করিমপুরে ভোটে অশান্তি, জয়প্রকাশকে বুথ থেকে বের করে দিল কেন্দ্রীয় বাহিনী
সকাল থেকে ভোটারদের সঙ্গে বচসায় জড়ায় বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার। অভিযোগ, তাঁকে `ধাক্কা` দিয়ে বুথ থেকে বের করে দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করিমপুর, খড়্গপুর ও কালিয়াগঞ্জসহ ৩ কেন্দ্রে চলছে গড় রক্ষার ত্রিমূখী লড়াই। বাকি দুই কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ পর্ব চললেও, করিমপুরের নথিভাঙায় চোখে পড়ছে বিচ্ছিন্ন অশান্তি। সকাল থেকেই ভোটারদের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার। অভিযোগ, এরপর তাঁকে ধাক্কা দিয়ে বুথ থেকে বের করে দেয় আধাসেনা। বুথের বাইরেও আরও এক দফা বচসায় জড়ান জয়প্রকাশ মজুমদার।
এদিন সকালে করিমপুরের বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার থানারপাড়া ৩৯ নম্বর বুথে ঢুকতেই বিক্ষোভ দেখায় ভোটাররা। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আধাসেনা এসে তাঁকে হাত ধরে বের করে দেয় বুথ থেকে। অভিযোগ, বুথে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন বিজেপি প্রার্থী। অন্যদিকে এ বিষয়ে জয়প্রকাশের দাবি, "আমার এজেন্ট নেই, আমি একা। বুথের সামনে থাকতেই পারি, আমার অধিকার রয়েছে। সেন্ট্রালফোর্স নিয়ম জানে না, তাই তাঁরা এই কাজ করছে।'
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভালে ফলের পর এবার উপনির্বাচনে ফের ত্রিমূখী লড়াই-এ নেমেছে তৃণমূলের। আজ ভোট নেওয়া হচ্ছে করিমপুর, খড়গপুর ও কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা আসনে। তিন কেন্দ্রে হাড্ডাহাডি লড়াইয়ের কথা মাথায় রেখে মোতায়েন করা হয়েছে ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের বিক্ষোভে ফের উত্তপ্ত করিমপুর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাহিনীর লাঠিচার্জ
করিমপুরে মহুয়া মৈত্র ও খড়গপুরে দিলীপ ঘোষ সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় ওই দুটি আসন ফাঁকা হয়ে যায়। অন্যদিকে, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক প্রমথনাথ রায়ের মৃত্যুতে সেটি খালি হয়। রাজনৈতিক মহলের মতে করিমপুর ছাড়া অন্য দুটি আসনে জোর লড়াই হবে শাসক দল ও বিরোধীদের মধ্যে।
করিমপুরের অধিকাংশ বুথেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কালিয়াগঞ্জে পঞ্চাশ শতাংশের কাছাকাছি ও খড়গপুরে পঞ্চাশ শতাংশেরও বেশি বুথে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তিন আসনের ৩১০টি বুথে থাকবেন মাইক্রো অবজার্ভার।