নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘরে নুন আনতে পানতা ফুরোয়। এই অবস্থা দীর্ঘদিনের আর তার সঙ্গে আপোস করে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু লকডাউনের জেরে অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে উঠেছিল। গত কয়েকদিন ধরে আধপেটা খেয়ে ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের সদস্য পলি কোলে। খবর পেয়ে এবার তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা।
সরাসরি ফোন করেন সিঙ্গুরের বুড়াশান্তি গ্ৰামের জাতীয় ফুটবলার পলি কোলেকে। মন্ত্রীর সহযোগিতায় চাল, ডাল, তেল, আলু পৌঁছে যায় খেলোয়াড়ের বাড়িতে। সেইসঙ্গে পলির এক বছরের খাবারের দায়িত্ব নিয়েছেন মন্ত্রী।


কুুপনে লেখা নির্দিষ্ট সময়ে দোকানে গেলেই মিলবে রেশন, ভিড় এড়াতে নয়া উদ্যোগ কলকাতা পুলিসের
পাড়ার মাঠেই ছোট থেকে ফুটবল খেলা শুরু। সিঙ্গুর গোলাপ মোহিনী মল্লিক গালর্স হাইস্কুলে পড়াশোনা করতে করতেই বাংলা জুনিয়ার দলে সুযোগ পান পলি। পরে ডাক পান জাতীয় দলে। জাতীয় দলের হয়ে ইন্দোনেশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুরেও খেলতে গিয়েছিলেন পলি কোলে। পেয়েছেন বহু পুরষ্কারও। তবুও তাঁর কপালে জোটেনি কোনও সরকারি চাকরি। বাবার মৃত্যু হয়েছে বহু আগেই। মা মানসিক রোগী। দাদা বেসরকারি কোম্পানিতে চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন। লকডাউনে তাঁর কাজ নেই। ফলে একপ্রকার দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারে এখন হাঁড়ি চড়াই দায় হয়ে উঠেছিল।
রোজ দুবেলা খাওয়া জোটানোই সমস্যা হয়ে যাচ্ছিল পলির। জাতীয় দলের এক সদস্যের এই পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে সাহায‍্যে এগিয়ে আসেন মন্ত্রী।
অভাব তাঁর চিরসঙ্গী। একপ্রকার এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছিলেন পলি। আচমকাই মন্ত্রীর কাছ থেকে সাহায্য পেয়ে চোখের কোণটা চিকচিক করে উঠল তাঁর।