Narendra Modi Live: পয়লা বৈশাখ থেকে দিদির বিদায়ের কাউন্টডাউন শুরু হচ্ছে: Modi

Mon, 12 Apr 2021-4:32 pm,

Latest Updates

  • দেশজুড়ে গত ৬ বছরে নতুন পরিচিতি পেয়েছে খাদি। তৃণমূলের দুর্নীতির জন্য এখানে খাদি নিজের ঐতিহ্য হারাচ্ছে। জুট ক্যারিব্যাগের চাহিদা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাঠচাষিরা এখানে সমস্যায় রয়েছেন। তার বদলও করবে ডবল ইঞ্জিনের বিজেপি সরকার। কৃষকদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে ১৮ হাজার টাকা। নববর্ষ আর কয়েকদিন বাকি। এবার গড়ব সোনার বাংলা। এবার বিজেপি। আপনাদের সকলকে আমার তরফে বাংলার নববর্ষের শুভেচ্ছা। ভারত মাতা কি জয়।   

  • গরিবের বাড়ি, স্বপ্ন ছিনিয়ে নিয়েছিল আমফান। যতটা আঘাত দিয়েছে ঘূর্ণিঝড়, তার চেয়ে বেশি আঘাত দিয়েছে দিদির বিশ্বাসঘাতকতা। মনরেগার লাভও ছিনিয়ে নিয়েছে দিদির তোলাবাজরা। আপনার কুশাসন সব ধর্ম ও শ্রেণির মানুষদের নিরাশ করেছে। তাঁরাই আপনার শাসনকে উৎখাত করবে। বাংলার প্রতিটা কোণ থেকে আওয়াজ উঠছে, ২ মে দিদি যাচ্ছে। বিজেপি আসছে। আমফান প্রভাবিতদের কোনও ধর্ম-শ্রেণি না দেখে সাহায্য করবে বাংলার বিজেপি সরকার। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় সকলকে পাকা বাড়ি দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ, পানীয় জল ও গ্যাস সংযোগ সুনিশ্চিত করবে বিজেপি। সমুদ্রের ধারে নতুন আর্থিক ব্যবস্থা ব্লু রেভেলিউশনে কাজ করছে বিজেপি সরকার। মৎস্যজীবী ভাই-বোনেদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ যোজনা আনা হয়েছে। কেন্দ্র ও বাংলার বিজেপি সরকার আসল পরিবর্তন আনবে। বিজেপি সরকার যেখানেই রয়েছে মেট্রো সংযোগ হয়েছে। দমদম-বারাসত মেট্রো প্রকল্প সম্পূর্ণ করা হবে।              

  • করোনার সময় চাল ও ছোলা পাঠিয়েছিল সরকার। দিদির লোকেরা লুঠে নিয়েছে। গরিবদের কাছ চাল পৌঁছনোর দায়িত্ব ছিল, সেই খাদ্যমন্ত্রী এই অঞ্চলের। যারা গরিবদের টাকা লুঠেছে তাদের শুধু পরাজয় নয়, জামানতও জব্দ করতে হবে। চাল চুরি করা লোকেরা যেন বিজেপিতে যেতে না পারে।     

  • মা-বোনেদের আরও একটা সত্যি কথা বলতে চাই, মহিলাদের উপরে অপরাধের বিচারের জন্য দেশজুড়ে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট খোলা হচ্ছে। কিন্তু এখানেও বাধা দিচ্ছেন দিদি। দিদি এতেও রাজি নন। ওঁর ভরসায় মা-বোনেদের ছেড়ে দেবেন! অপরাধীরা ভয়মুক্ত হলে মেয়েরা সুরক্ষিত থাকবে কীভাবে! বাচ্চাদের ডেঙ্গির বিপদের কথা বললে ডাক্তারকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। অনুপ্রবেশকারীদের ছাড় অথচ বিজেপি কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। ২০২১ সালের বাংলা সুশাসন চাইছে। ২০২১ সালের বাংলা আসল পরিবর্তন চাইছে। এখানকার গরিব, মধ্যবিত্ত শান্তি চায়, স্থিরতা চায়। কোনওরকম বাধা ছাড়া কাজ করতে চায়। সুযোগ চাইছে তারা। দিদি বাংলাকে এসব দিতে অসফল। যুবকদের কর্মসংস্থান দিতে পারে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার। আজ পুরো বাংলা বলছে, বাংলার দরকার বিজেপি সরকার।  

