নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা খারিজ করে দিলেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। স্পষ্ট জানালেন, সিপিএমে ছিলেন, সিপিএমে আছেন, সিপিএমেই থাকবেন। তাঁর মন্তব্য, পাগলও নই, উন্মাদও নই। শেষ দিন পর্যন্ত বামপন্থী থাকব। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিন কয়েক আগে আলিমুদ্দিনের গোঁসার কারণ হয়ে উঠেছিলেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। বর্ষীয়ান নেতা জি ২৪ ঘণ্টাকে বলেছিলেন, “বাম আমলেই পঞ্চায়েত স্তরে বাসা বেঁধেছিল কাটমানি রোগ। আর এই দুর্নীতি রুখতে ব্যর্থ হয়েছিল দল।” এনিয়ে হইচই শুরু হতেই তাঁর কাছে ব্যাখ্যা চায় আলিমুদ্দিন। কান্তিবাবু দলকে জানান, তাঁর মন্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে। এর মধ্যেই জল্পনা শুরু হয় সংবাদমাধ্যমের একাংশে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের খামতি পূরণে কান্তিকে দলে টানতে চাইছে তৃণমূল। কান্তির 'কাটমানি মন্তব্যে' তেমন জল্পনা আরও গতি পায়। কিন্তু কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় সেই জল্পনা নাকচ করে দিলেন। জানিয়ে দিলেন, আজীবন বামপন্থীই থাকবেন। দলবদলের সম্ভাবনাই নেই।                         



কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ''তৃণমূলের কেউ যোগাযোগ করেনি। পাগলও নই, উন্মাদও নই। বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী। শেষ দিন পর্যন্ত বামপন্থীই থাকব। রায়দিঘিতে মানুষের জন্য কাজ করি। সিপিএমে ছিলাম, আছি, থাকব।'' 


বলে রাখি, কান্তিবাবুর কাটমানি মন্তব্যে সুজন চক্রবর্তী তখন পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন। সিপিএম নেতা বলেছিলেন, “দলের অভ্যন্তরে  এসব নিয়ে কথা বলার সুয়োগ রয়েছে। তাই বাইরে বলার প্রয়োজন পড়ে না।” শুধু তাই নয়, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্দেশে তাঁর খোঁচা, “যদি কেউ বাইরে  কথা বলে থাকেন, তাহলে তিনি তাঁর দল ও দলের নিয়মকানুন সম্পর্কে বুঝতেই পারেননি।  শিক্ষা তো প্রতি মুহূর্তে আপডেটেড হয়, কেউ কোনও কারণে হয়তো পারলেন না।”   


 


আরও পড়ুন- 'কাটমানি' রোগের শুরু বাম আমলে, বলে আলিমুদ্দিনের চক্ষুশূল হলেন কান্তি