Live: `দেশের আধুনিক আমদানি-রফতানি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে হলদিয়া`
দুপুর তিনটের একটু পরেই তাঁর বিমান অবতরণ করে দমদম বিমানবন্দরে
নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে আজ এক যাত্রায় দুটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে রাজ্যে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুপুর তিনটের একটু পরেই তাঁর বিমান অবতরণ করে দমদম বিমানবন্দরে। আজ হলদিয়ায় একাধিক প্রকেল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি হলদিয়া হেলিপ্যাড মাঠে বিজেপির এক সভাতেও যোগ দেবেন তিনি।
হলদিয়ায়(Haldia) IOC-র দ্বিতীয় 'ক্যাটালিটিক আইসো-ডিওয়াক্সিং' ইউনিটের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী(Narendra Modi) ৷ এর আনুমানিক খরচ ১ হাজার ১৯ কোটি টাকা৷ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা প্রায় ২ হাজার ২০০ বলে জানা যাচ্ছে৷ এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী BPCL-এর 'এলপিজি ইমপোর্ট টার্মিনাল' উদ্বোধন করবেন ৷ আনুমানিক খরচ ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ৷ উদ্বোধন হবে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে চার লেনের উড়ালপুল ৷
এছাড়াও ঝাড়খণ্ড থেকে দুর্গাপুর পর্যন্ত পাইপলাইন 'প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা গ্যাস' প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন মোদী। ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পে রাজ্যে এই প্রথম GAIL -এর প্রকল্প আসছে। রাজনৈতিক সভা থেকে আক্রমণ আবার সরকারি মঞ্চ থেকে উন্নয়ন, এই দুইয়ের মিশেলেই নরেন্দ্র মোদীর এই পর্যায়ে বাংলায় আসা।
Latest Updates
লাইভ শেষ হল
হলদিয়ার এইসব প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে ধন্যবাদ।
পূর্বভারতে এলপিজি গ্য়াস কভারেজের নিরন্ত চেষ্টা চলেছে। এখসময় বাংলায় এলপিজি গ্যাসের কভারেজছিল ৪১ শতাংশ। এখন তা হয়েছে ৯৯ শতাংশেরও বেশি।
ক্ষমতায় এসে পূর্বভারতের অর্থনীতিকে টেনে তোলার মিশন নিয়ে চলছি।
এবছর বাজেটে স্বচ্ছ ও সস্তার জ্বালানীর জন্য হাইড্রোজেন মিশনের সূচনা করেছে।
গ্যাস নির্ভর অর্থনীতি বর্তমান ভারতের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
বাংলা সহ পূর্বভারত উপকৃত হবে এমন কিছু প্রকল্পের উদ্বাধন করা হচ্ছে। এতে সড়ক ও গ্যাস কানেকটিভিটি বাড়বে। যে ৪ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হল তাতে ইজ ও লিভিং ও ইজ অব ডুইং বিজনেস বাড়াবে। এইসব প্রকল্প হলদিয়াকে দেশের আধুনিক আমদানি-রফতানি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলবে।
হলদিয়ায় একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী।
বাংলা ফুটবল ভালোবাসে। তাই ফুটবলের ভাষায় বলব, তৃণমূল একের পর এক ফাউল করেছে। অপশাসনের ফাউল, বিরোধীদের উপরে হামলার ফাউল, বাংলার মানুষের টাকা লুট করার ফাউল। বাংলার মানুষ সব দেখছে। তাই বাংলার মানুষ খুব শীঘ্রই তৃণমূলককে রাম কার্ড দেখাবে।
এখানে কর্মচারীদের ঠিক সময়ে বেতনও দেওয়া হয় না।
আয়ূষ্মান ভারত এই বাংলায় চলে না।
হাইওয়ে থেকে ইন্টারনেট কেন্দ্র বড় টাকা খরচ করে। কেন্দ্র রাজ্যে গরিব মানুষদের ঘর তৈরির জন্য টাকা দিয়েছে।
করোনার সময়ে বাংলার লাখ লাখ কৃষক কেন্দ্র টাকা পাননি। দেশের লাখ লাখ কৃষক তা পেয়েছেন। এর জন্য রাজ্য সরকার দায়ী। পি এম কিষাণ সম্মান নিধির সুবিধে পেতে পারে বাংলার কৃষকরা। কিন্তু এখানে এমন একটা সরকার রয়েছে যারা তা করতে চায় না। মাত্র ৬ হাজার কৃষক ওই প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছে। কিন্তু ওইসব কৃষকদের জন্য টাকা পাঠাতে পারছে না। কারণ এই রাজ্যর সরকার। ওইসব কৃষকদের ব্যাঙ্কের ডিটেল রাজ্য সরকার দেয়নি।
নন্দীগ্রামে যারা গুলি চালিয়েছিল তাদের দলে কেন স্থান দিচ্ছেন।
নন্দীগ্রামে যারা গুলি চালিয়েছিল তাদের দলে কেন স্থান দিচ্ছেন।
আপনারা দেখেছেন কয়েকদিন ধরে আন্তর্জাতিক মহলে কীভাবে ভারতের বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। যারা মা মাটি মানুষের কথা বলে তারা ভারত মাতার জন্য আওয়াজ তোলার সাহস নেই। কারণ এতদিন এরা রাজনীতিকে ক্রিমিলাইজ করেছে। প্রশাসন ও পুলিসের রাজনীতিকরণ করেছে।