             

  • নিজের ভাইপোর ভবিষ্যৎ বাঁচাতে বাংলার যুবকদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করেছেন। ১০ বছরের শাসনে দিদি নিজের ভাইপোকে কোথা থেকে কোথায় পৌঁছে দিয়েছেন! বাংলার যুবকদের কিচ্ছু দেননি দিদি। ওঁর ভাইপোই সব। বাংলার যুবকরা কিছু নয়! প্রতিটা অন্যায় ও অবিচারের পুরো হিসাব নেওয়া হবে। প্রতি মুহূর্তের হিসাব, পাই পাইয়ের হিসাব চাওয়া হবে। 

  • ২ মে যত কাছে আসছে, দিদি মরিয়া হয়ে উঠছেন। যে কোনওভাবে ক্ষমতায় থাকতে চাইছেন তিনি। সে কারণে সমর্থকদের উস্কানি দিচ্ছেন। একজন মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের ভাষা বলতে পারেন না। হিংসা ও অশান্তি ছড়াতে চাইছেন। পঞ্চায়েত ভোটের সময় গণতন্ত্রকে রুখেছিলে দিদির লোকেরা। সেই ষড়যন্ত্র এবারও করছেন। দিদিকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, দিদি ও দিদি...আপনার প্রতিটি ষড়যন্ত্রকে বাংলার জনতা ব্যর্থ করে দেবে। আপনার ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে বাংলার জনতা। আমার ও দিদি শুনেও রেগে গিয়েছেন। এটা রাগের বিষয়? আমাকে হোয়াটসঅ্যাপ পাঠিয়েছেন, কয়েকশো চার-পাঁচ বছরের শিশু মোবাইলে বলছেন, দিদি ও দিদি...বাংলার প্রতিটা ঘরের বাচ্চা দিদি ও দিদি বলছে। 

  • রবি ঠাকুর বলেছেনযাদের করেছ অপমান,. অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান! দিদি এটা মাথায় রাখুন। যবে থেকে নির্বাচন শুরু হয়েছে, একবারও দিদি বলেছেন, যতটা বেশি সম্ভব ভোটদান হওয়া উচিত। একবারও বলেছেন দিদি? দিদি একবারও বলেছেন, সকল মত ও সম্প্রদায় গণতন্ত্রের উৎসব। একবারও  আবেদন করেছেন, শান্তিপূর্ণ ভোটদান হওয়া উচিত? রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এটা ওঁর দায়িত্ব? তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে এটা ওঁর দায়িত্ব ছিল কিনা? শান্তিপূর্ণ ভোটের কথা একবারও বলেননি। একবারও বলেননি, যাঁরা হিংসা ছড়াবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। এটা ওঁর দায়িত্ব কিনা! বাংলার জনতা বুঝে গিয়েছে, দিদির আসল উদ্দেশ্য। দিদি জানেন, এতটা বেশি ভোটদান বিজেপির পক্ষে হচ্ছে, সে কারণে বেশি ভোটদানের বিরুদ্ধে উনি। দিদি জানেন নির্বাচনে ওঁর গুন্ডারা হিংসা ছড়াচ্ছেন। সে কারণে হিংসা যাঁরা ছড়াচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করছেন না। দিদির চোখের সামনে এসব চলছে।             

  • বাংলার দলিতদের ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট দিচ্ছেন। দলিত ভাই-বোনেদের ওঁর ঘনিষ্ঠ এমন ভাষা বলেছেন, যা কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজের নাগরিকদের নিয়ে এমনটা ভাবতে পারেন না। দিদি ও আদরণীয় দিদি... ১০ বছরের শাসনে গরিবদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন আপনি। আপনার দুর্নীতি ওদের জীবন আরও দুর্বিষহ করেছে। ফুটপাতে থাকা গরিবদের কাছে চলে যান। বাংলার গরিবদের কেনা যায় না। গরিব স্বাভিমানী। গরিব আপনার তোলাবাজ কর্মীদের মতো অন্যের কামাইয়ে বাঁচে না। যে জনতার আপনি অপমান করছেন, দিদি ও দিদি... দেওয়াল লিখন পড়ুন। এই জনতা জনার্দনই আপনার ভাগ্যের ফয়সলা করবে। জনতার প্রতিটা সিদ্ধান্ত আপনার ভালো বা খারাপ লাগলেও স্বীকার করতেই হবে। আপনাকে যেতে হবে। 

