নিজস্ব প্রতিবেদন: কচুয়ায় লোকনাথধাম মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় মন্দির কমিটিকেই দোষারোপ করলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



তিনি বলেন, “মন্দিরের ভিতরে তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব কমিটির। স্টলগুলি থেকে টাকা পায় কমিটি।” রাস্তার ধারে অস্থায়ী স্টল বসানোর অনুমতি তাদের কে দিল, তা নিয়ে এদিন প্রশ্ন তোলেন মন্ত্রী। পাশাপাশি বলেন, “একসঙ্গে ১০ হাজার মানুষ মন্দিরে ঢুকতে গিয়ে বিপত্তি ঘটেছে।এক এক জন করে মন্দিরে ঢোকার ব্যবস্থা করতে হবে।” এই রাজ্য সরকার খতিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি। এরপর রাজ্যের তরফে মন্দির কমিটির সঙ্গে বৈঠকও করা হবে। মেলার আগে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করতে হবে মন্দির কমিটিকে। পাশাপাশি এও স্পষ্ট করে দেন, পরের বছর থেকে যে কোনও রাস্তা দিয়েই মন্দিরে লোক ঢোকানো যাবে না।


মাদকাসক্ত ছিলেন আরসালানের দাদা রাঘিব, দু’বার গিয়েছিলেন নেশামুক্তি কেন্দ্রেও! বন্ধুর কথায় ফাঁস আরও তথ্য


প্রসঙ্গত, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে লোকনাথের মাথায় জল ঢালতে এবার কচুয়ায় রেকর্ড ভিড় হয়। সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। তার জেরেই রাত তিনটে নাগাদ ঘটে যায় বিপর্যয়। মন্দিরের পাশে পাঁচিল ভেঙে অনেকেই পড়ে যান। পুকুরে পড়ে যান অনেকে। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় অপর্ণা সরকার, পূর্ণিমা গড়াই ও তরুণ মণ্ডলের। আহত হন কমপক্ষে ১৬ জন। এদিন খবর পাওয়ার পরই সকালে আহতদের দেখতে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও এসএসকেএম-এ যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা ও সামান্য আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। অন্যান্যবারের তুলনায় এবার কচুয়ায় বেশি ভিড় হয়েছিল। তার ওপর রাতে প্রচুর বৃষ্টিও হয়েছে। বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতেই অনেকে রাস্তার পাশে অস্থায়ী দোকানগুলিতে আশ্রয় নেন। হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পাশেই পুকুর ছিল। অনেকে পুকুরে পড়ে যান। পাঁচিল ভেঙে যায়। এরফলে দুর্ঘটনা ঘটেছে।”