COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


ওয়েব ডেস্ক: পাহাড়ে আগুন জ্বলছেই। কার্শিয়ংয়ে শতাব্দী প্রাচীন বাঙালি কমিউনিটি হল রাজরাজেশ্বরী পুড়ে ছাই। মঙ্গলবার রাত ২টো নাগাদ ওই কমিউনিটি হলে আগুন লাগে। মোর্চার বিরুদ্ধে অভিযোগ। অস্বীকার করেছে মোর্চা।


পুড়ে ছাই কার্শিয়ঙে স্মৃতি বিজড়িত রাজ রাজেশ্বরী কমিউনিটি হল। ঐতিহ্য, আবেগ আর উত্তরাধিকার এক লহমায় শেষ। কাঠ , পাথর আর কংক্রিটের তৈরি এই কমিউনিটি হল এখন কঙ্কালসার চেহারা নিয়ে দাঁড়িয়ে।  


এক নজরে দেখে নেওয়া যাক প্রাচীন এই হলের ইতিহাস:
১৯৩০ সালে কার্শিয়ং স্টেশনের কাছে তৈরি হয় রাজ রাজেশ্বরী হল। এর রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল কার্শিয়ঙের বাঙালি অ্যাসোসিয়েশন। এখানেই কার্শিয়ঙের শতাব্দীপ্রাচীন দুর্গাপুজো হয়। ২০০৭-০৮ সালে পাহাড় অশান্ত থাকার সময়েও রাজ রাজেশ্বরী হলে আঁচড় পড়েনি। নেতাজির স্মৃতি বিজড়িত রাজ রাজেশ্বরী কমিউনিটি হল। কার্শিয়ঙের কাছে গিদ্দা পাহাড়ে বসু পরিবারের বাড়ি ছিল। গিদ্দা পাহাড়ের বাড়িতে এলে এখানকার মানুষজনের সঙ্গে দেখা করতেন নেতাজি। ১৯৩৮ সালে নেতাজি ঐতিহাসিক হরিপুরা কংগ্রেসের খসড়া রচনা করেন গিদ্দা পাহাড়ের বাড়িতে বসে। সেইসময় এখানে অনেকবারই এসেছিলেন নেতাজি। 


এই ঘটনায় মোর্চার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠছে। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কার্শিয়ঙের মোর্চা বিধায়ক রোহিত শর্মার দাবি, ঘটনার পেছনে রয়েছে দুষ্কৃতীরা। একইসঙ্গে রাজ রাজেশ্বরী হলে আগুনের ঘটনা নিন্দনীয় বলেও প্রতিক্রিয়া তাঁর। সম্প্রতি রাজ রাজেশ্বরী কমিউনিটি হল সংস্কারের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরই নির্দেশে ৩৮ লক্ষ টাকার সংস্কার প্রকল্প নেয় পূর্ত দফতর।