  • এত রোদে আপনারা অপেক্ষা করছেন। আপনাদের ভালোবাসা, স্নেহ আমায় শক্তি দিচ্ছে। আপনাদের স্নেহ দিদিকে খুব সমস্যায় ফেলে দিয়েছে। চার দফায় ভোটগ্রহণের পর বিজেপির জয় নিশ্চিত করেছেন আপনারা। তাতে দিদি আরও চটে গিয়েছেন। এদিকে বিজেপিকে ভোট দিচ্ছেন। ওদিকে দিদি আপনাদের গালি দিচ্ছেন। দিদি আবোল-তাবোল বকছেন। দিদি এবং তাঁর দলের স্থিতি দেখে বলা যায় বিপদকালে বুদ্ধিনাশ। সেজন্যে মোদীর সঙ্গে বাংলার এসসি, এসটি ও বাংলার ওবিসি ভাই-বোনেদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে লড়াইয়ে নেমে পড়েছেন। সাধারণ ভোটারদের বদনাম করার অভিযান শুরু করেছেন। দিদি আপনাদের সততায় প্রশ্ন তুলছেন। পাঁচশো টাকা নিয়ে এসেছেন নাকি? আপনাদের পয়সার লোভ দেখিয়ে আনা হয়েছে? আপনাদের অপমান করছেন তো? বাংলার মানুষদের অপমান করছেন দিদি।      

    COMMERCIAL BREAK
    SCROLL TO CONTINUE READING

     

    বারাসতে দিনের তৃতীয় সভায় নরেন্দ্র মোদী। শুরু করলেন ভাষণ।  

  • দিদির কুশাসন থেকে বাংলাকে মুক্তি দিতে হবে। আপনাদের একটা ভোটে কৃষকদের অ্যাকাউন্ট ১৮ হাজার টাকা জমা হবে। তার পুণ্য আপনারা পাবেন কিনা! দিল্লি বা আমদাবাদ গিয়ে গরিব মানুষ অসুস্থ হলে ৫ লক্ষ টাকার খরচ করবে দিল্লির বিজেপি সরকার। এটা সম্ভব আপনাদের একটা ভোটে। বাংলা নববর্ষে সংকল্প নিন, সব বুথে পদ্ম ফোটাবেন। মা কালীর ভূমিতে অশুভ শক্তির পরাজয় হোক। ভারত মাতা কি জয়।         

  • তৃণমূলের কাছে উন্নয়ন হল ক্যাডারদের হিত। তৃণমূলের কাছে শিল্প মাফিয়া, মানবপাচার, বোমা তৈরি, সতীমাতা পীঠের পবিত্রস্থানের জমিও ছাড়েনি। এটাই দিদির রিপোর্ট কার্ড। দিদির এই দুর্নীতির কারণে বিধানচন্দ্র রায় ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্বপ্ন সফল হয়নি। আধুনিক বাংলার মডেল করতে চেয়েছিলেন। সেটা হয়নি। কল্যাণীকে দুর্নীতি, সিন্ডিকেটের থিম করেছেন দিদি। পঞ্চায়েত ও পুরসভা হয়ে উঠেছে তৃণমূলের দফতর। হারের ভয়ে পুরভোট করাননি। এখানকার অবস্থার আমার চেয়ে বেশি আপনারা জানেন। সব কিছুর জন্যেই এখানে কাটমানি লাগে। আপনাদের ঘরে পানীয় জল আসেনি কারণ জল মাফিয়াদের চাপ। অবৈধ নির্মাণে বাধা দেওয়া হয় না। এটা শুধু কল্য়াণী নয়, গোটা রাজ্যেই এক পরিস্থিতি। ডবল ইঞ্জিনের বিজেপি সরকার স্থিতি বদলাবে। আমরা কল্যাণী শিল্পশহরকে পুনর্নির্মাণ করব। আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলব। কল্যাণী শিল্পক্ষেত্রের উন্নয়ন করা হবে। তার রোডম্যাপ রয়েছে বিজেপির ইস্তাহারে। আত্মনির্ভর ভারতের সেন্টার হবে কল্যাণী। আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। মেট্রো ও পাবলিক ট্রান্সপোর্টকে আধুনিক করেছি। কল্যাণীতেও মেট্রো চলবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের হাবের জন্য পদক্ষেপ করা হবে। আপনাদের এইমসের দাবি পূরণ হতে চলেছে। প্রথমবার এইমস পেয়েছে কল্যাণী। এইমসের সঙ্গে কল্যাণী স্টেশনকে সংযোগ করতে পারেননি দিদি। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে ৫ লক্ষ টাকার বিমা চালু করতে দেননি দিদি। গরিব মানুষ অসুস্থ হলে চিকিৎসা পাওয়া উচিত তো? 

