নিজস্ব প্রতিবেদন: কত বচন যে আমাদের দৈনন্দিনে মিশে রয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। আমরা প্রায়ই সে সব বলে থাকি। কিন্তু অনেক সময়েই সেই অর্থে সচেতন থাকি না যে, এগুলি ঠিক কী ভাবে এসে মিশল আমাদের ভাষায়-সাহিত্যে, কবে থেকে বা কার দ্বারা!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যেমন-- 'যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্যি রাজার পুণ্য দেশ'। অতিপরিচিত এই লাইনটি প্রায় সকলেরই জানা। বচনের মর্মার্থ অতি সহজ-- মাঘ মাসের শেষের দিকে বৃষ্টি হলে তা ফসলের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। 


কিন্তু কে বলেছেন এই কথা? এটি খনার বচন হিসেবে পরিচিত। যদিও খনার সময়কার পরিবেশ-প্রকৃতি, ঋতু-আবহ সবই এখন ঘোর বদলে গিয়েছে। তবুও এই বহু প্রাচীন কথার কিছু না কিছু বাস্তবতা সব কালেই কিছুটা থেকে যায়। খনার সেই অতি প্রাচীন বচন এ বছরও হয়তো বাস্তবে কিছুটা মিলতেও পারে। কেননা, সময়টা তো একেবারে অব্যর্থ মিলেছে। মাঘমাসের শেষেই নেমেছে বৃষ্টি!


মাঘ মাস শেষ হতে আর মাত্র কয়েকদিন। ক'দিন পরেই আগমন ঘটবে ঋতুরাজ বসন্তের। এরই মধ্যে আবহাওয়ার এই পটবদল। কলকাতায় সকাল থেকে দু'খেপে ভারী বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। পূর্বাভাগ আগেই ছিল। সেটাই সত্যি হল। ইতিমধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনা, বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। কালনায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। খড়গপুর মহকুমার সবং, পিংলা, ডেবরা, নারায়ণগড় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া-সহ প্রবল বৃষ্টি। বৃষ্টি শান্তিপুরেও, ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলেও। 


এবার এই সব এলাকার মানুষ দিনক্ষণ বারতিথি ইত্যাদি মিলিয়ে দেখবেন খনার বচন সত্যিই কতটা সত্য। ফসলের কতটা উপকার হল সেই বিষটেও প্রভূত কৌতূহল জারি থাকবে কৃষিজীবী মহলে।


খনার বচন চার ভাগে বিভক্ত-- কৃষিকাজের প্রথা ও কুসংস্কার সংক্রান্ত, জ্যোতির্বিজ্ঞান সংক্রান্ত, আবহাওয়া-জ্ঞান সংক্রান্ত, এবং শস্যের যত্ন সম্পর্কিত। সংশ্লিষ্ট বচনটি বোঝাই যাচ্ছে কৃষিকাজ এবং আবহাওয়া-জ্ঞান সংক্রান্ত।


Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)


আরও পড়ুন: Weather Update: পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে কলকাতায় শুরু 'দুর্যোগ', দার্জিলিংয়েও 'রেকর্ড' তুষারপাত