Jalpaiguri: ফের খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ! আতঙ্কমুক্ত চা-বাগান, স্বস্তিতে এলাকাবাসী...
Jalpaiguri: ফের খাঁচাবন্দি হল চিতাবাঘ। বেশ কিছুদিন ধরে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের মরাঘাট চা-বাগানে চিতাবাঘের উপস্থিতি লক্ষ্য করছিলেন চা-শ্রমিকেরা। চিতাবাঘের আক্রমণে দু`দিন আগেও জখম হয়েছিলেন একজন চা-শ্রমিক।
প্রদ্যোত দাস: ফের খাঁচাবন্দি হল চিতাবাঘ। বেশ কিছুদিন ধরে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের মরাঘাট চা-বাগানে চিতাবাঘের উপস্থিতি লক্ষ্য করছিলেন চা-শ্রমিকেরা। চিতাবাঘের আক্রমণে দু'দিন আগেও জখম হয়েছিলেন একজন চা-শ্রমিক। আতঙ্ক ছড়িয়েছিল বাগান জুড়ে। চিতাবাঘ ধরতে বাগানের তরফে বন দফতরের কাছে আবেদনও করা হয়। এরপর প্রায় মাসখানেক আগে মরাঘাট চা-বাগানের এন.জি ৬ নং সেকশনে খাঁচা পাতে বন দফতর।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Update: আনন্দসংবাদ! এবার এগিয়ে আসছে বর্ষা! কবে থেকে নামছে আষাঢ়ের সঘন বারিধারা?
বন দফতরের সেই পাতা খাঁচায় সোমবার বন্দি হল এক পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘ। এদিন প্রথমে শ্রমিকদের নজরে আসে একটি চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের বনকর্মীরা। চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে লাটাগুড়ি প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যান বনকর্মীরা।
জানা গিয়েছে, সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিতা বাঘটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে চিতাবাঘ ধরা পড়তে কিছুটা হলেও আতঙ্কমুক্ত হয়েছেন মরাঘাট চা-বাগান এলাকার বাসিন্দারা।
ওদিকে মালবাজারের অবস্থাও তথৈবচ। হাতির হামলা লেগেই আছে মালবাজার মহকুমায়। আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। খাবারের খোঁজে হাতি হামলা চালাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। হাতির হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হল মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটা ব্লকের সুলকাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খাসবস্তি নেপালি প্রাথমিক স্কুলটি।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল, সোমবার গভীর রাতে। স্কুলের অফিসঘর-সহ ৩ টি শ্রেণিকক্ষ তছনছ করে দাঁতাল হাতিটি। জানা গিয়েছে, গত ১ বছরে এই নিয়ে ৫ বার হাতির হামলার শিকার হল স্কুলটি। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত স্থানীয় মানুষ থেকে অভিভাবক। গভীর রাতে জলঢাকার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে হাতিটি হামলা চালায় স্কুলে। গরমের ছুটির কারণে স্কুলে মজুত ছিল না মিড ডে মিলের সামগ্রী। হাতিটি খাবার না পেয়ে তাণ্ডব চালায় স্কুলে।
এদিন এই দৃশ্য চোখে পড়তেই অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ উগরে বলেন, স্কুলে সীমানা-প্রাচীর নেই। হাতির উপদ্রব রুখতে গেলে প্রাচীর ও স্কুলের চারপাশে গভীর নালা খনন করা দরকার। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ক্ষিতীশ রাই বলেন, এক বছরে ৫ বার হামলার ঘটনা ঘটল। স্কুল মেরামতির জন্যও মেলে না ক্ষতিপূরণ। কীভাবে স্কুল চালানো হচ্ছে, তা শুধু আমরাই জানি। তবে এই ঘটনায় বন দফতরের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস মিলেছে।