ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে পুলিস হেফাজতে সিভিক ভলিন্টিয়ার
ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সিভিক ভলেন্টিয়ার এর চার দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বারুইপুর মহকুমা আদালতের বিচারক। ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছিল ভাঙড় থানার পুলিস। ধৃত ব্যক্তির নাম ফিরোজ মিদ্দে। সে বিধাননগর পুলিস কমিশনার-এর DD ডিপার্টমেন্টের কর্মরত সিভিক ভলেন্টিয়ার বলে যানা যায়।
প্রসেনজিৎ সর্দার: ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সিভিক ভলেন্টিয়ার এর চার দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বারুইপুর মহকুমা আদালতের বিচারক। ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছিল ভাঙড় থানার পুলিস। ধৃত ব্যক্তির নাম ফিরোজ মিদ্দে। সে বিধাননগর পুলিস কমিশনার-এর DD ডিপার্টমেন্টের কর্মরত সিভিক ভলেন্টিয়ার বলে যানা যায়।
আরও পড়ুন, Durga Puja Weather: ধেয়ে আসছে নিম্নচাপ, দশমীতে দুর্যোগের পূর্বাভাস! নবমীতে বৃষ্টি কোথায় কোথায়?
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস প্রায় দু'দিন পর অপহৃত ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছে। মুক্তিপণের দাবিতে ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার অভিযোগে সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাকে ধরা হয় নিউটাউন এলাকা থেকে। পুলিস জানিয়েছে, অপহৃত ওই ব্যবসায়ীর নাম রহমত মোল্লা। তাঁর স্ত্রী রশিদা বিবির অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর পুলিস কমিশনার এর DD ডিপার্টমেন্টের কর্মরত সিভিক ভলেন্টিয়ার ফিরোজ মিদ্দেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ভাঙড় থানার শাঁকশহর এলাকার বাসিন্দা রহমত মোল্লার সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল ঐ সিভিক ভলেন্টিয়ারের। অভিযোগ গত বুধবার ফিরোজ সহ তাঁর সাগরেদরা পুলিসের পরিচয় দিয়ে রহমতকে ভাঙড় থানার বালিগাদা এলাকায় ডাকে। রহমত সেখানে আসতেই ফিরোজ সহ অন্যরা তাঁর মুখ চাপা দিয়ে গাড়িতে তুলে নিউটাউন এলাকায় নিয়ে চলে যায়। অভিযোগ সেখানে দুদিন ধরে আটকে রেখে রহমতের বাড়িতে মুক্তিপন চেয়ে ফোন করতে থাকে। অভিযোগ অপহরণকারীরা প্রথমে ৫০ লক্ষ টাকা চায়। ওই টাকা দিতে অক্ষমতার কথা জানান রহমতের পরিবার। পরে তা কমিয়ে ১০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়।
এরপরই রহমতের স্ত্রী রশিদা বিবি সমস্ত তথ্য দিয়ে পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। তারপরই তদন্তে নামে পুলিস। বিভিন্ন সূত্র ধরে পুলিস নিউটাউন এলাকা থেকে অপহৃত রহমতকে উদ্ধার করে। ঘটনায় জড়িয়ে থাকার অভিযোগে ফিরোজকে গ্রেফতার করে।ফিরোজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত তার খোঁজ করছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার পুলিস স্টিকার লাগানো চারচাকা গাড়ি করে এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন। কলকাতা পুলিস ও বিধাননগর পুলিসের একাধিক উচ্চ পদস্থ কর্তার সঙ্গে তার নিবিড় যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ । সেই যোগাযোগের সূত্র ধরে বহু অফিসারের বদলি প্রমোশন তার হাত দিয়েই হতো বলে অভিযোগ। সম্প্রতি ভাঙড়কে কলকাতা পুলিসের অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হলে অভিযুক্ত ফিরোজ মিদ্দে একাধিক সিভিক রিকুটমেন্ট এর ফর্ম ছাপায়। তিনি পয়সার বিনিময়ে সিভিক ভলেন্টিয়ার রিক্রুটমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন, Asansol Suicide: ষষ্ঠীর দিন সপরিবারে আত্মহত্যা! উদ্ধার বাবা-মা ও ছেলের ঝুলন্ত দেহ
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)