংবাদিকরা। ওই টাকা উত্স কী? অসমে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিলা কিনা? মধ্য কলকাতার একটি হোটেলে তাঁদের যাওয়া ও সেখানে টাকা ব্যাগ নিয়ে তাদের কাছে এক যুবকের আসার বিষয় নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন করা হয়। সেসব প্রশ্নের জবাব না দিয়ে ইরফান আনসারি বলেন, আদালত মনে করেছে আমরা নির্দোষ। আমাদের কাছে যে টাকা ছিল তা শাড়ি, ফুটবল কেনার জন্য এনেছিলাম। ৯ আগস্ট আমরা ধুমধাম করে আদিবাসী দিবস পালন করি। তার জন্যই ওইসব উপহার কিনতে এসেছিলাম। আমাদের ভুল হল তিন বিধায়কের টাকা এক জায়গাতেই ছিল। ওই টাকার ব্যাখ্যা এভাবে করা হবে ভাবতে পারিনি। আমি মমতা দিদিকে এটাই বলব, আমরা কংগ্রেসের সৈনিক। আমি সংখাযলঘু হজ কমিটির চেয়ারম্যানও। যে ভাবে আপনারা ওই টাকাতে রাজনৈতিক রং দিয়ে ফাঁসালেন তাতে আমার ভালো লাগেনি। মমতা দিদিকে আমি সম্মান করি। শুধুমাত্র রাজনৈতির লাভের জন্য আমাদের ফাঁসিয়ে দেওয়া হল। এটা একেবারেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। আমার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগাযোগ নেই। আমার বাবাও ৩০ বছর বিধায়ক ছিলেন। আমার সঙ্গে এক বিধায়ক ছিলেন যিনি খ্রিষ্টান সমাজের প্রতিনিধি। আমরা কেন বিজেপিতে যাব?
কংগ্রেসের ওই ৩ বিধায়ক গ্রেফতারের পরই ঝাড়খণ্ডের আরগোড়া থানায় একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন রাজ্যের আর এক কংগ্রেস বিধায়ক কুমার জয়মঙ্গল সিং। তিনি অভিযোগ করেন, পাঁচালয় ধৃত ওই ৩ কংগ্রেস বিধায়ক তাঁকে কলকাতায় যেতে বলেছিলেন। পরিকল্পনা ছিল অসমে গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা হবে। বর্তমানে ঝাড়খণ্ডে যে জোট সরকার রয়েছে সেই সরকারকে উত্খাত করার পরিকল্পনা করেছিলেন ওই ৩ বিধায়ক। এর জন্য প্রত্যেক বিধায়ককে ১০ কোটি টাকা অফার করা হয়। পাশাপাশি দেওয়া হয় মন্ত্রিত্বের টোপও। সেই টোপ তাঁকেও দেওয়া হয়। ওই তিনজন বলেছিলেন কলকাতায় আসতে। সেখানে থেকে সবাই মিলে অসমে গিয়ে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়া হবে। নতুন সরকার গঠন হলে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হবে। ওই ধরনের অনৈতিক কাজ করতে তিনি চাননি তাই পুলিসে অভিযোগ করেছেন।