নিজস্ব প্রতিবেদন: এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। আলি হাসান নামে ওই নেতা এখন আহত অবস্থায় এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। বুধবার ওই ঘটনায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে হুগলির খানাকুলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-চারটি ধাপে ভাঙা হবে পোস্তা উড়ালপুল, ১৫ জুন থেকে কাজ শুরু


আহত ওই নেতা ও তার অনুগামীদের অভিযোগ, বুধবার এলাকার মানুষদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য একটি তালিকা তৈরির কথা ছিল। সেই উদ্দেশ্য দুপুরে খানাকুলের ধরমপুর থেকে খানাকুল পঞ্চায়েতে আসছিলেন আলি হাসান। সেসময় তাদের উপরে হামলা চালায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সেখ লাল, নূরনবি মণ্ডল ও তার সঙ্গীসাথীরা। আলি হাসানকে লাঠি ও বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে তার মাথায় ও পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় খানাকুল হাসপাতালে। উল্লেখ্য, আলি হাসানের স্ত্রী ফিরদৌসি বেগম খানাকুল-২ পঞ্চায়েতের প্রধান।


আরও পড়ুন-বার্নপুরে ইসকোর কারখানায় গ্যাস লিক, মৃত ২


মারধরের খবর ছড়িয়ে পড়তেই খানাকুল(Khanakul) হাসপাতালে জড়ো হন আলি হাসানের অনুগামীরা। আঘাত গুরুতর হওয়ায় আহত নেতাকে ভর্তি করা হয় আরামবাগের(Arambagh) এক বেসরকারি হাসপাতালে।  এদিকে, হাসপাতালের পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ঘটনাস্থলে যায় খানাকুল থানার পুলিস। অপরদিকে এই ঘটনার পর নতুন করে ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে ধরমপুর এলাকায়। নতুন করে এলাকা যাতে উত্তপ্ত না হয় তার জন্য খানাকুলের বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন থমথমে।


অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা নূরনবি মন্ডল ঘটনার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করে বলেন,আমি আমার এক আত্মীয়র আর্শীবাদীর অনুষ্ঠানে হিয়াতপুরে আছি। খানাকুলে এক তৃণমূল নেতা মার খেয়েছেন খবর পেয়েছি। সংবাদমাধ্যম থেকে বলা হচ্ছে আমি নাকি ওই ঘটনারর সময় ঘটনাস্থলে ছিলাম। এটা একেবারেই মিথ্যে। আমাকে এতে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি পুলিসকে বলেছি যথাযথ ভাবে তদন্ত করা হোক। এটা আমার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র।