নিজস্ব প্রতিবেদন: এই তৃণমূল শুভেন্দু অধিকারীর নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও নয়। দলের রাশ চলে গিয়েছে ভাইপোর কাছে। রামনগরের সভায় তৃণমূলকে বিঁধতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর দাবি, আত্মসম্মান যাঁদের আছে, তাঁরা আর তৃণমূলে থাকতে চাইছেন না।         


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রামনগরে দাঁড়িয়েই শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করেছিলেন, এখনও মন্ত্রী আছেন। মুখ্যমন্ত্রী তাড়াননি। তিনিও ছাড়েননি। সেই রামনগরেই শনিবার বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক বলেন,''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মবিশ্বাস শেষ। দলটা আর মমতার নয়। মুকুলদার নয়। শুভেন্দু অধিকারীর নয়ও। তিনিও টাটা করছেন। আত্মসম্মান আছে এমন ব্যক্তি থাকতে পারবেন না তৃণমূলে। দলের রাশ ভাইপোর হাতে। টিএমসি চালাচ্ছে ভাইপো। পুরনো নেতারাও গুরুত্ব পাচ্ছেন না। সকলেই টাটা, বাই, বাই করছেন। বাংলার জনতাও টাটা করছেন।''


বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের 'বহিরাগত' বলে প্রতিদিন আক্রমণ শানাচ্ছে তৃণমূল। তার পাল্টা এ দিন কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ''প্রধানমন্ত্রী আসলে বলছেন বহিরাগত। উনি কি দেশের নাগরিক নন? অমিত শাহ আসলে বলছেন, বহিরাগত। তিনি কি বহিরাগত? তিনি কি এদেশের নাগরিক নন? রোহিঙ্গা মুসলিম জঙ্গিরা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আপন। বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীরা আপন। অমিত শাহ বহিরাগত। কৈলাস বহিরাগত।'' 



রাজ্য শাসনে বিজেপিকে সুযোগ দেওয়ার আবেদন করেছেন কৈলাস। তাঁর কথায়,''আপনারা কংগ্রেসের সরকার দেখেছেন। সিপিএমের সরকার দেখেছন। তখন হত্যা ও লুঠপাট হত। সোনার বাংলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু'বার জনতার আর্শীবাদ পেয়েছেন। অথচ দেশের সর্বাধিক ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির ঘটনা বাংলায় হয়। এই সরকারের থাকা কি উচিত। মুখ্যমন্ত্রী থাকার অধিকার আছে কি আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? নবান্নে শুধুমাত্র দেশভক্তদের জায়গা হবে। সোনার বাংলা তৈরি করবে বিজেপি।''


প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার আগে পর্যন্ত কৈলাসের অভিযোগ নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। 


আরও পড়ুন- শিক্ষায় রবীন্দ্রনাথ, সাহসিকতায় নেতাজি, প্রশাসনে মমতা: কাকলি