Lakshmi Puja: পাঁচ দিন ধরে লক্ষ্মীপুজো! নৌকায় করে মহানন্দা নদীতে ভাসান...
Lakshmi Puja: ধর্মডাঙা পল্লীশ্রী ক্লাবের লক্ষ্মীপুজো। প্রতিবছর এ পুজোয় লক্ষ্মীদেবীর প্রতিমায় আরাধনা করা হলেও এবার লক্ষীনারায়ণের আরাধনা করছে তারা। তাদের পুজো এ বছর ৪২ বছরে পদার্পণ করল। বাজেট ৩ লক্ষ টাকা।
রণজয় সিংহ: পাঁচ দিন ধরে চলে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। রীতি মেনে লক্ষ্মী ছাড়াও একাধিক দেবদেবীর মূর্তি পূজিত হন এখানে। এই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো অনুষ্ঠিত হয় মালদহ শহরের কোঠাবাড়ি রায় পরিবারে। এ বছর রায় পরিবারের পুজো ৮৪ বছরে পড়ল।
আরও পড়ুন: Lakshmi Puja: এখানে লক্ষ্মীর সঙ্গে পুজো পান সরস্বতীও! সঙ্গে থাকে সেই অলৌকিক জিলিপি...
নিয়ম মেনে পুজোর আগের দিন স্থানীয় তিনশো বিশ মোড়ে মেলার আসর বসে। পুজোর প্রথমদিন রাতভর লক্ষ্মীপুজোর অনুষ্ঠান। পাঁচদিনের এই লক্ষ্মীপুজো হয় পুরনো ঠাকুর দালানে। আজও সেখানে সমস্ত নিয়মনিষ্ঠা মেনে পুজো করে আসছেন বর্তমান প্রজন্ম। পুজোর বিশেষ আকর্ষণ হল-- একটি চালির মধ্যেই দেবী লক্ষ্মী-সহ অন্যান্য দেবদেবীদের বসানো হয়। মাঝে থাকেন দেবী লক্ষ্মী। সবার উপরে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর। লক্ষ্মীদেবীর মাথার উপরে দু'পাশে রাম ও লক্ষ্মণ। ডানদিকে, গণেশ-লক্ষ্মী বাঁদিকে সরস্বতী-কার্তিক। পাঁচ দিন ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো হওয়ার পর মহানন্দা নদীতে নৌকায় করে নিয়ে যাওয়া হয় সদরঘাটে। সেই দিন সদরঘাটেও মেলা হয়। সদরঘাট থেকে নৌকায় আবার কোঠাবাড়ি ঘাটে নিয়ে এসে লক্ষ্মীদেবীর বিসর্জন হয়।
পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, ৮৪ বছর আগে ক্ষিতীশচন্দ্র রায় এই পুজো শুরু করেছিলেন। প্রথম থেকেই পরিবারের কুলদেবদেবীদের লক্ষ্মী দেবীর মূর্তির সঙ্গে স্থান দেওয়া হয়। একই সঙ্গে পূজিত হন তাঁরা। সেই রীতি আজও বহাল।
আরও পড়ুন: Lakshmi Puja: 'আমাকে প্রতিষ্ঠা কর, আমার পুজো কর, কন্যারূপে তোদের বংশে আসছি আমি'! বললেন মা লক্ষ্মী...
এখন পুজোর সময়ে শুধু মেলা বসে। তবে এক সময় এই পুজোকে ঘিরে গম্ভীরা বাউল গানের আসর বসত পাঁচ দিন ধরেই। চলত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেই আসর বসত শহরের গোটাবাড়ি এলাকায়। ইদানীং জায়গা অনেক কমে গিয়েছে। ঘিঞ্জি পরিবেশ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর সম্ভব হয় না। তবে আগের মতোই একই ভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে হয়ে আসছে এই লক্ষ্মীপুজো।