ওয়েব ডেস্ক : মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ। আর তাকে ঘিরেই পুনরুজ্জীবনের স্বপ্ন দেখছে শান্তিনিকেতনের খোয়াই। নগর সভ্যতার কলরবে হারিয়ে যেতে বসা অদ্ভুত প্রকৃতি এখন অধীর প্রতীক্ষায়। কবে সেজে উঠবে নতুন সাজে?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খোয়াই। লাল লাল কাঁকড়ে উঁচু নীচু ঢেউ। অসীম নিস্তব্ধতায় মোড়া অদ্ভুত প্রকৃতি। এখানে এলে প্রকৃতির সঙ্গে মুখোমুখি দাঁড়ানোর অশেষ সুযোগ। উত্তরায়ণ বাড়ির জানলা গলে এই ব্রজডাঙাতেই হারিয়ে যেত রবি কবির দৃষ্টি। এমন আদুরে খোয়াইও নগরায়নের আগ্রাসন থেকে রক্ষা পায়নি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে গড়ে উঠছে একের পর এক হোটেল রেস্তোরাঁ। অবৈধ নির্মাণে হারাতে বসেছে শান্তিনিকেতনের নস্ট্যালজিয়া।


ঠিক এমন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ। আর তাতেই জিওনকাঠির ছোঁয়া পাচ্ছে খোয়াই। ২২ মে বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠক সেরেই খোয়াই চলে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খোয়াইবনের হাট ঘুরে দেখে সেখানে ইকো ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেন তিনি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুন্ন রেখেই খোয়াইকে সাজাতে চায় পর্যটন দফতর। তাই বিশ্বভারতীর সঙ্গে আলোচনা করে পরিবেশ বান্ধব উন্নয়ন মডেল তৈরি করা হচ্ছে। তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে।  জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা খোয়াইয়ের খুঁটিনাটি দেখে এসেছেন।


এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, খোয়াইয়ে ইকো পার্ক গড়তে গিয়ে কীসে কীসে জোর দিচ্ছে সরকার-
পর্যটকদের জন্য বিশেষ শেড
ওয়াচ টাওয়ার
বসার জায়গা
পানীয় জল
শৌচালয়


প্রকৃতির টানে খোয়াইয়ে আসেন বহু পর্যটক। তাঁদের জন্য পসরা নিয়ে হাজির হন গ্রামীণ শিল্পীরা। উপার্জনের জন্য পর্যটকরাই তাঁদের ভরসা। তাই খোয়াইয়ে ইকো পার্কের পরিকাঠামো গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।


"গ্রীষ্মের গনগনে তপ্ত দুপুরে খোয়াইয়ের অদ্ভুত রূপ। যেন সারি সারি অসুরের মুণ্ড কেউ সাজিয়ে রেখেছে।" জীবনস্মৃতিতে লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। খোয়াই রবি ঠাকুরের স্মৃতিকথাতেই থাক। যান্ত্রিক সভ্যতার জঠরে সেঁধিয়ে যাওয়া আমরা চাই, লাল কাঁকুড়ে মাটি আর সবুজ মোড়া জ্যান্ত খোয়াই। মমতার স্পর্শে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতীক্ষায় ব্রজডাঙার ঢেউ তোলা ভূমিরূপ।  


আরও পড়ুন, ষষ্ঠ বর্ষপূর্তিতে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান পেশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়