Live: কেন্দ্রীয় বাহিনীর RT-PCR Test মাস্ট: Mamata
সংক্রমণের জন্য কেন্দ্রকেই দায়ী করেছেন মমতা
নিজস্ব প্রতিবেদন: গোটা দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দিল্লিতে ইতিমধ্যেই ৬ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। চাকুলিয়ার সভা থেকে রাজ্যে করোনার এই সংক্রমণের জন্য কেন্দ্রকেই দায়ী করেছেন মমতা। সংক্রমণ নিয়ে এবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য বললেন মমতা।
Latest Updates
রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেড় লাখ জওয়ান এসেছেন। এদের RTPCR Test মাস্ট। আগের বারই দেখেছিলাম, একজন পুলিসের হওয়া মানে হাজার জন সংক্রমিত হওয়া। ওরা টিম হিসেবে কাজ হবেন।
আতঙ্ক করবেন না। কখনও কখনও ম্যালেরিয়া বাড়ে, কখনও কখনও ডেঙ্গু বাড়ে। তাই ভোটের পর করোনা বেড়ে যাবে এমন কোনও কথা নেই। আতঙ্ক ছড়াবেন না। আমাদের কাজ সচেতনতা বাড়ানো।
এখনই লকডাউন নিয়ে চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। এই যে দিল্লিতে লকডাউন করে দিয়েছে, মানুষের কষ্ট হবে না? মানুষকে তো একটা সময় দিতে হবে। লকডাউন করলেই কি সব কমে যাবে? ট্রেন চলছে, বাস চলছে, লোক মুভ করছে। আরে লাখের বেশি লোক থেকে বাইরে থেকে প্রচার করতে এসেছে। এতো লোক কেন বাইরে থেকে এসে বসে থাকবে? রাজ্য সরকার তো তাদের বের করে দিতে পারে না! তাদের কী হয়েছে না হয়েছে আমি কী করে জানব! প্রধানমন্ত্রী সভার প্যান্ডেল করতে আসে বাইরের লোক। শুনেছিলাম তাদের ১৫ জনের নাকি কোভিড হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলন শেষ হল।
ভ্য়াকসিন নেওয়ার পরও করোনা হচ্ছে শুনছি।
ভোট প্রচার অনেকটাই কাটছাঁট করেছি। মানুষের পাশে রয়েছি। আমি বলেইছি তিন দফার ভোট এক দফায় করে দিতে। এছাড়া অনেক জয়গা এমন রয়েছে যা নির্বাচন কমিশন নিয়ে নিয়েছে। যেমন কোনও জায়গায় হয়তো মেডিসিন রাখা ছিল তা নিয়ে নেওয়া হয়েছে। গীতাঞ্জলী স্টেডিয়াম নিযে নেওয়া হয়েছে . ওখানে আমরা ৪ হাজার লোক রাখতে পারতাম। ভোটের জন্য নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম নিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে এইসব জায়গা আমাদের কমাতে হবে।
ভোট অন্য দল প্রচার করছে। তাদের কী হবে? মমতা বলেন, অন্যরা কী করব তা বলতে পারবে না। তবে যত তাড়াতাড়ি ভোট শেষ হবে তত তাড়াতাড়ি আমরা কোভিড নিয়ন্ত্রণে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারব।
যে কোনও প্যান্ডেমিক ২ বছর চল। নির্বাচন কমিশনও হয়তো জানতো না করোনা এভাবে বেড়ে যাবে। তবে এনিয়ে আগেথেকেই প্ল্য়ান করা উচিত ছিল।
নাইট কার্ফু কোনও সমাধান নয়। সরকারি হাসপাতালগুলিতে ৪ হাজার কোভিডে বেড বাড়বে।
রাজ্যে ভ্য়াকসিন নেই। এনিয়ে গতকালই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। কেন্দ্র অনুমতি দিলেই একমাত্র রাজ্য ভ্যাকসিন কিনতে পারবে। রাজ্য চাইলেই ভ্যাকসিন কিনতে পারে না। তাই একটা কথা স্পষ্ট যে ভ্যাকসিন আমাদের হাতে নেই। জরুরি ভিত্তিতে বাজার থেকে ভ্যাকসিন আনতে হচ্ছে। অক্সিজেন আনা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যভবন থেকে ইতিমধ্যেই ট্রিটমেন্ট প্রটোকল প্রকাশ করা হয়েছে। আগের বার যত বেড ছিল তার থেকে কিছু বেড বাড়ানো হচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে অনুরোধ করব, যাদের প্রকৃত প্রয়োজন রয়েছে তাদের ভর্তি নিন। সবাইকে ভর্তি করে বেড দখল করে রাখবেন না। টাকা আছে বলেই ভর্তি হয়ে গেলাম। এমন কেউ যেন না করেন।
ভোটের কোনও বড় প্রচারে যাচ্ছি না। ছোট ছোট ক্যাম্পেইন হোক এটাই চাইছি। ২৬ এপ্রিল একটা বড় মিটিং করব।
রাজ্যের বিভিন্ন অফিসে ৫০ শতাংশ ওয়ার্ক ফ্রম হোম করা হচ্ছে। রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে কাল থেকে গ্রীষ্মের ছুটি পড়ে যাচ্ছে। ফলে গরমের ছুটিও পাওয়া যাবে পাশাপাশি করোনা থেকেও পড়ুয়ারা বাঁচবে।
করোনা মোকাবিলায় এই ভোটের মধ্যেও ২০০ সেফ হোম তৈরি করা হয়েছে। ওইসব সেফ হোমে ১১,০০০ বেড রয়েছে। করোনার জন্য রাজ্যজুড়ে ৪০০ অ্যাম্বুল্যান্সকে কাজে লাগানো হয়েছে। চালু হয়েছে টেলি মেডিসিন পরিষেবা। ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২ নম্বরে ফোন করলে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। অডিয়ো ভিজুয়াল কাউন্সেলেলিং হচ্ছে।
গত ৪ দিনে একা হাজার বেড বাড়ানো হয়েছে। আরও ৪৫০০ বেড ৩-৪ দিনের মধ্যে বাড়ানো হবে। করোনার জন্য় ১০০ হাসপাতাল রেডি করা হচ্ছে। এর জন্য নার্সিং হোম নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন হোটেলের রুমকেও হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার সব পদক্ষেপ নিয়েছে। কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছি যাতে ভ্য়াকসিন ও অন্যান্য ওষুধপত্র দেওয়া হয়।
রাজ্যে দ্রুত করোনা ছড়াচ্ছে। তবে আতঙ্কিত হবেন না।
Covid মোকাবিলায় টাস্কফোর্স তৈরি করা হয়েছে।