`এসপি থেকে ওসি হতে চাই না`, জেলা কমিটি থেকে বাদ পড়ে বললেন কৃষ্ণেন্দু
মালদা জেলা তৃণমূলের অন্দরে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী ও সাবিত্রী মিত্রের কোন্দল সুবিদিত। দলনেত্রী বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও পরিস্থিতির হেরফের ঘটেনি। সেই গোষ্ঠী কোন্দলের `শাস্তি` স্বরূপই যেন দলের মধ্যে ডানা ছাঁটা হল কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী ও সাবিত্রী মিত্রের।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মালদা জেলা তৃণমূলের অন্দরে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী ও সাবিত্রী মিত্রের কোন্দল সুবিদিত। দলনেত্রী বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও পরিস্থিতির হেরফের ঘটেনি। সেই গোষ্ঠী কোন্দলের 'শাস্তি' স্বরূপই যেন দলের মধ্যে ডানা ছাঁটা হল কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী ও সাবিত্রী মিত্রের।
তৃণমূল কংগ্রেসের নব গঠিত মালদা জেলা কমিটিতে নাম নেই রাজ্যের প্রাক্তন দুই মন্ত্রীর। 'সান্ত্বনা পুরষ্কার'-এর মতো মানিকচক ব্লকের সভানেত্রী করা হয়েছে সাবিত্রী মিত্রকে। কিন্তু কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে জেলায় কোনও দলীয় পদেই রাখা হয়নি। জেলার কোনও কমিটিতেই নাম নেই তাঁর। পাশাপাশি, জেলা কমিটিতে নাম নেই এই দুই নেতা-নেত্রীর কোনও অনুগামীরও।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলার এই দুই হেভিওয়েটের এভাবে ডানা ছাঁটার সিদ্ধান্তে তোলপাড় মালদা তৃণমূল। এই নিয়ে নতুন করে গোষ্ঠীকোন্দলের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে দলের অন্দরে। তবে বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন মালদা জেলা তৃণমূল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। এ বিষয়ে রাজ্যে নেতৃত্বের কোর্টেই বল ঠেলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন, বিদ্যাসাগর, রামমোহনের সঙ্গে একাসনে 'সমাজ সংস্কারক' মোদী!
তবে এই ঘটনাকে পাত্তা দিতে নারাজ 'ডাকাবুকো' কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ। কমিটি থেকে বাদ পড়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'এসপি থেকে ওসি হতে চাই না।' এরপরই তিনি জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটির সদস্য হিসেবে দল যা বলবে, তাই করবেন তিনি। অন্যদিকে দলের একজন অনুগত কর্মী হিসেবে দলীয় নির্দেশ মেনে কাজ করার কথা জানিয়েছেন সাবিত্রী মিত্রও।