নিজস্ব প্রতিবেদন: ডায়মন্ডহারবারে আচমকা ধসে নদীতে তলিয়ে গেল ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ৫০০ মিটার একাংশ। গঙ্গার সৌন্দর্যায়নের কাজের সময় বিপত্তি। রাস্তার পিচে বিশাল ফাটল দেখা দিয়েছে। জলে নেমে গিয়েছে দামি যান্ত্রপাতি। ফলে সকাল থেকেই ডায়মন্ডহারবারের সঙ্গে যোগায়োগ বিচ্ছিন্ন কাকদ্বীপ ও নামখানা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডের ৪ মামলা লখনউ থেকে দিল্লিতে সরাচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট





বারবার তিনবার। ২০০৭ ও ২০১২ সালে বিপদ কান ঘেষে বেরিয়ে গিয়েছিল। ২০১৯ সালে তৃতীয় বারে শেষ রক্ষা হল না। হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ল ডায়মন্ডহারবার থেকে কাকদ্বীপ গামী ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ৫০০ মিটার অংশ। সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির সাংসদ কোটার ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকার সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের সবটারই সলিল সমাধি ঘটল। ১ টি টানেল বোরিং মেশিন, ৩ টি জেসিবি, ২ টি জেনারেটর ভ্যান সহ প্রকল্পের সমস্ত সরঞ্জাম ডুবল নদীতে।


যে রাস্তা অতীতে ২ বার ফাটলের শিকার সেই রাস্তায় নদীর একদম ধার ঘেঁসে এতো ভারি যন্ত্রে কাজ করার জেরেই কি এই বিপত্তি?  উঠছে প্রশ্ন।


কংক্রিটের বেস প্লেট বসানোর উদ্দেশে টানেল বোরিং মেশিন দিয়ে জলের ভিতর রাস্তার নিচে গর্ত খুঁড়তে গিয়ে বিপত্তি? সয়েল টেস্ট করা হয়েছিল? ভার বহনের ক্ষমতা নিয়ে বাস্তুকারের রিপোর্ট কি ছিল? এমন প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।


ভাঙনের জায়গায় নদী বাঁক নিয়েছে। এমনিতেই জলের স্রোত বেশি। তার মধ্যে ঝুলন্ত গার্ডেন তৈরি হচ্ছিল। রাস্তা থেকে ১২ মিটার ঝুলবে জলের দিকে। রাস্তা থেকে ১০ মিটার দূরে জলের মধ্যে ৩০ মিটার পিলার বসানোর জন্য গর্ত খোঁড়া হচ্ছিল। রিভার সায়েন্স কি মানা হয়েছিল?


শুধু সড়ক নয় , পাড়ে বাঁধা জেটি ঘাটের প্ল্যাটফর্মও বিপন্ন। চেন ছিঁড়ে গেছে। তাই জেটি ঘাট নিজে নিজে ঘুরে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে জল পথ পরিবহণও বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে পোর্ট ট্রাস্ট।


আরও পড়ুন-নিজের খাসতালুকেই কাটমানি আদায়ের নামে পড়ল পোস্টার, বেজায় অস্বস্তিতে মুকুল-শুভ্রাংশু


বৃহস্পতিবার সকালে মানুষজন দেখতে পান নদীবক্ষে তলিয়ে যাচ্ছে সবকিছু। এদিন সৌন্দর্যায়নের কাজ বন্ধ ছিল। তাই বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে।


ধসের খবর ছড়াতেই এলাকায় শোরগোল শুরু হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে চলে আসে ডায়মন্ডহারবার থানার পুলিস। বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচল।