নিজস্ব প্রতিবেদন:  নেতাজির জন্মদিনের (Netaji Birth Aniversary) অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এবার সদ্য পদত্যাগী মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rajib Banerjee)  'গদ্দার' বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। তাঁর দাবি, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডোমজুড়ে দলের জেলা প্রার্থীকে মানেননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, টাকা খরচ নিজের দপ্তরের ঠিকাদারদের সাহায্যে তাঁকে হারিয়েছিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত মাস দেড়েক ধরে একে পর একে বেসুরো মন্তব্য, ১৬ জানুয়ারি ফেসবুকে লাইভের পর জল্পনা বেড়েছিল আরও। শুক্রবার শেষপর্যন্ত মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। সেদিনই আবার শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে (Vaishali Dalmiya) দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মতোই তাঁরাও কি গেরুয়াশিবিরে নাম লেখাবেন? বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu) জানিয়েছেন, রাজীব ও বৈশালীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা এলে দল শক্তিশালী হবে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাঁচাছোলা প্রতিক্রিয়া, 'এ আর নতুন খবর কী! চারমাস ধরেই খবর পাচ্ছি। বিজেপি ডাকছে, ওঁনারা বলছে, আসছি। স্টেপ বাই স্টেপ আসছি। একবার এখানে রেজিকনেশন হল, তারপর আরও একবার পদত্যাগপত্র হবে। একবারে সব রেজিকনেশন দিয়ে দিলে খবর হবে কী করে?'


প্রসঙ্গত, স্রেফ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নয়, মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার শুক্রবার পদত্যগপত্র নিয়ে রাজভবনে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতেও ইস্তফাপত্র তুলে দেন সদ্য প্রাক্তন বনমন্ত্রী। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পেশায় আইনজীবী। তিনি বলেন, 'রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র দেওয়ার কোনও সাংবিধানিক রীতি বা নীতি নেই। নিয়ম অনুযায়ী পদত্যাগপত্র দিতে হয় মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সেই চিঠি রাজ্যপালকে পাঠিয়ে দেন। এখন ছবি তোলা বা খবর করার জন্য রাজ্যপালকে (রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়) পদত্যাগপত্র দিয়ে থাকেন, তাহলে অন্য বিষয়।'


উল্লেখ্য, মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার মুহূর্তে আর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Rajib Banerjee)। রাজভবনের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। বলতে থাকেন, ''আমার মনে অনেক চাপা ক্ষোভ ছিল। অনেক অভিমান ছিল। সেগুলো একদিনে হয়নি। অনেকেই জানেন না, আমি আড়াই বছর আগেই এই সিদ্ধান্ত নিতাম। মানুষের মধ্যে কাজের মাধ্যমে যদি কেউ ছাপ ফেলে যায় সেটাই বড় কথা। কেউ চিরকাল একই দফতরের মন্ত্রী থাকে না। আমিও থাকব বলে আশা করিনি। তবে আমার মন্ত্রীত্ব বদল করা হল কিছু না জানিয়ে। এই ব্যাপারে আমি মুখ্যমন্ত্রীর থেকে অন্তত সতীর্থ হিসাবে সৌজন্য আশা করেছিলাম। আমাকে অন্তত জানানো হবে দফতর বদলের কথা, এটা আশা করেছিলাম। আমি টিভিতে দেখে জানতে পেরেছিলাম, সেচ থেকে সরিয়ে আমাকে বনমন্ত্রী করা হয়েছে।''