নিজস্ব প্রতিবেদন: খড়দহে শুটআউট। দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত প্রাক্তন বিধায়ক কাজল সিনহা ঘনিষ্ঠ সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। নাম রণজয় শ্রীবাস্তব। গুলি চলার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য। এখনও গ্রেফতার ৫ জন। বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের। অভিযোগ অস্বীকার বিজেপির।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ শুট আউটের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার সময় নিজের গাড়ি করে ব্যারাকপুর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন নিহত তৃণমূল কর্মী রণজয় শ্রীবাস্তব। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বন্ধু সনু সিং। অভিযোগ, খড়দহ থানার বাগদি পাড়া এলাকায় হঠাৎই তাঁদের গাড়ি ঘিরে ধরে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। গাড়ি লক্ষ্য করে প্রথমে বোমাবাজি করা হয়। কোনও ভাবে প্রাণ বাঁচিয়ে পালান সনু সিং। এরপরই গুলি চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। গুলি লাগে রণজয় শ্রীবাস্তবের গায়েও। বোমা-গুলির আওয়াজে বেরিয়ে আসেন দুষ্কৃতীরা। সঙ্গে সঙ্গে এলাকা ছেড়ে পালান দুষ্কৃতীরা।


আরও পড়ুন: Weather Today: বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা উত্তরবঙ্গে, বর্ষণের ইঙ্গিত দক্ষিণেও


আরও পড়ুন: Malbazar: ভোররাতে শহরে ঢুকে পড়ল বাইসন, ঘাতক পশুর হামলায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু গৃহবধূর


গুরুতর আহত অবস্থায় রণজয় শ্রীবাস্তবকে প্রথমে বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তার আগেই রণজয় শ্রীবাস্তবের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় মুখ খুলতে নারাজ নিহতের পরিজনরা। খড়দহ থানায় দায়ের হয়েছে অভিয়োগ। এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতদের নাম মহম্মদ জাভেদ, মহম্মদ সাহিল হোসেন, মোসেল খান, জাহিদ হোসেন, জুয়েল কুমার মল্লিক এবং বিনোদ মল্লিক। তারা সকলেই তৃণমূল কর্মী বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন, পরিকল্পিত খুনের ষড়যন্ত্র, বেআইনি অস্ত্র ব্যবহার এবং বিস্ফোরণের মামলা রজু করেছে পুলিস।


এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। বিজেপির মদতে দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। এই হামলার ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল বলে পাল্টা দাবি বিজেপির।