Krishnanagar Teachers Fight: স্কুলের মধ্যেই প্রধান শিক্ষক-সহশিক্ষকের `মারপিট`! ভাইরাল `চুলোচুলি`
যদিও প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন বিশ্বাস দাবি করেছেন, তিনি `আত্মরক্ষার্থেই` এমনটা করেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পিছন থেকে মাথার মধ্যে সপাটে এক থাপ্পড়। সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা মুখের মধ্যে ঘুষি, পরের পর কিল-ধাক্কা। স্কুল খোলার আগের দিন প্রধান শিক্ষক ও সহশিক্ষকের মধ্যে এহেন হাতাহাতির (Teachers Fight) ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই ভাইরাল দুই শিক্ষকের 'চুলোচুলি'র ভিডিও।
ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে (Krishnanagar Collegiate School) । জানা গিয়েছে, আজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন বিশ্বাসের কাছে বেতনের স্টেটমেন্ট চান ভুগোল শিক্ষক নিমাই মজুমদার। কিন্তু প্রধানশিক্ষক সেই স্টেটমেন্ট দিতে রাজি হননি। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বচসার (Teachers Fight) সূত্রপাত হয়। স্টেটমেন্ট না পেয়ে ভুগোল শিক্ষক অবস্থানে বসে পড়েন। এরপরই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানশিক্ষক অভিযোগ করেন যে, নিমাই মজুমদারের নামে আদালতে মামলা হয়েছে। স্টাফ রুমে তাঁকে জুতো তুলে মারতে যাওয়ার মত ঘটনাও ঘটেছে। অনেকবার তাঁকে শোকজও করা হয়েছে।
ঠিক সেইসময়ই, প্রধান শিক্ষকের কথা শেষ হওয়ার আগেই, পিছনে চেয়ারে বসা নিমাই মজুমদার উঠে এসে মনোরঞ্জন বিশ্বাসের মাথার পিছনে সজোরে থাপ্পড় বসিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে ঘুরে গিয়ে পাল্টা নিমাই মজুমদারের মুখে ঘুষি বসিয়ে দেন প্রধান শিক্ষক। পর পর বেশ কয়েকটি ঘুষি মারেন তিনি। পিঠে কিলও মারেন। পুরো ঘটনাটি-ই ক্যামেরাবন্দি হয়। যদিও প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন বিশ্বাস দাবি করেছেন, তিনি 'আত্মরক্ষার্থেই' এমনটা করেছেন।
তবে ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বিবৃতি জারি করে কড়া নিন্দা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে," আজকে কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক যে আচরণ করেছেন তা অত্যন্ত নিন্দনীয়, ন্যক্কারজনক এবং ক্ষমার অযোগ্য। পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুলের ইতিহাসে এমন জঘন্য নারকীয় কাজের কোনও পূর্ব ইতিহাস নেই। আমরা প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর, শিক্ষা দফতর এবং মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন করছি অনতিবিলম্বে এই প্রধান শিক্ষক মহাশয়কে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া না হলে সারা পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুল এবং সমগ্র শিক্ষা জগতের কাছে এই শিক্ষা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্বিষহ বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বহুবার দুর্নীতির এবং আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও, এমনকি প্রশাসনিক বিভিন্ন তদন্তে সেই আর্থিক অনিয়ম প্রমাণিত হলেও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে প্রতিবারই শাস্তির হাত থেকে তিনি মুক্তি পেয়ে বহাল তবিয়তে তাঁর এমন শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্করহিত আচরণ দিনের পর দিন করে গেছেন। একইসঙ্গে আমরা প্রশ্ন রাখছি যে কোন পরিপ্রেক্ষিতে এইরকম একজন প্রধান শিক্ষক এই ৩৯টি সুপ্রাচীন সরকারি স্কুলের অন্যতম একটি প্রধান বিদ্যালয়- কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে যোগদানের নিয়োগপত্র পেলেন সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।"
এই ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, "কৃষ্ণনগরের ছবি ভাইরাল। শিক্ষকদের মারপিট! সবাই দেখতে পাচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী কি কোনও ব্যবস্থা নেবেন?"
আরও পড়ুন, ভালবেসে বিয়ের ৩ বছরেই বৈধব্য, নিজে হাতে বৌমার আবার বিয়ে দিলেন সন্তানহারা শ্বশুর
তৃণমূলে একটাই গ্রুপ, কথা দিন কারও সঙ্গে দ্বন্দ্ব করবেন না : Mamata