নিজস্ব প্রতিবেদন: সকালে স্মার্ট সিটির অনুদানে আসানসোলকে বঞ্চনার অভিযোগে চিঠি দিয়েছেন। এনিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম বাংলার রাজনীতি। বিকেলে একটি সভায় দাঁড়িয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারি বললেন,'আসানসোলের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার জন্য প্রয়োজন হলে চেয়ার ছাড়তেও রাজি।' কী ইঙ্গিত দিলেন জিতেন্দ্র? স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের। মঙ্গলবার কলকাতায় তাঁকে বৈঠকে ডেকে পাঠিয়েছে তৃণমূল। বৈঠকে কি থাকবেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নে মাথা নেড়ে সায় দিয়েছেন আসানসোল পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সকাল থেকে তাঁর চিঠি নিয়ে চড়েছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ। ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কথার লড়াইও চলেছে। বিকেলে জিতেন্দ্র তিওয়ারি একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে বলেন,'আসানসোলের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার জন্য প্রয়োজন হলে চেয়ার ছাড়তেও রাজি।' কারও নাম না নিয়ে জিতেন্দ্র মন্তব্য করেন,'কলকাতায় বসে কেউ ভাববেন তোমাকে চেয়ার দিয়েছি তুমি চেয়ারে বসো। তোমাকে গাড়ি দিয়েছি, নিরাপত্তা দিয়েছি আরও সুযোগসুবিধা দিয়েছি কিন্তু আসানসোলের কথা তুমি বলতে পারবে না। কলকাতার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারবে না। তাহলে আমি বলব, এরকম চেয়ার, গাড়ি, সিকিউরিটি কিছু দরকার নেই। এখানকার মাটির মানুষ যা চাইবে, সেটাই করব।' 


আসানসোল-বাসীর সঙ্গে রাজ্য সরকারে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে এ দিন কড়া ভাষায় চিঠি দেন  আসানসোল পুরসভার প্রাক্তন মেয়র, এখন প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ২০১৫ এ মোদী সরকার স্মার্ট সিটি প্রকল্প ঘোষণা করে। রাজ্য তাতে যোগ দেয়নি। এ নিয়ে জিতেন্দ্র লিখেছেন, কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক আসানসোলকে স্মার্ট সিটি প্রকল্পের জন্য বেছে নেয়। আপনারা অনুমতি দিলে শহরের উন্নয়নে ২ হাজার কোটি টাকা আসত। রাজনৈতিক কারণে সরকার ছাড়পত্র না দেওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্যও আসানসোল কেন্দ্রের কাছ থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা পেতে পারত যা আপনারা অনুমতি দেননি বলে পাওয়া যায়নি। আসানসোলের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও সরাসরি আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ করে জিতেন্দ্র লিখেছেন, স্মার্ট সিটির বদলে রাজ্য সরকার টাকা দেবে বলে আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে তা দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন রাস্তা, টাউন হল সংস্কারের মতো প্রকল্পেও রাজ্য সরকার ছাড়পত্র দেয়নি। ওই চিঠির প্রেক্ষিতে ফিরহাদ হাকিম প্রতিক্রিয়া দেন,'আমরা কোনটা পারব কোনটা পারব না। সেটা আমার সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। চিঠি দেওয়া অত্যন্ত খারাপ। আমার সঙ্গে কথা বলতে পারতেন।' 


আরও পড়ুন- শিরাকোলে হামলার পর কৈলাস বিজয়বর্গীয়-র নিরাপত্তায় দেওয়া হল বুলেট প্রুফ গাড়ি