Malbazar: মাঝে-মধ্যেই ছাগল-বাছুর খেয়ে যেত চিতাবাঘটি! ধরতে পাতা হল খাঁচা, তারপর?
Malbazar: মঙ্গলবার রাতে খাঁচাবন্দি হল একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘ। মালবাজার ব্লকের ডামডিম পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন গুম্ফা যাওয়ার রাস্তার পাশে বন দফতরের খাঁচায় বন্দি হল চিতাবাঘটি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গতকাল, মঙ্গলবার রাতে খাঁচাবন্দি হল একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘ। মালবাজার ব্লকের ডামডিম পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন গুম্ফা যাওয়ার রাস্তার পাশে বন দফতরের খাঁচায় বন্দি হল চিতাবাঘটি। খবর পেয়ে মালবাজার বন দফতরের কর্মীরা এসে খাঁচাবন্দি চিতাবাঘটিকে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Malbazar: ধ্বংসলীলা! ধান, চাল, আটা, আনাজপাতি নিমেষের মধ্যে সাবাড় করল হাতির পাল...
জানা গিয়েছে, ডামডিমের গুম্ফা সংলগ্ন এলাকায় চিতাবাঘের উপদ্রব বেড়ে গিয়েছিল। মাঝে মধ্যেই এলাকার মানুষের ছাগল, বাছুর খেয়ে যেত চিতাবাঘ। এতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন স্থানীয় মানুষজন। সেই কারণে স্থানীয় মানুষের দাবিমতো, মঙ্গলবার বিকেলে এই এলাকায় খাঁচা পাতে বন দফতর। মঙ্গলবারও ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতা ছিল। আর রাতেই সেই খাঁচায় বন্দি হয় এই চিতাবাঘ। স্থানীয়দের বক্তব্য এলাকায় আরও চিতাবাঘ আছে। তাই বন দফতর আবার যেন খাঁচা পাতে। সূত্রের খবর, বন দফতরের কর্মীরা চিতাবাঘটিকে গরুমারায় নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে এটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে চা-বাগান থেকে দুটি চিতাবাঘের শাবক উদ্ধার হয়েছিল। বেশ কিছুদিন ধরেই চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়াচ্ছিল মালবাজার মহকুমার বিভিন্ন চা-বাগানে। তার মধ্যেই চা-বাগানে চিতাবাঘের শাবক উদ্ধার হল। সোমবার মালবাজার মহকুমার কিলকোট চা-বাগানের ১৭ নম্বর সেকশনে ২টি চিতাবাঘের শাবক দেখতে পান শ্রমিকরা। চিতার ভয়ে বেশ কিছুক্ষণ বাগানে কাজ বন্ধ থাকে। শাবক থাকা মানেই তো আশপাশে মা-চিতাবাঘও রয়েছে। খবর পেয়ে খুনিয়া স্কোয়াডের বনকর্মীরা বাগানে পৌঁছন। আপাতত শাবক দুটিকে বাগানে রেখেই পর্যবেক্ষণ করছেন বনকর্মীরা। মনে করা হচ্ছে, মা-লেপার্ড খাবারের সন্ধানে আশেপাশেই রয়েছে। এই মুহূর্তে শাবকগুলিকে সেখান থেকে সরালে মা চিতাবাঘ শাবকের জন্য আক্রমণ করে বসতে পারে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে শাবকদের সামনে যেতে না পারে সেই দিকেও নজর রেখেছিলেন বনকর্মীরা। কিলকোট চা-বাগান চাপড়ামারি জঙ্গল সংলগ্ন হওয়ায় মাঝেমধ্যেই বন্যপ্রাণীরা চলে আসে বাগানে। এর আগেও কিলকোট চা-বাগানে চিতাবাঘের দেখা পাওয়া গিয়েছিল।
ওদিকে হাতির পালের হামলায় লন্ডভন্ড হয়ে গেল মালবাজার মহকুমার আইভিল চা-বাগান। আইভিল চা-বাগানের ৬টি শ্রমিক আবাস। দাঁতালের তাণ্ডব থেকে বাদ যায়নি ম্যানেজারের বাংলোর একাংশও। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল, মঙ্গলবার গভীর রাতে। কোনওরকমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি। ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এই বাগানটিতে। চা-বাগানের কর্মীরা জানান, বন দফতরকে সমস্ত কিছু জানানো হয়েছে। বন দফতরের বন্যপ্রাণ শাখার খুনিয়ার রেঞ্জার সজল দে জানান, হাতির গতিবিধির প্রতি সতর্ক নজর রেখে চলেছেন বনকর্মীরা।
আরও পড়ুন: Malbazar: চা-বাগানের ভিতরে দাঁড়িয়ে সাক্ষাৎ যম! কাজ বন্ধ রেখে ছুটলেন সকলে...
আইভিল বাগানসূত্রে জানা গিয়েছে, হাতির দলটি গতকাল রাতে বাগানগুলির একাধিক শ্রমিক মহল্লায় ঢুকে পড়ে। বয়লা লাইনের ২টি, ফ্যাক্টরি লাইনের ২টি, কবর লাইনের ১টি ও দোকান লাইনের ১টি করে বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয় হাতিগুলি। ম্যানেজারের বাংলোর ভেতরেও হাতি ঢুকে পড়ে। সাবাড় করে বেশ কিছু কলাগাছ। ওই বাংলো চত্বরে বাংলোর মালি থাকেন। তাঁর বাড়িটিও হাতিত ধূলিসাৎ করে দেয়। স্থানীয় শ্রমিকরা জানাচ্ছেন, গোটা রাত বুনোগুলি সেখানে দাপিয়ে বেড়ায়। যে বাড়িগুলি ভাঙে সেখানে ছিল শোওয়ার ঘর। ছিল রান্নাঘর। রান্নাঘরে মজুত ছিল ধান, চাল, আটা-সহ আনাজপাতি। নিমেষের মধ্যে সেসবই খেয়ে ফেলে হাতির পাল।