নিজস্ব প্রতিবেদন:  “বনগাঁর কাউন্সিলরদের কি কোনও নীতি আছে? বনগাঁর  সব বিজেপি কাউন্সিলররা বনগাঁর বাইরে। খোঁজ নিয়ে দেখুন তাঁরা পার্কস্ট্রিট. বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের হোটেলে দিন কাটাচ্ছেন। মানুষের কাছে যাওয়ার ওঁদের সাহস নেই।”  বনগাঁ পৌরসভার অনাস্থা প্রস্তাব ইস্যুতে হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে বললেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



শুক্রবার বারাকপুর প্রশাসনিক ভবনে খাদ্যদফতরের তরফে ভাটপাড়ার দুর্গতদের ত্রাণ দেওয়া হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে বনগাঁর বিজেপির কাউন্সিলরদের প্রসঙ্গে পরোক্ষভাবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “যাঁরা মন্ত্রী হয়েছি, আমাদের কোনও নীতিবোধ আছে? আমি একটি দল থেকে জিতলাম, আরেকটি দলে চলে গেলাম। আমি পাড়ার লোকেদের কাছে কেন যাচ্ছি না, আমি ১নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতেছি, সেখানকার মানুষের সঙ্গে কেন যোগাযোগ করছি না। আমি মানুষের কাছে গিয়েই বলি না, যে আমি ছিলাম তৃণমূল, হয়েছি বিজেপি, তোমরা কী সমর্থন করছো আমাকে? তা যাওয়ার সাহস নেই বনগাঁর কাউন্সিলরদের।”


তিনি সরাসরি বলেন, “ বনগাঁর বিজেপির কাউন্সিলররা পালিয়ে পালিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কলকাতার হোটেলে হোটেলে থেকে বেড়াচ্ছেন। তাঁরা পাড়ায় যেতে পারছেন না। কারণ পা়ডায় জনরোষ তৈরি হয়েছে। একজন কাউন্সিলরও বনগাঁ নেই। সবাই বাইরে। ” বিজেপিকে তাঁর কটাক্ষ, “বিজেপির নীতিবোধ কোথায় আছে? যে বলছে শঙ্কর আঢ্য খুনের আসামি, সেই কিন্তু খুনের আসামি।”


প্রসঙ্গত, বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা ইস্যু ওঠে হাইকোর্টে।  বনগাঁর অনাস্থা মামলায় ক্ষুদ্ধ হন হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের। তিরস্কার করেন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকেও। তিনি বলেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠ সঙ্গে নেই, তবুও চেয়ার আঁকড়ে আছেন? আপনি এত নির্লজ্জ কেন?”


এদিন আদালতে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠের আনা প্রস্তাব মানা হয়নি। এটি গণতন্ত্রের পক্ষে ভুল।” এরপরই তিনি বলেন, “চেয়ারম্যান কাউন্সিলরদের আটকে দিয়েছে। এটি অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে।” আদালতে অ্যাডভোকেট জেনারেলকে বলেন, “চেয়ারম্যানকে ফের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ দিতে হবে।”


 ভাটপাড়ার অশান্তি নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কথায়, “ভাটপাড়ার  সব ধরণের অশান্তির জন্য সাংসদ দায়ী।”  


“আমি বনগাঁর বাইরে, হাইকোর্ট ভর্তসনা করেছে বলে জানি না”, প্রতিক্রিয়া বনগাঁর চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর


প্রসঙ্গত, হালিসহর পুরসভার অনাস্থা ইস্যুতে শুক্রবার হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিজেপি কাউন্সিলর বন্ধুগোপাল সাহা। এই মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় হালিসহরের অনাস্থার ওপর স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন।  মামলাকারীর বক্তব্য, ১৬ তারিখ একটি নোটিস জারি করা হয় এবং সেদিনই জারি করা হয়, ১৯ জুলাই অর্থাত্ আজকে পুরসভায় অনাস্থা বৈঠক করা হবে। ১৭তারিখ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বাকি কাউন্সিলরদের এই তথ্য জানিয়ে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কাউন্সিলরদের কোনও বার্তা দেওয়া যায় না।


 এই  প্রসঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, “হালিসহরের জন্য গত ১৬ তারিখ চিঠি গেছিল পোস্টে। যদিও আমরা রায় মাথা পেতে নিলাম। ২৩ তারিখ আমাদের বক্তব্য বলব। নৈহাটি, গাড়ুলিয়া সব ফিরবে। দেখতে থাকুন। ”