    COMMERCIAL BREAK
    SCROLL TO CONTINUE READING

        

     

     

           

     

  • মহিলাদের উন্নয়নে দেশের বাকি অংশে যে প্রকল্পগুলি চলছে, সেগুলিতে বাধা দিয়েছেন দিদি। দিদি ও দিদি.. এটা ডিজিটাল ইন্ডিয়া। এটা একবিংশ শতকের ভারত। বিজেপি সরকারের সৌজন্যে গ্রামে গ্রামে সস্তায় মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট চলে গিয়েছে। আপনার মিথ্যা ধরে ফেলেন বাংলার মহিলারা। বাংলার মহিলারা জানেন, শৌচালয়, বিনামূল্যে গ্যাস সংযোগ, জনধন অ্যাকাউন্ট, লক্ষাধিক ঘর, মুদ্রা যোজনা, সমবেতনের অধিকার, গর্ভাবস্থায় সবেতন ২৬ সপ্তাহের ছুটি। মুসলিম বোনেদের তিন তালাকের পীড়া থেকে মুক্তি দিয়েছে। কিছুই আর গোপন নেই।    

  • এসসি, এসটিরা বিজেপিকে সমর্থন করে বলে অপমান করছেন দিদি! বাংলার আদিবাসী, ওবিসি, বনবাসীদের দিদি হুমকি দিচ্ছেন আপনি। দিদি লিখে নিন, মোদীর জন্য তাঁদের স্নেহ কখনও কমবে না। দিদি ও দিদি, আদরণীয় দিদি, আপনার সঙ্গীরা বাংলার তপশিলি জাতি উপজাতিদের অপমান করতে পারে। কিন্তু বিজেপির জন্য তাঁদের সম্মান সর্বোপরি। পরাজয় বুঝতে পেরে দিদির নতুন রণনীতি। তপশিলি জাতি-উপজাতিদের বাধা দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন। তাঁদের হয়ে ছাপ্পা ভোট দেবে তৃণমূল। প্রকাশ্যে বলছেন,কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করতে বলছেন। কোচবিহারে ছাপ্পা ভোটের মাস্টার প্ল্যানের অংশ ছিল। কান খুলে শুনুন দিদি। ভোটদাতাদের অধিকার ছিনিয়ে নিতে পারবেন না। নির্বাচনে হার-জিত থাকে। এটাই গণতন্ত্র। কিন্তু, দেশের সংবিধান, বাবা সাহেব আম্বেদকর ও হরিজন ঠাকুরের ভাবনায় আঘাত দেওয়ার অধিকার নেই আপনার। তোষণের পট্টি চোখে বেঁধে রেখেছেন আপনারা। বাংলার গরিমা ও ঐতিহ্য আপনার স্বার্থের রাজনীতির থেকে অনেক বড়। শ্রী শ্রী হরিজন ঠাকুরের কর্মভূমি বনগাঁ বেশি দূর নয়। কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ গিয়েছিল ওড়াকান্দির পবিত্রভূমিতে চরণস্পর্শ করার সৌভাগ্য পেয়েছি। সেখানে মতুয়া সমাজের এক বন্ধু বললেন, আমিই ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেখানে গিয়েছি। আমি তাঁকে বলেছি, হরিজন ঠাকুরের ইচ্ছা ছাড়া এটা হতে পারে না। এ তো আমার সৌভাগ্য যে তাঁদের দর্শনের সুযোগ পেয়েছি। দলিত, শোষিত ও বঞ্চিতদের সম্মানের জীবন দিয়েছেন তাঁরা। আপনাদের সেবার জন্য ওড়াকান্দি থেকে নতুন প্রেরণা নিয়ে এসেছি। কিন্তু অবাক হয়ে যাচ্ছি, আমার ওড়াকান্দি সফর পছন্দ করছেন না দিদি। ওড়াকান্দি গিয়ে ভুল করেছি? হরিজন ঠাকুরের ভূমিতে গিয়ে ভুল করেছি? সেখানকার মাটি মাথায় লাগানো ভুল ছিল কি? কিন্তু দিদি এখানেও প্রশ্ন তুলছেন। ১০ বছর ধরে বাংলার শোষিত, বঞ্চিতদের জন্য আপনি কিছু করেননি। মতুয়া বা নমশূদ্রদের জন্য কিচ্ছু করেননি। একপ্রকার আপনি এদের অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দিয়েছেন। আপনার তোষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এরা। এসসি সার্টিফিকেটের জন্যেও কাটমানি দিতে হয়েছে। এটা আপনার কাছে প্রত্যাশা ছিল না দিদির। ভারত মায়ের উপরে আস্থা রাখা সমস্ত শরণার্থীদের সব সুবিধা দেওয়া হবে। মতুয়া ও নমশূদ্রদের ন্যায়বিচার আমাদের আবেগের সঙ্গে জড়িত। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের চেষ্টায় এই জায়গা ভারতের কাছে রয়েছে।     

