নিজস্ব প্রতিবেদন : পাট গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে বাজারে আসতে চলেছে পাটের স্যানিটারি ন্যাপকিন। সস্তা এই ন্যাপকিন পরিবেশ বান্ধব। সেইসঙ্গে গরিব মহিলাও পাবেন স্বচ্ছতার অধিকার। স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী পাবে রোজগার। ধুঁকতে থাকা পাট শিল্প পাবে অক্সিজেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৩৫ কোটি ভারতীয় মহিলার প্রতিমাসের প্রয়োজন এই স্যানিটরি ন্যাপকিন। কিন্তু, তাঁদের অধিকাংশই স্বচ্ছতার অধিকার থেকে বঞ্চিত। একটি কারণ সচেতনতার অভাব। অন্যটি আর্থিক অনটন। সমাধানের পথ বাতলে দিল ইন্ডিয়ান জুট রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন। চটের বর্জ্য থেকে তৈরি করা হবে সস্তার স্যানিটারি ন্যাপকিন। বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দিয়ে এই প্রকল্প চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


পাটের স্যানিটারি ন্যাপকিনের সুবিধা রয়েছে অনেক। পাটের ন্যাপকিন দামে বাজার চলতি ন্যাপকিনের থেকে অনেক সস্তা। পাটের ন্যাপকিন পরিবেশ বান্ধব, সহজেই মাটিতে মিশে যায়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে তৈরি ন্যাপকিন গ্রামীণ ভারতে সহজে পৌছবে। গ্রামীণ মহিলাদের মধ্যে সচেতনতা প্রচারও করবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিই। পাশাপাশি, ন্যাপকিন প্রকল্প ধুঁকতে থাকা পাটশিল্পেও অক্সিজেন জোগাবে।


আরও পড়ুন, গায়েব ৫ কোটি! ১০০ দিনের কাজে বেনজির দুর্নীতি কোচবিহারে


প্রায় ১০০ মহিলাকে পাটের ন্যাপকিন তৈরির প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন মুর্শিদাবাদের টুঙ্গি কৃষি সমবায় সমিতি। এর মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে যুক্ত মহিলাদের রোজগারও বাড়বে বলেই আশাবাদী জেলা প্রশাসন। শিগগিরই আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা এই ন্যাপকিনের প্রচারে নামবেন। এই ন্যাপকিন নির্মল বাংলা মিশনেও সহায়ক হবে বলে আশা সমবায় গোষ্ঠীর।