Kanchanjunga Express Accident: রেলের গাফিলতির বড় আপডেট, ৪ সিগন্যাল টপকে মালগাড়ির ধাক্কা কাঞ্চনজঙ্ঘাকে!
Kanchanjunga Express train Accident: সকাল ৮টা বেজে ২৭ মিনিটে রাঙাপানি স্টেশনে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে TA 912 ফর্ম দেওয়া হয়। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা মারে মালগাড়ি। ৮টা বেজে ৪২ মিনিটে।
মৌপিয়া নন্দী ও শ্রেয়সী গাঙ্গুলি: উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার জেরে মৃত কমপক্ষে ৯। আহত কমপক্ষে ৪৫। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পিছনে উঠে আসছে রেলের চূড়ান্ত গাফিলতির ছবি। জানা গিয়েছে, যে মালগাড়িটি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ধাক্কা মারে, সেই মালগাড়িটি মোট ৪টি সিগনাল ফেইল করেছে। যার মধ্যে দুটি ছিল রেড সিগন্যাল।রাঙাপানি স্টেশন থেকে পেপার ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে। সেই অনুযায়ী কাঞ্চনজঙ্ঘা রাঙাপানি স্টেশন থেকে ছেড়ে জলপাইগুড়ি স্টেশনের দিকে এগোচ্ছিল।
এখন সকাল ৫.৫০টা থেকে ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম কাজ করছিল না। ট্রেন চলাচল করছিল পেপার লাইন ক্লিয়ারেন্স অনুযায়ী। সকাল ৮টা বেজে ২৭ মিনিটে রাঙাপানি স্টেশনে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে TA 912 ফর্ম দেওয়া হয়। ট্রেন গিয়ে দাঁড়ায় ছত্তরহাট ও রানিপাত্র স্টেশনের মাঝে। এমন সময় দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা মারে মালগাড়ি। ৮টা বেজে ৪২ মিনিটে। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, ১৫ মিনিটের মাথাতেই মালগাড়ির চালককে কে ক্লিয়ারেন্স দিয়েছিল? নিয়ম অনুযায়ী, পরবর্তী স্টেশনের ক্লিয়ারেন্স ছাড়া TA 912 ফর্ম দেওয়া হয় না। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে থাকায় লাইন ব্লক ছিল। সেখানে মালগাড়ি একই লাইনে এগোল কীভাবে? কে ওই লাইনে এগমোর ক্লিয়ারেন্স দিল? পাশাপাশি, যদি অটোমেটিক সিগন্যালিং সিস্টেম কাজ না করে, তাহলে সব সিগন্যাল লাল হয়ে যায়। একে বলা হয় 'ফেল সেফ' সিস্টেম। তাহলে মালগাড়ির চালক সেই লাল সিগন্যাল লক্ষ্য না করে এগোলেন কীভাবে? সকালবেলায় দিনের আলোয় দৃশ্যমানতার কোনও সমস্যা ছিল না। ফলে মালগাড়ির চালকের চোখ লেগে গিয়েছিল কিনা? সেই প্রশ্নও উঠছে।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা মারে মালগাড়িটি। মালগাড়ির ধাক্কায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছন দিকের ২টি পারসেল কামরা ও একটি যাত্রীবাহী কামরা (গার্ড কোচ) লাইনচ্যুত হয়ে যায়। একটি কামরা সোজা মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপর উঠে যায়। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ইতিমধ্যেই এই ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের উদ্দেশে বিশাল অংকের ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে রেল। মৃতদের পরিবারকে দেওয়া হবে ১০ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের দেওয়া হবে আড়াই লক্ষ টাকা এবং তুলনায় কম আহতদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)