Keshpur: সিপিএম পার্টি অফিস বন্ধ রাখার হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল মন্ত্রী শিউলি সাহা
সিপিএম-এর অভিযোগ সভা শেষের পরেই তৃণমূলের লোকেরা জামশেদ আলী ভবনে সামনে এসেছিলেন। এসেছিলেন মন্ত্রী শিউলি সাহাও। পার্টি অফিস কেন খোলা হচ্ছে দলীয় কার্যালয়ে থাকা কর্মীদের জিজ্ঞাসা করার পাশাপাশি হুমকি দিয়ে বলা হয় পার্টি অফিস বন্ধ করে দিতে।
চম্পক দত্ত: সিপিএম পার্টি অফিসে ঢুকে পার্টি অফিস বন্ধ রাখার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল কেশপুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শিউলি সাহার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কেশপুরের সিপিএমের পার্টি অফিস জামশেদ আলী ভবনে। রবিবার কেশপুরে সিপিএমের এক কর্মীসভা হয়েছিল দলীয় কার্যালয় জামশেদ আলি ভবনে।
সিপিএম-এর অভিযোগ সভা শেষের পরেই তৃণমূলের লোকেরা জামশেদ আলী ভবনে সামনে এসেছিলেন। এসেছিলেন মন্ত্রী শিউলি সাহাও। পার্টি অফিস কেন খোলা হচ্ছে দলীয় কার্যালয়ে থাকা কর্মীদের জিজ্ঞাসা করার পাশাপাশি হুমকি দিয়ে বলা হয় পার্টি অফিস বন্ধ করে দিতে। কেশপুর সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক সৈয়দ নিয়ামত হোসেন বলেন, ‘তৃণমূল ভয় পেয়েছে। মানুষ সশরীরে সিপিএমের জন্য বেরিয়ে আসছে। জমায়েত বাড়ছে আর তাতেই আতঙ্কিত হয়ে এই রকম হুমকি দিচ্ছে। যিনি বলেছিলেন প্রার্থী খুঁজে না পেলে আমাদেরকে বললে আমরা প্রার্থী দেব, তিনিই এসেছিলেন পার্টি অফিস বন্ধ করতে। যাতে সিপিএম না বাড়ে যাতে বিজেপি বাড়ে উদ্দেশ্য ওটাই ছিল’।
আরও পড়ুন: কোটি টাকা খরচে পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তায় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ!
তিনি আরও বলেন, ‘কঙ্কাল কান্ড নিয়ে একটি মিথ্যা কেস দিয়ে স্বার্থসিদ্ধি হয়নি। আবার সেই কঙ্কালের নাম দিয়ে নিজেরা কঙ্কাল ঘটানোর চেষ্টা করছে। যা ঘটেছিল ১৪ নম্বর অঞ্চলে একসঙ্গে তিনজনকে খুন, যা ঘটেছিল মধুপুরে একসঙ্গে পাঁচ জনকে খুন, সেই ঘটনা আবার ঘটাতে চাইছে কেশপুরে শিউলি সাহা। বিরোধীদলের পার্টি অফিসে এসে পার্টি অফিস বন্ধ করার হুমকি দেওয়া এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এর জবাব কেশপুরের মানুষ দেবে। ২৩ সালের ভোটে দেবে এবং ২৪ সালের ভোটেও দেবে ২৬-এ দেবে এবং উনি কেশপুর থেকে বিদায় নেবেন। কেশপুরে এমন কোনও বুথ নেই যেখানে ৬০ শতাংশ মানুষের সমর্থন নেই। ফেয়ার এন্ড ফ্রী যদি ভোট হয় তাহলে শিউলি সাহা এবং তার দল বুঝে নেবে কি জিনিস কেশপুর’।
কেশপুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শিউলি সাহা বলেন, ‘হার্মাদ খুনি কঙ্কাল কাণ্ডের যারা নায়ক, নিয়ামত থেকে শুরু করে কয়েকজন জামশেদ আলী ভবনে লাফালাফি করছে। আমাদের উল্টাপাল্টা আজেবাজে ভাষায় গালিগালাজ করছে। আমাদের লোকজনকে উল্টাপাল্টা বলছে, আমি আজকে প্রত্যক্ষ করলাম। আমি ওয়ার্নিং দিয়ে দিয়েছি ভদ্র ভাবে থাকলে ভাল, তা না হলে কেশপুরের মানুষ জবাব দিতে জানে’।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: সন্ধে হলেই টিনের চালে পড়ছে ইটপাটকেল, টানা ৪২ দিন আতঙ্কে জলপাইগুড়ির একাধিক পরিবার
পুরো বিষয় নিয়ে বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি অরূপ দাস বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের সিপিএম বলে কিছু নেই পুরোটাই গটআপ কেস। বিজেপিকে আটকানোর জন্য আজকে সিপিএম, তৃণমূল এবং কংগ্রেস একটি অলিখিত জোট তৈরি হয়েছে। যেহেতু পশ্চিমবাংলায় সিপিএম-এর কোনও অস্তিত্ব নেই কিন্তু সিপিএমকে তুলে ধরতে হবে তাই তৃণমূল বিভিন্ন জায়গায় সিপিএম-এর বন্ধ পার্টি অফিস পর্যন্ত খুলিয়ে দিয়েছে এবং সিপিএম-এর অফিসের লোক না হলে সেই লোকটাও অফিসে দিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল। আসলে সিপিএম-কে পিছন দিক থেকে তুলে ধরে দেখানোর চেষ্টা করছে যে সিপিএম বাড়ছে তাই কেশপুরের অফিসে গিয়ে মন্ত্রী শিউলি সাহার হুমকি দেওয়া। এটাও কিন্তু মানুষের একটা আইওয়াশ। মানুষকে দেখানো যে পশ্চিমবাংলায় বিজেপি নয় সিপিএম বাড়ছে। এটা পুরোটাই গটআপ। পুরোটাই তৃণমূল এবং সিপিএম-এর মধ্যে কথা বলে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে’।