    COMMERCIAL BREAK
    SCROLL TO CONTINUE READING

     

       

     

     

          

  • দিদি অহংকারী হয়ে গিয়েছেন। সব খেলা উনিই শুরু করেন। শেষও উনি করেন। তাই উনি বলছেন, খেলা হবে। কিন্তু, দিদি ও দিদি... আদরণীয় দিদি... এটা ভুলবেন না এটা গণতন্ত্র। এটা জনতা-জনার্দন ঈশ্বরের রূপ। এখানে খেলাও জনতাই শুরু করেন। খেলা শেষও জনতা-জনার্দনই করে। আজকের বাংলার সত্যি এটাই, খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে দিদি। অর্ধেক নির্বাচনে তৃণমূল পুরো সাফ। দুদিন পরে বাংলা নববর্ষ। পয়লা বৈশাখ থেকে বাংলার ক্ষমতা থেকে দিদির বিদায়ের কাউন্টডাউন শুরু হচ্ছে। ২ মে দিদি যাচ্ছে। বিজেপি আসছে।      

  • কয়েকদিন ধরে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে গিয়েছি। সব জায়গায় বিজেপিকে নিয়ে উৎসাহ, সংকল্প দেখেছি। এবার বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা নতুন ইতিহাস তৈরি করতে চলেছে। আসল পরিবর্তন চলছে ভোটদান। আসল পরিবর্তন মানে বাংলার উন্নয়ন। আসল পরিবর্তন মানে দিদির কুশাসন থেকে মুক্তি। দিদির সিন্ডিকেট থেকে মুক্তি। বাংলার মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, বড় ব্যবধানে জিতছে কল্যাণী। শিল্প, শ্রম, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সংস্কার- সব ক্ষেত্রেই প্রেরণা দিয়েছে কল্য়াণী। দিদি ১০ বছর যেভাবে বাংলায় সরকার চালিয়েছেন, সব ঐতিহ্যের অপমান করেছেন। নিজেদের রাজনৈতিক হিতে বাংলার মানুষের হত্যা করেছেন। সুকুমার রায় বলেছিলেন,'চলছে যা জুয়াচুরি, নাহি তার তুলনা!'          

    COMMERCIAL BREAK
    SCROLL TO CONTINUE READING

     

    কল্যাণীতে দ্বিতীয় সভায় নরেন্দ্র মোদী। শুরু করলেন ভাষণ।  

  • বাংলার উন্নয়নের জন্য ভয়মুক্ত হয়ে পদ্মে ছাপ দিন। মা-বোনেদের আশীর্বাদে বাংলার নববর্ষে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করুক, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। ভারত মাতা কি জয়। বন্দে মাতরম। 

     

  • দিদি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। কলিতা মাঝি বসে রয়েছেন। তিনি বিজেপির প্রার্থী। তবে বাংলা মা-বোনেদের আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। পশ্চিম বাংলার মহিলারা নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে চান। তাই সুরক্ষা চাই। শিল্প চাই। বিজেপির সংবেদনশীল সরকারই এটা দিতে পারে। ডবল ইঞ্জিন সরকার, ডবল উন্নয়নের সরকার চাই। 

