সৌরভ চৌধুরি: আরজি কর কাণ্ডে পুলিসের বিরুদ্ধে সোচ্চার জুনিয়ার ডাক্তাররা। ঠিক তখনই পুলিসের তৎপরতায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের জুনিয়ার ডাক্তার সৃষ্টি এক্কা(৩০) এবং তাঁর পরিবার বেঁচে গেলেন এ যাত্রায়। হুগলি জেলার হতভাগ্য বিক্রম ভট্টাচার্যের মত বিনা চিকিৎসায় ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজে এসে পড়ে থাকতে হয়নি। সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় চিকিৎসা। লোক কিছু কম থাকায় স্যালাইন ধরে দাঁড়িয়ে পড়েন সেই পুলিস কর্মী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-আরজি কর দুর্নীতির তদন্তে সক্রিয় ইডি, সন্দীপ ঘনিষ্ঠ চন্দন-সহ একাধিক ব্যক্তির ঠিকানায় হানা


মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের, পিডিয়াট্রিক্স বিভাগের ছাত্রী ডাঃ সৃষ্টি এক্কা। তার বাবা মা, বোন সহ সকলে ছত্রিশগড়ে যাচ্ছিলেন। ঝাড়গ্রামের ফাঁসিতলা এলাকায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর হঠাৎ করেই একটি মালবাহী ট্রাক ওই গাড়িটির পেছনে ধাক্কা মারলে সামনে থাকা আারেক টি গাড়িতে গিয়ে ধাক্কা মারে ডাক্তার এর গাড়িটি। সামনে ও পেছনে দুমড়ে যাওয়ায় গাড়িতেই আটকে পড়েন ডাঃ সৃষ্টি এক্কা, তার বোন আশা এক্কা, মা কমলাবতী এক্কা, এবং তার বাবা।


ঘটনার পরপরই এলাকার লোকজন তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া গাড়ির ভেতর থেকে চেষ্টা করেও বার করা যায়নি তাদের। দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌছায় ঝাড়গ্রাম থানার এসডিপিও সামিম বিশ্বাস, আইসি বিপ্লব কর্মকার। আগেই ঘটনাস্থলে ছিলেন মানিকপাড়ার বিট অফিসার। স্থানীয় এক জনের কাছ থেকে গ্যাসকাটার জোগাড় করে শুরু হয় গাড়ি কেটে বার করার কাজ। এসডিপিও, আইসি, ওসিরাই এক একজনকে বার করে গাড়িতে তুলতে শুরু করেন। গাড়ি রওনা দেয় ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজের দিকে।


ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য পড়ে থাকতে হয়নি এক্কা পরিবারকে। আহতদের যে সহায়তার জন্য ওখানেই দাঁড়িয়ে থাকে পুলিসের একটি টিম। যারা স্যালাইন ধরা থেকে ট্রলি ঠলে বেডে নিয়ে যাওয়া, পরিবারের লোকেদের খবর দেওয়া সবটাই তদারকি করেন। অপর গাড়ির আহতদের ও উদ্ধার করে পাঠানো হয় হাসপাতালে। কোমোর থেকে নিচের অংশে গুরুতর জখম হন সৃষ্টি এক্কা। তার মাও বোনের অবস্থাও যথেষ্ট জটিল। তার পরিবার মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ এ স্থানান্তর করতে চাইলে গভীর রাতে পুলিসের সহযোগিতায় আহতদের পরিবারকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা যায়।


ঝাড়গ্রাম এমএসভিপি অনুরূপ পাখিরা জানান ওই সময় প্রতিটা মিনিট গুরুত্বপূর্ণ। পুলিস যে ভাবে দ্রুততার সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে তাতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেক উপকার হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা পাওয়ায় এখন অনেকটাই বিপদমুক্ত আহতরা।


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)