ভারত মাতা কি জয় বললেও দিদি রেগে যান। কিন্তু দেশের বিরুদ্ধে বললে দিদির রাগ হয় না।
ভারত মাতা কি জয় বললেও দিদি রেগে যান। কিন্তু দেশের বিরুদ্ধে বললে দিদির রাগ হয় না।
বাংলার মানুষ অধিকারের কথা বললে দিদি রেগে যান
বাম আমলে গণতন্ত্রের উপরে হামলা হয়েছে। ব্যবসা ধ্বংসা করা হয়েছে। কৃষকদের যতটা সুযোগ পাওয়ার কথা ছিল তা পাননি কৃষকরা। তাই বাংলার তরুণদের রোজগার নেই।
বাম আমলে গণতন্ত্রের উপরে হামলা হয়েছে। ব্যবসা ধ্বংসা করা হয়েছে। কৃষকদের যতটা সুযোগ পাওয়ার কথা ছিল তা পাননি কৃষকরা। তাই বাংলার তরুণদের রোজগার নেই।
কংগ্রেসের সময়ে দুর্নীতি হয়েছে। বাম আমলে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয়েছিল ধ্বংসের রাজনীতি।
স্বাধীনতার আগেও বাংলা অনেক এগিয়ে ছিল। স্বাধীনতার পর বাংলায় বিকাশের রাজনীতি হয়নি। তাই পিছিয়ে পড়েছে বাংলা।
এছাড়াও গ্যাসের তিনটি প্রকল্পের ফলে মানুষ উপকৃত হবেন। ডোবি-দুর্গাপুর গ্যাস পাইপ লাইন তৈরি হয়ে গিয়েছে। এতে রাজ্যের বহু জেলায় পিএনজি ও সিএনজি পৌঁছনোর ক্ষেত্রে বিপ্লব আসবে। এতে দুর্গাপুর ফার্টিলাইজার কারখানাও পর্যাপ্ত গ্যাস পাবে।
রানীচকে আধুনিক ফ্লাই ওভার, হলদিয়া ডক কমপ্লেক্স পড়শি দেশের সঙ্গে বণিজ্যের সুযোগ আরও বাড়বে।
এই সভার পর সরকারের ওইসব প্রকল্পের উদ্বোধনের জন্য যাব। ওইসব প্রকল্প রাজ্যের পরিকাঠামো ও গ্যাস প্রকল্প রাজ্যের মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি করবে আবার কাজের সুযোগও তৈরি করবে।
রানীচকে আধুনিক ফ্লাই ওভার, হলদিয়া ডক কমপ্লেক্স পড়শি দেশের সঙ্গে বণিজ্যের সুযোগ আরও বাড়বে।
এই সভার পর সরকারের ওইসব প্রকল্পের উদ্বোধনের জন্য যাব। ওইসব প্রকল্প রাজ্যের পরিকাঠামো ও গ্যাস প্রকল্প রাজ্যের মানুষের জবীনযাত্রার উন্নতি করবে আবার কাজের সুযোগও তৈরি করবে।
হলদিয়া সহ রাজ্যে ৫০০০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন-শিলান্যাসের জন্য এসেছি
এবছর ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর। এই সময়ে এখানে আসার অর্থ নিজেকে নতুন করে উজ্জীবিত করা।
ক্ষুদিরাম বোসের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে এই বাংলা। এই মাটিতেই তৈরি হয়েছিল তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। এই মাটির সন্তান ঈশ্বরচন্দ্র বাংলার মানুষকে বর্ণপরিচয় দিয়েছে।
আমার প্রিয় মা বোন ভাই ও বন্ধুরা। মেদিনীপুরের এই পবিত্র মাটিতে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
উত্তরাখণ্ডে যেখানে মা গঙ্গার উত্স সেখানে দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এক হিমাবাহ ভেঙে নদীর জলস্তর বাড়িয়ে দিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির খবর ধীরে ধীরে আসছে। আমি উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। উদ্ধারকার্য চলছে। মানুষজনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বক্তব্য রাখছেন নরেন্দ্র মোদী।
হলদিয়ার জনসভায় এসে পৌঁছলেন নরেন্দ্র মোদী
রাজ্যে নির্বাচন মাত্রা ১০০ দিন বাকী। আগামী নির্বাচনে আমাদের রাজ্য়ে পরিবর্তন আইন আনতে হবে।
হলদিয়াকে আপনারা দেখছেন। বুঝতে পারেছেন, এখানে যা হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি।
বক্তব্য রাখছেন মুকুল রায়।
হলদিয়ার ল্যান্ড ব্যাঙ্কের জমি উনি নিয়ে নিয়েছেন।
এখানে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের যা যা ক্ষমতা ছিল তা কেড়ে নিয়েছিলেন মাননীয়া।
আপনারা জানেন, বর্তমান সরকারের সঙ্গে আমি ছিলাম।
এই বন্দর শুধু উত্তরপূর্বাঞ্চল নয়, নেপাল ও ভুটানের উপরে নির্ভর করে হলদিয়া বন্দর।
কেন্দ্র রাজ্যে এক সরকার না থাকলে রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
রাজ্যে সরকার না বদল হলে এই অবস্থার বদল হবে না।
রাজ্যে গত ৯ বছরে কোনও শিল্প আসেনি। কারণ রাজ্যের শিল্প নীতি।
এই সভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী।
হলদিয়ার সভায় বক্তব্য রাখছেন শুভেন্দু অধিকারী। সভায় রয়েছেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, মুকুল রায় সহ দলের একাধিক নেতা।
হলদিয়ার হেলিপ্যাড মাঠে একটি জনসভার আয়োজন করেছে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীকে এনে দলীয় সমর্থকদের মনবল একলাফে বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির।