নিজস্ব প্রতিবেদন: "এতদিনে অন্তত একজন মা শান্তি পেলেন। আমি তেলেঙ্গানা পুলিসকে স্যালুট জানাই।" এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলার সময়ে চোয়াল শক্ত হয়ে আসছিল পঞ্চাষোর্ধ মহিলার। কার্যত গলা শুকিয়ে আসছিল কামদুনির নির্যাতিতার মা-এর। তবু তিনি বলে গেলেন, "পুলিস ঠিক করেছে, ভাল করেছে, আমি চাই আমার মেয়ের খুনিদের এভাবেই মেরে ফেলুক পুলিস।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


আজও হাড় হিম হয়ে আসে ৬ বছর আগের সেই বিভৎস দিন মনে পড়লে, কাঁপা কাঁপা গলায় এদিন এমটাই বললেন কামদুনির নিগৃহীতার মা। বছর ছয় পর আজও একটাই প্রশ্ন তাঁর, "কবে শাস্তি পাবে ওরা, রোজ সকালে স্নান করে ঠাকুরকে বলি দোষীদের এখনও কেন শাস্তি হল না। আমার মেয়ের আত্মা তো এখনও শান্তি পেল না।"


তেলেঙ্গানা ইস্যুতে নির্যাতিতার দাদা বললেন, "হায়দরাবাদ পুলিসকে আমরা স্যালুট জানাই। হায়দরাবাদের বোন শান্তি পেল। আমরা চাই এই ধরণের ঘটনার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য একটা বিশেষ কোর্ট তৈরি করা হোক। আইনের ওপর আমার ভরসা রয়েছে, কিন্তু বিচার যেন এত দীর্ঘমেয়াদি না হয়। আমার এটাই চাওয়া।"


আরও পড়ুন: তেলেঙ্গানায় এনকাউন্টারে খতম হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডের ৪ অভিযুক্ত


২০১৩ সালের জুনে কলেজ থেকে ফেরার পথে পরিত্যক্ত জমির একটি ভাঙা ঘরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ ও খুন হয় কামদুনির তরুণীকে। ঘটনার প্রায় তিন বছর পর ২০১৬ সালে ব্যাঙ্কশাল আদালত ৮ অভিযুক্তের মধ্যে দু-জনকে প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস করে দেয়। বাকি ছ জনের মধ্যে তিনজনকে ফাঁসি ও বাকি তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে দোষীদের ফাঁসি দেওয়া হয়নি এখনও। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতায় বারবার আটকে যায় দুই মামলা। তবে বছর ৬ পরেও তেলেঙ্গানার এনকাউন্টারের ঘটনা আবার নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে কামদুনির পরিবারকে। তাঁরাও চাইছেন হায়দরাবাদের মতোই এভাবে বিচার পাক তাঁদের মৃত মেয়ে।