  • ২ মে দিদি যাবেন। দিদির সরকার যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি লাগু হবে। প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই সিদ্ধান্ত। ১৮ হাজার টাকা আটকে রেখেছেন দিদি। পুরো টাকা পেয়ে যাবেন কৃষকরা। সব ঘরে পাইপের মাধ্যমে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যকে টাকা পাঠানো হয়েছিল। অথচ সেই টাকা খরচ হয়নি। আপনার শিশুরা আর্সেনিকযুক্ত জল খেয়েছেন। দিদি কি আপনাদের সমস্যার সমাধান করেছেন? পাইপের মাধ্যমে পৌঁছবে শুদ্ধ জল। গোটা জলপ্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হবে গ্রামের মহিলাদের।       

  • কত মায়ের কোল খালি করেছে তৃণমূল! নির্বাচনের মাঝে সোমা মজুমদারকে হারিয়েছে। তাঁকে নৃশংসভাবে মারধর করেছিল তৃণমূলের গুন্ডারা। কোন মায়ের সম্মানের কথা বলেছেন দিদি! পুনিয়া জেলায় এক মা ও ছেলের চিতা একসঙ্গে জ্বালানো হয়েছে। দুদিন আগে নিজের কর্তব্য পালন করতে বাংলায় এসেছিলেন ওই জওয়ান। এখানে পিটিয়ে ওই পুলিস অফিসারকে হত্যা করা হয়েছিল। নিজের সন্তানের মৃতদেহ দেখার পর মায়ের মৃত্যু হল। আপনি এতটা কঠোর, এতটা নির্মম দিদি! দিদির দুর্নীতির শিকার পূর্ব মেদিনীপুরের কৃষকরা। বাবা আম্বেডকর ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায়ের ইচ্ছায় দামোদর ভ্যালি প্রকল্প হয়েছিল। বর্ধমানে শিল্পের স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁরা। ধানের বাটি বর্ধমান আজ বঞ্চিত। আলু, ধান কৃষকদের অবস্থা দাম। হিমঘর নেই। মান্ডি নেই। ফসলের দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। চাষ, হিমঘর থেকে কামাচ্ছে সিন্ডিকেটবাজরা। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, পরিস্থিতির বদল হবে। গরিব কৃষকরাও যেন হিমঘরের সুবিধা পান, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এখানে ফসল বিমা যোজনার লাভ পাবেন কৃষকরা। কৃষকদের সৌরপাম্প, কিষান ক্রেডিট কার্ড যোজনার মতো প্রকল্প লাগু করতে চলেছে বাংলার সরকার। প্রধানমন্ত্রী কৃষি সম্মান আটকে দিয়েছেন দিদি। কৃষকদের সঙ্গে আপনার কেন শত্রুতা? মোদী সরকার সরাসরি টাকা পাঠাতে চাইলে আপনার সমস্যা কেন? আপনি কেন এমনটা করছেন দিদি?   

  • এই ১০ বছরে বাংলার মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা নিয়ে চর্চা হয়নি। বাংলার কুশাসন নিয়ে বেশি আলোচনা হয়নি। সরকারের কাজ লোকেদের ভালো করা। কিন্তু বাংলায় দিদি ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা গরিবদের লুঠেছে। পুলিসকে পার্টির কাজে লাগিয়েছেন দিদি। সিন্ডিকেট, তোলাবাজির কাজে লাগিয়েছেন। বাংলার মানুষকে লুঠে দিদির ঘনিষ্ঠরা বড় বড় ঘর তৈরি করেছেন। বাংলার লোকেদের লুঠতে দেব না। বাংলার বিজেপি সরকার আসল পরিবর্তন নিয়ে আসবে। সরকারি প্রকল্পের সবটা পাবেন গরিব মানুষ। কলকাতা ও দিল্লি থেকে আসা ১ টাকাও পৌঁছবে গরিবদের কাছে। প্রশাসন ও পুলিস নিজেদের কাজ করবে। তোলাবাজ ও সিন্ডিকেটের চাপ সরে যাবে। ডবল ইঞ্জিনের শক্তির সঙ্গে ডবল মেহনত করবে কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকার।

