কোভিডবিধি মেনেই শুরু ঐতিহ্যবাহী জয়দেবের মেলা, পুণ্যার্থীদের ভিড়
এবছর জয়দেব মেলায় তুলনামূলক ভাবে পুণ্যার্থীর সংখ্যা অনেকটাই কম। তবে প্রশাসনের তরফে সবরকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মকর সংক্রান্তিতে(Makar Sankranti) হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পুণ্য অর্জনের রীতি যুগের পর যুগ ধরেই চলে আসছে। একদিকে রাজ্যে গঙ্গাসাগর (Gangasagar), অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে(Uttar Pradesh) পুণ্যার্থীদের গঙ্গাস্নান। সব মিলিয়ে ফের একবার উৎসবে সামিল দেশ। এরই মাঝে আজ থেকে শুরু হল বীরভূমের ঐতিহ্যবাহী জয়দেব(Joydev) কেন্দুলি মেলা(Kenduli Mela)।
সকাল থেকেই অজয় নদীতে(Ajoy River) স্নান করে জয়দেব মন্দিরে পুজো দিতে ভিড় জমিয়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীরা। ভিড় রয়েছে বেশ চোখে পড়ার মতই। তবে নির্দিষ্ট কোভিড বিধি মানার কথা বলা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। এবার মেলায় বাউল (Baul), ফকিরদের আখড়া তেমন বেশি না থাকলেও, মানুষের জয়দেব মেলা(Joydev Mela) নিয়ে আগ্রহ যে খুব একটা কম নয়, তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। প্রশাসনের তরফে সকাল থেকেই কভিড বিধি মেনে চলার কথা বলা হলেও, বাস্তবে চিত্রটা অনেক ক্ষেত্রেই আলাদা। বেলা বাড়তেই জয়দেবের কেন্দুলি মেলায় আরও ভিড় বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- #মকরসংক্রান্তি: স্নানের পুণ্যমুহূর্ত আর পার্বণের দীপ্ত উদযাপনে স্মরণীয় এই দিন
এবছর জয়দেব মেলায় তুলনামূলক ভাবে পুণ্যার্থীর সংখ্যা অনেকটাই কম। তবে প্রশাসনের তরফে সবরকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, মেলাজুড়ে প্রায় ৮০০-র বেশি পুলিশ রয়েছে। ওয়াচ টাওয়ার ও সিটিভি ক্যামেরার পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, এদিন সকাল থেকেই মেলা চত্বরকে বারবার স্যানিটাইজ করতেও দেখা যায়। প্রশাসনের তরফ থেকেই এই কাজ করা হচ্ছে। তবে বাউলের আখড়া তেমন ভাবে না থাকায়, মন খারাপ বাউল শিল্পীদের। জয়দেব মেলার অন্যতম ঐতিহ্য কলা বিক্রি, যা এবারও দেখা গিয়েছে। তবে আবারও সেখানে সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কম।