বিধান সরকার: দোকান ঘর নিয়ে জীবিকা চালাতে পারবেন এলাকার মানুষ। এই উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকার চালু করেছিল কর্মতীর্থ প্রকল্প। হুগলির জাঙ্গীপাড়ার কোতলপুরের বাহানা গ্রামেও করা হয় এমই একটি কর্মতীর্থ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জাঙ্গীপাড়ার কর্মতীর্থে দোতলা বিল্ডিংয়ে রয়েছে ২৬টি দোকানঘর। সেই কর্মতীর্থ তৈরী হয়ে পড়ে থাকলেও কেউ দোকান নেওয়ার জন্য আগ্রহ দেখায়নি। গ্রামের মানুষ মনে করে বাহানার যেখানে কর্মতীর্থ করা হয়েছে তার বিপরীত দিকে রয়েছে ইদগাহ। গ্রামের মানুষের বিশ্বাস এখানে কোনও দোতলা বাড়ি করলে সেখানে অশরীরীর উপদ্রব হয়। তাই গ্রামে কোনও দোতলা বাড়ি করতে সাহস পায় না কেউ। কর্মতীর্থ করার সময় গ্রামবাসীরা সেকথা জানালেও তা শোনা হয়নি বলে অভিযোগ।


ফাঁকা পড়ে থাকা কর্মতীর্থে কিছুদিন পুলিস ক্যাম্প করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিসও নাকি অশরীরীর উপস্থিতি টের পেয়ে পাততাড়ি গুটিয়েছে। জাঙ্গীপাড়া ব্লক প্রশাসন কোনও সরকারি দপ্তরকে ওই ভবন ভাড়া দেওয়ার কথাও ভেবেছিল। কিন্তু কেউই আগ্রহী হয়নি। জাঙ্গীপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তমাল চন্দ সে কথা মেনেও নিয়েছেন। তিনি জানান, এই সমস্যার কারনে ২০১৯ সালে তৈরী হওয়া কর্মতীর্থ পড়ে রয়েছে। বর্তমানে মানুষকে বোঝানোর ফলে তারা দোকান নিতে চাইছেন। ইতিমধ্যে কয়েকটি দেওয়ায় হয়েছে। আবেদনও জমা পড়ছে। যারা একতলায় দোকান নিয়েছেন তাদেরই বলা হয়েছে দোতলায় গোডাউন করতে।


গ্রামবাসীরা জানান,একতলায় কেউ কেউ দোকান করতে রাজি হলেও দোতলায় কেউ রাজি নয়। গ্রামবাসী আসরাফ আলি মল্লিক বলেন,এই গ্রামে দোতলা ঘরবাড়ি দোকান করা যায় না। দোতলা বাড়ি করেও থাকতে পারেনি এমন হয়েছে। আবার রাস্তার পাশে দোতলা দোকান করেও চালাতে পারেনি। পীরের আস্তানা থাকায় দোতলায় নিষেধ আছে বলে মনে করা হয়। দোতলা কর্মতীর্থ জোর করে করা হয়েছে। তাই কেউ নিতে আগ্রাহী নয়। আবার এই ধারনা নিয়ে ভিন্ন মতও আছে। গ্রামবাসী সেখ হোসেন বলেন,ফাঁকা এলাকায় ব্যবসা চলবে না বলে কেউ দোকান নিতে চায় না।অন্য জায়গায় হলে ভালো হত। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তমাল চন্দ্রও মনে করেন ভুল জায়গায় কর্মতীর্থ করা হয়েছে।


আরও পড়ুন-Visva Bharati: অনলাইন বনাম অফলাইন; তুলকালাম বিশ্বভারতী, তালা ভেঙে পরীক্ষায় বসলেন কিছু পড়ুয়া


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)