Live: বিশ্বাসঘাতককে কেউ মনে রাখে না, কাঁথির সভা থেকে শুভেন্দুকে নিশানা সৌগতর
মেদিনীপুর কলেজ মাঠে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের পর আজ বড়সড় শক্তিপরীক্ষা ছিল অধিকারীদের গড়ে। আজ কাঁথিতে সৌগত রায় ও ফিরহাদ হাকিমের সভাতে বিপুল লোক এনে সেটাই করে দেখাল তৃণমূল কংগ্রেস।
নিজস্ব প্রতিবেদন:মেদিনীপুর কলেজ মাঠে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের পর আজ বড়সড় শক্তিপরীক্ষা ছিল অধিকারীদের গড়ে। আজ কাঁথিতে সৌগত রায় ও ফিরহাদ হাকিমের সভাতে বিপুল লোক এনে সেটাই করে দেখাল তৃণমূল কংগ্রেস।
শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূল থেকে গেলেও তাদের কোনও চিহ্ন ছিল না আজকের সভায়। জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও শরীর ঠিক না থাকায় তাঁরা আসতে পারেননি।
Latest Updates
শুভেন্দু চলে যাওয়ায় রাজ্যের তৃণমূল কর্মীরা খুশি।
কেন্দ্র যে পরিকল্পনা করেছে তাতে কৃষকদের জমি কর্পোরেটদের হাতে চলে যাবে। নিজেদের জমিতেই কাজ করতে হবে কৃষকদের।
লজ্জা লাগে তোমাকে আমার সহকর্মী বলতে। যে সরকারের বিরুদ্ধে গোটা দেশের কৃষকরা আন্দোলন করছে। সেখানেই যোগ দিল তুমি!
পরিবার তন্ত্র! ভাইপো হঠাও! অমিত শাহর ছেলে জয় শাহ কীভাবে বিসিসিআইয়ের পদে!
কৈলাস বিজয়বর্গীয় ছেলে কী নেতা নন! অনুরাগ ঠাকুরের বাবা মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না! শিশির অধিকারীর ছেলে না হলে কেউ চিনত না।নন্দীগ্রামে আন্দোলন করেছিল সুফিয়ানরা। আর নেতা হয়েছিলেন শুভেন্দু। সেই শুভেন্দু অমিত শাহরে পা ধরল। এটা দেখার থেকে আমার মৃত্যু ভালো ছিল।
সভায় ফিরহাদ বলেন
সমাবেশে যে ধরনের উত্সাহ লক্ষ্য করছি তাতে পূর্ব মেদিনীপুরে সবকটা আসনেই জিতব।
সভায় ফিরহাদ বলেন
সমাবেশে যে ধরনের উত্সাহ লক্ষ্য করছি তাতে পূর্ব মেদিনীপুরে সবকটা আসনেই জিতব।
বিজেপির রাজ্যের নেতাদের ওপরে ভরসা নেই। তাই বাইরে থেকে নাড্ডা, চাড্ডাদের আনতে হচ্ছে। লড়াইটা এখন বাঙালি ও বাহারির। এই লড়াইয়ে জিততে হবে।
বাংলার আত্মসম্মান আমরা ভুলব না। স্বাধীনতা সংগ্রামের বাংলাকে ভুলব না।
দিলীপ ঘোষ রোজ সকালবেলা ওঠেন আর এক এক জনকে গুঁতিয়ে দেন। উনি ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের মতো।
মানুষ সিরাজকে মনে রেখেছে। মীরজাফরকে কেউ মনে রাখে না। বিশ্বাসঘাতকতার জন্য শুভেন্দুকেও কেউ মনে রাখবে না। শুভেন্দু আজ মীরজাফরদের দলে। এটাই খুবই দুঃখের।
দুবার লড়াই করে মমতা ক্ষমতায় এসেছেন। তাঁকে ফের ক্ষমতায় আনতে হবে। মমতা নন্দীগ্রামে আন্দোলন না করলে গোটা দেশে তা সাড়া ফেলত না। এখন মমতাকে অপমান করার চেষ্টা হচ্ছে। তাঁকে সরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে পুঁজিপতিরা। তারা চায়না এক মধ্যবিত্ত পরিবারের কেউ রাজ্যকে নেতৃত্ব দিক। নাড্ডার কনভয়ে কয়েকটা ইট পড়েছিল। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র একটু কেটে গিয়েছে। এখন ওরা বলছে কয়েকজন পুলিস অফিসারকের সরিয়ে দেওয়া হবে। এদের সরানোর কোনও অধিকার কেন্দ্রের নেই। সরালে লড়াই হবে। বিজেপি ভাবছে অশান্তি সৃষ্টি করে রাজ্যে শাসন কায়েম করবে। তা পারবে না।
