নিজস্ব প্রতিবেদন : জেএমবি-র বিরুদ্ধে অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিস। ভারতে জেএমবি-র প্রধানকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। ধৃতের নাম ইজাজ আহমেদ। গয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইজাজকে। ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হচ্ছে ধৃত জঙ্গিকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিনের ভারত শাখার 'আমির' ছিল ইজাজ। 'আমির' মানে প্রধান। বোধগয়া বিস্ফোরণ, খাগড়াগড় বিস্ফোরণ সহ ভারতে জেএমবি-র একাধিক নাশকতামূলক কাজের 'মাথা' ছিল এই ইজাজ। উল্লেখ্য, ইজাজের আগে ভারতে জেএমবি শাখার প্রধানের দায়িত্বে ছিল খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডের মূলচক্রী কওসর। মাসখানেক আগে গ্রেফতার হয় কওসর। কওসরের গ্রেফতারির পর ভারতে জেএমবি প্রধানের দায়িত্ব পায় ইজাজ। মহম্মদ ইজাজের গ্রেফতার নিঃসন্দেহে কলকাতা পুলিসের বড় সাফল্য। আইবি ও গয়া পুলিসের সহযোগিতায় ইজাজকে গ্রেফতার করে এসটিএফ।


আরও পড়ুন, অনুমোদনহীন কর্মী নিয়োগ নয় পৌরসভায়, কড়া নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন


সূত্রে খবর, কওসরকে জেরা করে ইজাজের সম্বন্ধে প্রথমে জানতে পারে এসটিএফ। কিন্তু কোথায় তার সন্ধান পাওয়া যাবে? সে বিষয়ে কিছু জানা যাচ্ছিল না। অবশেষে দিন কুড়ি আগে সূত্র মারফত কলকাতা পুলিস খবর পায় যে, বিহারে আত্মগোপন করে রয়েছে ইজাজ। এরপরই আইবি-র সাহায্য চাওয়া হয়। দিন চারেক আগে গয়া যায় এসটিএফ-এর একটি দল। গয়ার একটি বাড়িতে ইজাজের আত্মগোপন করে থাকার খবর নিশ্চিত হতেই, গয়া পুলিসের সাহায্য নিয়ে শেষমেশ গ্রেফতার করা হয় ইজাজকে। কিন্তু, গ্রেফতারের পরই শুরু হয় আসল নাটক। চোস্ত ইংরেজি বলা ইজাজ নিজেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দেয়। এতেই ধন্দে পরে যায় এসটিএফ ও আইবি। গয়া থেকেই তারপর ভিডিও কল করা হয় এনআইএ-কে। সেখান থেকেই কওসর চিনিয়ে দেয় এক সময়ের ঘনিষ্ঠ ইজাজকে।


কে ইজাজ?


জানা গিয়েছে, বীরভূমের বাসিন্দা ইজাজ কেমিকাল ইঞ্জিনিয়ার। বছর সাতেক আগে কওসরের সঙ্গে দেখা হয় তার। কওসরের কাছেই প্রশিক্ষণ নেয়। আইডি তৈরি থেকে জঙ্গি নিয়োগ সব বিষয়েই হাতেখড়ি হয়। ধীরে ধীরে 'দক্ষ' হয়ে ওঠে। খাগড়াগড় বিস্ফোরণ থেকে গয়া বিস্ফোরণ সবেতেই হাত রয়েছে এই ইজাজের। কওসরের গ্রেফতারির পর সংগঠনের দায়িত্ব পায় সে। জেএমিব-র অন্যতম মাথা সালাউদ্দিনের সঙ্গে সরাসরি কথা হত ইজাজের। ধৃতের কাছ থেকে স্যাটেলাইটে ফোন, জেহাদি নথি, ল্যাপটপ ও বেশকিছু সার্কিট বোর্ড উদ্ধার করেছে এসটিএফ।