নিজস্ব প্রতিবেদন:  “বিশ্বভারতীতে যা চলছে, তাতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মাও কেঁদে উঠবে। বাংলার সরকার হিন্দুবিরোধী, বাংলার মানুষ তৃণমূলকে ক্ষমা করবে না।” বৃহস্পতিবারের ভার্চুয়াল সভা থেকে তৃণমূল সরকারকে উত্খাতের ডাক দিলেন জেপি নাড্ডা।

COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একুশের লক্ষ্যে
একুশে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে তিনি বলেন, “তৃণমূলকে উৎখাত করতে হবে। বিজেপি বাংলায় বদল আনবে। মোদির নেতৃত্বে উন্নয়ন হবে। জনবিরোধী তৃণমূল সরকারকে এবার ছুটি দিতে হবে। বাংলায় পদ্মফুল ফুটবে ২০২১-এ। মমতাদির পায়ের তলা থেকে জমি সরে যাচ্ছে। বিজেপিকে আশীর্বাদ দিতে তৈরি বাংলার মানুষ।”
 


বিশ্বভারতীতে ভাঙচুর প্রসঙ্গ
 বিশ্বভারতীকাণ্ড নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেন তিনি। বলেন,  “বিশ্বভারতীতে গুণ্ডারাজ চলছে। জমি মাফিয়া আর তৃণমূল মিলে রয়েছে। বিশ্বভারতীতে যা ঘটেছে কবিগুরুর আত্মাও চমকে উঠবে। বাংলার শিক্ষিত মানুষ মাফ করবে না তৃণমূলকে।”
 


একুশের লক্ষ্যে দলীয় নেতাদের বার্তা
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ বাংলার দলের প্রথম সারির নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “বাংলার ক্ষুদ্র উদ্যোগপতিদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।” বিজেপি কর্মীদের গ্রামে গ্রামে, বুথে বুথে যাওয়ার পরামর্শ দেন নাড্ডা। বুথে বুথে হোয়াটস আপ গ্রুপ তৈরি করতে হবে। সেখানে জাতীয়, রাজ্য ও আঞ্চলিক বিষয় তুলে ধরতে হবে।  জেলায় জেলায় গিয়ে বিজেপি নেতাদের থাকতে হবে। বুথের সংগঠন দেখতে হবে। বার্তা নাড্ডার।


হিন্দু বিরোধী তোপ
রামমন্দিরে ভূমি পুজোর দিন রাজ্যে লকডাউন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কে তোপ দাগেন নাড্ডা। বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন। তুষ্টিকরণের রাজনীতি করছেন। এটা হিন্দু বিরোধী মনোভাবের পরিচয়।”
 


দুর্নীতি প্রসঙ্গে বাংলার সরকারকে আক্রমণ
নাড্ডা বলেন, “বিজেপি কর্মীরা যখন আমফান,  করোনার সময় বাড়ি বাড়ি ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছে তখন তৃণমূল রেশন লুঠ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সুবিধা থেকে বাংলার কৃষক-গরিব মানুষকে বঞ্চিত করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এটা মানুষকে বোঝাতে হবে। বাংলার জন্য মোদিজি সেবা করছেন। কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের নাম তৃণমূল সরকার পাল্টে দিয়ে নিজেদের নামে করে নিচ্ছে। এটা মানুষকে বলতে হবে।”