নিজস্ব প্রতিবেদন: আমফানের ত্রাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তালিকা তুলে নাম বিজেপিকে নিশানা করলেন জ্যোতিপ্রিয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার তিনি বলেন,  গত কয়েকদিন ধরে বিশেষ করে উত্তর ২৪ পরগনার বিজেপি নেতারা কী বলতে হয়, কী হয় না সে সব ভুলে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস একাই দুর্নীতি করেছে। আর কেউ দুর্নীতিগ্রস্ত নয়। আমরা এটা সাহস করে বলতে পারি যে আমরা একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা তার কর্মীকে শাসন করতে পারি। তার নেতাকে শাসন করতে পারি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি। এটা তৃণমূল কংগ্রেসের আছে। আর কোনো রাজনৈতিক দলে নেই।



আরও পড়ুন-টোটোয় বিস্ফোরণ, ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেল বসে থাকা ব্যক্তির দেহ!


জ্যোতিপ্রিয় বলেন, আমি তিনটে জায়গার কথা উল্লেখ করছি। অনেক আছে। আগামী কাল-পরশু আবার প্রেস করব ধাপে ধাপে। গাইঘাটা বিধানসভার ধরমপুর দু'নম্বর অঞ্চলে  নীলাদ্রি ঢালী, ভোলানাথ বিশ্বাস, প্রদীপ দেব নাথরা এরা প্রত্যেকেই টাকা নিয়েছে। কারও বাড়ি ভাঙেনি। সব আত্মীয়-স্বজন দের পাইয়ে দিয়েছে। এরা বিজেপির বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের কলিয়ারা দু নম্বর অঞ্চলের মানুষ। এটা বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত। এর সঙ্গে বিজেপি নেতা অমৃত বিশ্বাস, বিভা মজুমদার, এরা যুক্ত।


এছাড়াও, জ্যোতিপ্রিয়র অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্য জিতু বিশ্বাস সাতখানা ঘর নিয়েছে(২০,০০০ করে), কিশোর বিশ্বাস উপপ্রধান দুটি ঘর নিয়ে নিজের আত্মীয়কে দিয়েছে, ক্রিস্টি বিশ্বাস পঞ্চায়েত সদস্য চারটে ঘর নিয়েছে, সমীর মন্ডল পঞ্চায়েত সদস্য পাঁচটি ঘর নিয়েছে, পিন্টু বিশ্বাস পঞ্চায়েত সদস্য পাঁচটা ঘর নিয়েছে, পঞ্চায়েত সদস্য অনামিকা বিশ্বাস তিনটি ঘর নিয়েছে, পঞ্চায়েত সদস্য রিতা ঘরালু পাঁচটি ঘর নিয়েছে, পঞ্চায়েত সদস্য সরস্বতী বিশ্বাস পাঁচটি ঘর নিয়েছে।


আরও পড়ুন- করোনামুক্ত হল ঝাড়গ্রাম, এদিকে কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত ২৩৮ জন, মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছুঁইছুঁই! 


জ্যোতিপ্রিয় বলেন,  বিজেপি কী স্টেপ নেবে নিক। আমরা সমস্ত কাগজ পুলিশকে দেব। আমরা যেমন আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে স্টেপ নিচ্ছি, বিজেপিও তাই  করুক। আপনাদের তালিকা দিয়ে দিলাম। বিজেপির ক্ষমতা দেখি। থানা নয়, আগে প্রশাসনিক লেভেলে তদন্ত হোক। দল কী করে দেখব ।