নিজস্ব প্রতিবেদন: ড্রাইভিং লাইন্স না থাকলে মোটরসাইকেল কেনা যাবে না, রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকার ওপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এক মামলার শুনানিতে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন বলেন, 'এই নিয়ে রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা বিভ্রান্তিমূলক ও পরস্পরবিরোধী।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ৪ জুলাই রাজ্য পরিবহণ দফতরের তরফে জারি এক নির্দেশিকায় জানানো হয়, কারও কাছে লাইসেন্স না-থাকলে তাকে বিক্রি করা যাবে না মোটরসাইকেল। কোনও নাবালক মোটরসাইকে কিনলে সঙ্গে হাজির থাকতে হবে তাঁর বাবা অথবা মা-কে। রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকার জেরে বেজায় বেকায়দায় পড়েন মোটরসাইকেল বিক্রেতারা। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। 


সেই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার রাজ্যের নির্দেশিকার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন জানান, রাজ্যের সিদ্ধান্ত বিভ্রান্তিমূলক ও পরস্পরবিরোধী। একদিকে সরকার বলছে লাইসেন্স না থাকলে কাউকে মোটরবাইক বিক্রি করা যাবে না। অন্য দিকে নাবালকদের বাবা-মায়ের উপস্থিতিতে মোটরবাইক বিক্রি করা যাবে বলে জানিয়েছে সরকার। নাবালকের হাতে লাইসেন্স কোথা থেকে আসবে? প্রশ্ন আদালতের।


যদিও অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল অভ্রতোষ মজুমদার বলেন, রাজ্যে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা কমাতে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ' অভিযান শুরু করেছেন তিনি। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে রাজ্যে সব থেকে বেশি ২ চাকার যান দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তাই লাইসেন্স না থাকলে মোটরসাইকেল বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। 


রাজ্যে লিটার পিছু ১ টাকা কমল পেট্রোল-ডিজেলের দাম, নবান্নে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর


আবেদনকারীদের আইনজীবী পালটা বলেন, এই নির্দেশিকা মোটর ভেহিকলস আইন বিরোধী। তাই নির্দেশিকাও বেআইনি।


দুপক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি জানান, রাজ্য সরকারের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী। তাই নির্দেশিকার অংশবিশেষের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। 


গত জুলাইয়ে রাজ্য সরকারের ওই নির্দেশিকার পর রাজ্যজুড়ে দু'চাকার গাড়ি বিক্রিতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যায় মোটরসাইকেল ও স্কুটার বিক্রি। যার জেরে বিপাকে পড়ে মোটরসাইকেল নির্মাতারা।