নিজস্ব প্রতিনিধি : বাড়ির সামনেই খুন হয়ে যাচ্ছেন পুরসভার চেয়ারম্যান। খারাপ বার্তা যাচ্ছে সমাজে। মনোজ উপাধ্যায় খুনে এভাষাতেই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিচারক। বৃহস্পতিবার বেনারস থেকে ধৃত ৭ অভিযুক্তকে এসিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাই প্রোফাইল মনোজ উপাধ্যায় খুনের মামলা। বুধবারই বেনারস থেকে চন্দননগরে আনা হয় ৭ অভিযুক্তকে। বৃহস্পতিবার তাদের এসিজেএম আদালতে তোলা হল। দোষীদের ফাঁসির দাবিতে সকাল থেকেই আদালত চত্বরে জড়ো হন মনোজ অনুগামীরা। অশান্তি এড়াতে আদালতে চত্বরে আগাম আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ছিল। তবে এড়ানো যায়নি ধস্তাধস্তি।


শুনানি শুরু হতেই ৭ দুষ্কৃতীকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে চায় পুলিস। এরপরই সরকারি আইনজীবীর কাছে  বিচারক জয়শঙ্কর রায় জানতে চান, কেন ১৪ দিনের হেফাজত চাওয়া হচ্ছে? যার উত্তরে সরকারি আইনজীবী বলেন, পুরো ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা দরকার। এখনও সবাই গ্রেফতার হয়নি। পুলিসকে ভিনরাজ্যে যেতে হবে। পুরো ষড়যন্ত্র খতিয়ে দেখতে সময় দরকার। যার প্রেক্ষিতে বিচারক জানতে চান, খুনে একাধিক অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে কি না? তদন্তকারী অফিসার হ্যাঁ বলতেই গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারক। বলেন, "বাড়ির সামনে চেয়ারম্যান খুন হয়ে যাচ্ছেন, খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। সমাজে খারাপ বার্তা যাচ্ছে।"


আরও পড়ুন, পণের টাকা না পেয়ে স্ত্রীর মাথা থেঁতলে খুনের চেষ্টা স্বামীর


এরপরই ধৃতদের ১৪দিনের পুলিসি হেফাজতে আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক।  ৭ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন, খুনের ষড়যন্ত্র, অস্ত্র আইন সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখনও বেপাত্তা অন্যতম অভিযুক্ত নির্দল কাউন্সিলর রাজু সাউ। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।