মৌমিতা চক্রবর্তী: উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে পুলিসের উপরে গুলি চালানোর ঘটনায় বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুললেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা আগে ছিল সিপিএমের লোক। লোকসভা ভোটে তারা বিজেপির হয়ে কাজ করেছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গোটা ঘটনায় তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ''সক্রিয় রাজনৈতিক দলের মদতে ঘটনাটি ঘটেছে। কেদার সর্দার ও লাল্টু সর্দার আগে সিপিএম করত। লোকসভা ভোটে এরা বিজেপি হয়ে কাজ করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস অনুষ্ঠান করছিল খুল্যায়। পাঁচজন মিলে মোটরবাইক করে গিয়ে দুজনকে মারে। অন্ধকারে পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বিজেপি নেতারা বাংলার ভুগোল জানেন না। আগে দুষ্কৃতীরা ছিল সিপিএমের মদতপুষ্ট। এখন এরা বিজেপি করছে। কাউকে ছাড়া হবে না।'' 


বিজেপি নেতাদের প্ররোচনাতেই দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে বলে দাবি জ্যোতিপ্রিয়র। তাঁর কথায়, ''দিলীপবাবুরা প্ররোচনা দিচ্ছেন। উত্সাহিত হয়ে পড়ছে দুষ্কৃতীরা।''



খবর ছিল বৌ ঠাকুরানি গ্রামে তাণ্ডব চালিয়ে পোলপাড়ায় আশ্রয় নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। আর তাদের ধরতেই অভিযানে নামে পুলিস। নেতৃত্বে সন্দেশখালি থানার এসআই অরিন্দম হালদার। রাতের অন্ধকারে কলাগাছি নদীর পাড়ে পৌছতেই ছুটে আসতে থাকে গুলি। পাঁচটি বাইকে চড়ে ছিল দুষ্কৃতীরা। রজনী চৌকিদার ঘাটের অন্যপাশে ভেড়ির দিক থেকেই ছোড়া হয় গুলি। আর তাতেই গুরুতর আহত হয়েছেন এসআই অরিন্দম হালদার, সিভিক ভলান্টিয়ার বাবুসোনা সিং ও ভিলেজ পুলিস বিশ্বজিত্ মাইতি। সঙ্গে সঙ্গেই তাদের নিয়ে যাওয়া হয় খুলনা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। কিন্তু কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাদের রেফার করে দেওয়া হয় কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে।


 তৃণমূলের মদতেই হয়েছে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাহুল সিনহা। রাজ্যকে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় পাল্টা দিয়েছেন, বিজেপির সার্টিফিকেটের কোনও দরকার নেই।


আরও পড়ুন- খড়্গপুর, করিমপুর ও কালিয়াগঞ্জে উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি