তৃণমূলকে উপড়ে ফেলে দিতে হবে, ডুমুরজলায় শাহের ভার্চুয়াল বার্তা
Latest Updates
অমিতজি তোপ দাগেন, "কিসান নিধি যোজনার টাকা পাচ্ছিলেন না বাংলার কৃষকরা। এখন তড়িঘড়ি একটা কাগজ পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এখানেও ভাঁওতা দিয়েছেন দিদি। নামের লিস্ট, অ্যাকাউন্ট নাম্বার কিছুই পাঠাননি। কী করে সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে?"
আমি খুব তাড়াতাড়ি আবার বাংলায় যাব। জানালেন অমিত শাহ। বিজেপিতে যোগদানকারী রাজীব ব্যানার্জি সহ নতুন প্রত্যেক সদস্যকে শুভেচ্ছা জানালেন অমিত শাহ।
ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ে মাধ্যমে সভায় যোগদান অমিত শাহের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন-
১০ বছরে মা মাটি মানুষের কথা ভুলেছে সরকার।
স্বৈরাচারী, তোলাবাজির সরকার চলছে।
মমতাকে মানুষ ক্ষমা করবেন না।
সরকারে এসেই বাংলার সমস্ত গরিব মানুষের জন্য আয়ুষ্মান ভারত চালু করবে বিজেপি সরকার। আপনি রুখতে পারবেন না।
মা-মাটি স্লোগান বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
৩ মাস ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসছেন অনেকে। শুভেন্দু-রাজীব সহ এত নেতা-কর্মী কেন এলেন বিজেপিতে?
তৃণমূলে একা থেকে যাবেন মমতাজি।
বাংলার পুণ্যভূমিকে রক্তাক্ত করেছে তৃণমূল সরকার।
যাঁরা নিজের লোকের সঙ্গে নিজের লোকের যুদ্ধ লাগায়। জয় শ্রী রামের মতো স্লোগান শুনলে রেগে যায় সেই দলে কেউ দেখতে চায় না: স্মৃতি ইরানি
স্মৃতি ইরানি বললেন :
জয় শ্রী রাম ধ্বনিতে অপমান বলছেন! সেই দল দেশভক্ত হতে পারে না।
যে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের সঙ্গে নিজের স্বার্থে সম্পর্ক রাখে, তারা কোনও উন্নতি করতে পারে না।
১৩৮ জন বিজেপি কর্মী বাংলায় খুন হয়েছেন। তাঁদের বলিদান ব্যর্থ হবে না। রক্তের বিনিময়ে বাংলায় বিজেপি সংগঠনকে দৃঢ় করেছেন।
রাজীবদা যেমন বললেন, চুপচাপ চুপচাপ পদ্ম ছাপ, পদ্ম ছাপ।
এক ছাতার নীচে আমাদের জোটবদ্ধ হতে হবে উন্নয়নের স্বার্থে।
লকডাউনে লুঠ করেছেন দিদি। এখন ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন।
৫ কিলো চাল, ১ কিলো করে ডাল দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তৃণমূল সরকার তা চুরি করেছে।
মোদীজি রেশন কার্ড দিয়েছেন। দিদি রেশন কার্ডের বদলে কুপন দিয়েছেন। যিনি তৃণমূল করছেন, তাঁকে দিয়েছেন।
নেতারা চুরি করছে, আর বদলি হচ্ছে সরকারি কর্মীদের।
কেন্দ্র শ্রমিক ট্রেন দিতে চেয়েছে, দিদি চায়নি। গরিব শ্রমিকের এত অপমান কেন করলেন দিদি?
এমন অন্যায় কেন করলেন দিদি?
দিদি গ্যাস সিলিন্ডার দিতে চাননি, মোদী উজলা প্রকল্পে বাংলার ৮০ লাখ গরিব মহিলাকে গ্যাস দিয়েছেন।
এবার ভোটে তৃণমূল যাচ্ছে, বিজেপি আসছে।
কোভিডে যাতে গরিব মানুষদের কেউ সাহায্য করতে না পারে, তাই জনপ্রতিনিধিদের ঘরে বন্দি করে রাখেন দিদি।
শুরুতেই বাংলায় বক্তৃতা রাখলেন স্মৃতি ইরানি।
"শুনতে পেয়েছি দিদি নাকি নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন ভবানীপুর ছেড়ে? তাই শুভেন্দুবাবু বলছেন, হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, দিদিও জানেন বাংলায় পদ্ম এখন ঘরে ঘরে" : স্মৃতি ইরানি
বিজেপিতে যোগ দিলেন বাণী সিংহ রায় (তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি), অনুপম ঘোষ (জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি), পার্থসারথী বসু (বসিরহাট পুরসভা প্রাক্তন চেয়ারম্যান)
রাজীব আরও বললেন :
শুধু খালি কেন্দ্রের সঙ্গে ঝগড়া। ঝগড়া করে কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারি না। এটা কার ব্যর্থতা?