এরকম এক অবস্থায় রাজ্যকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মমতা। দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে ১ কোটি ৭৪ লাখ মানুষ নাম লিখিয়েছেন। এতবড় উদ্যোগ ভারতে নেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্যসাথী স্কিমে রাজ্যের মানুষ সুবিধে পেয়েছেন।কীভাবে পড়ুয়াদের স্কলারশিপ দেওয়া য়ায়, সাইকেল দেওয়া যায় তা লক্ষ্য রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব মেদিনীপুরে চোখে পড়ার মতো যে উন্নয়ণ হয়েছে তা বিজেপির টাকায় হয়নি। তৃণমূল করেছে।
নরেন্দ্র মোদী বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে বেচে দিচ্ছে। রেল বিক্রি করে দিচ্ছে। বিমানবন্দর বিক্রি করে দিচ্ছে। এবার রেলে লেখা থাকবে আম্বানি এক্সপ্রেস, আদানি এক্সপ্রেস। এলআইসি বেচে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
দেশে কোনও গণতন্ত্র নেই। কাউকে না জানিয়ে নোট বাতিল করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তেমনি ভাবেই মাত্র ৪ ঘণ্টার নোটিসে লকডাউন ঘোষণা করেছিল। বিজেপি এখন মানুষের পেট খালি রেখে ধর্ম গেলাতে চাইছে।
এসসময় নন্দীগ্রাম থেকে কৃষক আন্দোলন শুরু হয়েছিল। গোটা দেশ তা তোলপাড় করেছিল। দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনেও তেমনি মোদী সরকারকে নাড়িয়ে দেবে।
দেশে এই অতিমারী ও কৃষক আন্দোলের সময়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মাঝে মধ্যেই হনুমানের মতো লাফিয়ে পড়ছেন রাজ্যে। কৃষকদের বাড়িতে খাচ্ছেন। আর বলছেন একুশের ভোটে বিজেপি ২০০ আসন পাবে। অমিত শাহর সেই স্বপ্ন সফল হবে না।
কাঁথির মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে ভালোবাসেন। মমতার কোনও বিকল্প নেই।
শুভেন্দুর প্রসঙ্গ পরে আসব। আগে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা বলি। দিল্লিতে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন হাজার হাজার কৃষকরা। তাঁদের দাবি, নরেন্দ্র মোদী কৃষি আইন করে আম্বানি-আদানিদের কৃষিতে মাথা গলানোর সুযোগ করে দিচ্ছে। ওই আন্দোলনের পাশে আছি আমরা।
এসসময় নন্দীগ্রাম থেকে কৃষক আন্দোলন শুরু হয়েছিল। গোটা দেশ তা তোলপাড় করেছিল। দিল্লিতে কৃষ আন্দোলনেও তেমনি মোদী সরকারকে নাড়িয়ে দেবে।
সমুদ্র থেকে এক কলসি জল তুলে নিলে যেমন সুমদ্রের জল কমে না তেমনি কেউ বেরিয়ে গেলেও কিছু হবে না। মানুষই শেষ কথা বলবে।
তৃণমূল সাংসদ বলেন, কাঁথিতে এতবড় মিছিল আগে কখনও দেখা যায়নি। ফের একবার প্রমাণ হল মমতার কোনও বিকল্প নেই
কাঁথি কোনও পরিবারের জমিদারি নয়। কাঁথিতে তৃণমূলের সমাবেশে জনসমাগম দেখে বললেন সৌগত রায়।