কেন্দ্র ও রাজ্যে এক সরকার চাই। আমরা চাই 'ডবল ইঞ্জিন' সরকার। যা মানুষকে দিশা দেখাতে পারবে।
বাংলার জন্য স্পেশান অর্থনৈতিক প্যাকেজ চাই। অমিতজিকে বলেছি। অমিতজি আমায় বলেছেন, বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য দরকারে ক্যাম্প করে পড়ে থাকব।
ওই দল না করলেই মিথ্যে মামলা দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা তলানিতে পৌঁছেছে।
সংখ্যালঘুদের শুধু ভোটের স্বার্থে ব্যবহার করে গিয়েছে। কোনও উন্নয়ন হয়নি।
এতদিন সরকার মানুষের কাছে যায়নি, তাই ভোটের মুখে এখন দুয়ারে দুয়ারে সরকার।
এতদিন কোনও সমস্যার সমাধান করেনি, তাই ভোটের আগে পাড়ায় পাড়ায় সমাধান।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সবটাই ভাঁওতাবাজি। প্রত্যেক পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেবে বলছে! যদি ১ কোটি পরিবারকেও দেয়, ৫ লক্ষ কোটি টাকা লাগবে। এই সরকারের বাজেট কত টাকার? সবটাই ভোটের গিমিক।
শুধুমাত্র ভোটের জন্য গোটা রাজ্যটাকে বিক্রি করে দিচ্ছে। দয়া করে রাজ্যটাকে বিক্রি হতে দেবেন না। দয়া করে বাংলাকে বাঁচান। আমাদের সুযোগ দিন।
আজকে থেকে স্লোগান তুলুন, "চলুন পাল্টাই।"
অমিত শাহ কাল আমাকে বলেছেন, "আর ধমকে চমকে ভোট হবে না। আমরাও জানি কীভাবে ভোট করাতে হয়। এতদিন সেই শিক্ষা আমরাও পেয়েছি। এবার মানুষ নিরাপত্তার সাথে ভোট দেবে। ওলিগলিতে একটাই কথা, চুপচাপ পদ্মে ছাপ।"
শুভেন্দুকে বন্ধু ও সতীর্থ বলে উল্লেখ রাজীব ব্যানার্জির।
রাজীব বললেন :
২০২১-এর নির্বাচনে সারা বাংলায় পদ্ম ফোটাব আমরা। এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ, প্রতিশ্রুতি।
বিগত দিনে যে পার্টিতে ছিলাম, তাঁরা কেউ বলতে পারবেন যে আমি কাউকে কোনওদিন অসম্মান করেছি।
যতদিন বিজেপিতে থাকব, কোনও কর্মীকে অসম্মান করব না।
আমি মনে করি, কর্মীরাই দলের সম্পদ। আমি আজ নেতা হয়ে থাকলে, কর্মীরাই আমাকে নেতা বানিয়েছি।
যত আমাদের উদ্দেশে অপশব্দ ব্যবহার করবেন, তত আমাদের জেদ-জোশ বাড়বে।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের পাশে থাকবে। মানুষের জন্য কাজ করব। শুধু ২৯৪টা বিধানসভা কেন্দ্র নয়, পাড়ায় পাড়ায়, বুথে বুথে যাব আমি।
আমি কাউকে শত্রু বলে মনে করি না। গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় খারাপ লেগেছে। একটা মিটিং করতে দেয় না। সভা বানচাল করে দেয়। এটা শেষের শুরুর লক্ষ্মণ।
টার্গেট, ভিশন না থাকলে কোনও উন্নয়ন হয় না।
আমি নেতা নই, আমি কর্মী হিসেবে কাজ করতে চাই আপনাদের সঙ্গে।
শুভেন্দু বললেন :
৫০০ বছরের প্রাচীন শহর হাওড়া। যতজন আজ এই ঐতিহ্যশালী স্টেডিয়ামে এসেছেন, তার দ্বিগুণের বেশি রাস্তায় আছেন। গোটা রাস্তা জয় শ্রী রাম শুনতে শুনতে এসেছি।
রাজীব আমার বন্ধুপ্রতিম। আমি ও রাজীব ২০০৪ সালে একসাথে লড়াই শুরু করেছিলাম। আমাদের মধ্যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিল। বাংলার উন্নয়নের স্বার্থে আমরা এক ছিলাম। ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দু এসেছে। এবার রাজীব এল। আজ বৃত্ত সম্পূর্ণ হল।
দিল্লিতে যে সরকার, কলকাতাতেও সেই সরকার করতে হবে। বেকারদের চাকরি দিতে হবে। বাংলায় পরিবর্তন আনতে হবে। আসল পরিবর্তন ১১-তে আসেনি। একুশেই আসল পরিবর্তন হবে।
তৃণমূলকে মানুষ বিশ্বাস করে না। তৃণমূল এখন লিমিটেড কোম্পানি। সরকার এখন যমের দুয়ারে। এবার তৃণমূল ফাঁকা হয়ে যাবে।
বিজেপি সূত্রে খবর, "বাংলা আমাদের পাখির চোখ। আমরা বাংলাকে রক্ষা করবই।" রাজীব, প্রবীরদের বলেন অমিত শাহ।
সব নেতাদের গলায় সোনার চেন, এটাই বাংলার উন্নয়ন : রুদ্রনীল ঘোষ
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বরণ করে নিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। প্রবীর ঘোষালকে বরণ করলেন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত।
শুক্ররাত রাতে দুদিনের রাজ্য সফরে আসার কথা ছিল অমিত শাহের (Amit Shah)। তারপর রবিবার যোগ দিতেন ডুমুরজলায় মেগা সভায়। কিন্তু শুক্রবার বিকালে দিল্লিতে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের জেরে শেষ মুহূর্তে স্থগিত হয়ে যায় অমিত শাহের রাজ্য সফর। বদলে শনিবার স্পেশাল চার্টার্ড ফ্লাইটে দিল্লি উড়ে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee), প্রবীর ঘোষাল (Prabir Ghosal), বৈশালি ডালমিয়া, রথীন চক্রবর্তী, রুদ্রনীল ঘোষ প্রমুখ। অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর সন্ধ্যায় দিল্লিতেই পদ্মশিবিরে যোগ দেন তাঁরা।
মঞ্চে স্মৃতি ইরানি, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী। সভায় যোগ দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবীর ঘোষাল। উষ্ণ অভ্যর্থনা রাজীবকে।