  • মা-মাটি-মানুষ আর বলেন না দিদি। খালি মোদী, মোদী, মোদী করেন। 

  • দিদি ও দিদি... কী হয়ে গেল আপনার! দিদির ঘনিষ্ঠরা বলতে শুরু করেছেন, বিজেপিকে যাঁরা ভোট দিয়েছেন,বাইরে ফেলে দেবেন। আপনারা এই ধরনের ভাষা, অহংকার মেনে নেবেন? অবস্থা এমন হয়েছে যে দিদি এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে কর্মীদের উস্কানি দিচ্ছেন। আদরণীয় দিদি, ও দিদি আপনাকে রাগ দেখাতে হলে আমার উপরে দেখান। আমাকে গালি দিন। ও দিদি... বাংলার গরিমা ও গৌরবকে অপমান করবেন না। আপনার অহংকার বাংলা বরদাস্ত করবে না। আপনার তোলাবাজি, সিন্ডিকেট ও কাটমানি ব্যবস্থাকে বাংলা বরদাস্ত করবে না। আর তাই বাংলা আজ সোনার বাংলার সংকল্পের সঙ্গে রয়েছে। দিদির কুশাসন চায় না বাংলা। আসল পরিবর্তন চায় বাংলা। বাংলা চায় না, তৃণমূলের দুঃশাসন। বাংলা চায় না, দিদি-ভাইপোর হিংসার খেলা। বাংলা চায় আসল পরিবর্তন। বাংলা চায় উন্নয়ন, শিক্ষা, শিল্প, কর্মসংস্থান, নারীসুরক্ষা, কৃষক সম্মান, ভয়মুক্ত পরিবেশ। বাংলা চায় বিজেপি সরকার। 

  • তপশিলি জাতি-উপজাতির লোকেদের গালিগালাজ করছেন দিদির লোকেরা। তাঁদের ভিখারি বলছেন। বাবা সাহেব আম্বেদকরের আত্মা কতটা কষ্ট পেয়েছেন! বাবা সাহেব আম্বেদকরের অপমান করেছে দিদির লোকেরা। কেউ ভাবতে পারেনি, বাংলার ভূমিতে এমনটা বলা হতে পারে! কোনও ব্যক্তি এমন ভাষা বলতে পারেন, এটা কল্পনাতীত। দিদি নিজেকে রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলেন। তপশিলি জাতি-উপজাতির লোকেদের বিরুদ্ধে দিদির ইচ্ছা ছাড়া এটা কেউ পারেন না। দিদির মর্জি ছাড়া তৃণমূলের কোনও নেতা বলতে পারেন না। এখনও পর্যন্ত দিদি বিরোধ করেননি। ক্ষমাও চাননি। এটাই নয়! দিদির সমর্থনকারী দলগুলিও দলিত অপমান নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একটাও কথা বলেননি। দলিতদের অপমান করে আপনি ভালো করেননি দিদি। পাপ করেছেন আপনি। রাজা রামমোহন রায় জাতিপ্রথার বিরুদ্ধে গোটা দেশে আন্দোলন করেছিলেন। দেশকে দিশা দেখিয়েছিলেন। তাঁর বাংলায় দলিতদের এমন অপমান! হরিজন ঠাকুর জাতিপ্রথার বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তার বাংলায় দলিতদের এমন অপমান করেছেন! রামকৃষ্ণ পরমহংস সব জীবে ঈশ্বরকে দেখেছেন, তাঁর বাংলায় দলিতদের অপমান করেছেন। ঈশ্বরচন্দ্র, রানি রাসমনির বাংলায় দলিতদের অপমান করেছেন। দলিতদের অপমান করে ভুল করেছেন আপনি। 

  • দিদি ভেবেছিলেন দলের অধিনায়কত্ব ভাইপোকে দেবেন, এই খেলা জনতা বুঝে গিয়েছে। তাই দিদির সব খেলা শেষ। এখান থেকে কংগ্রেস গিয়েছিল আর ফেরেনি। বামেরাও ফিরবে না। দিদি আপনি গেলেও আর ফিরবেন না।       

  • বটুকেশ্বর দত্ত ও রাসবিহারী বোসের এই ভূমিকে প্রণাম করছি। বর্ধমানের দুটি জিনিস প্রসিদ্ধ। একটা চাল আর একটা মিহিদানা। বর্ধমানের মিহিদানা কি দিদি পছন্দ করেন না? এত তিক্ততা কোথা থেকে আনেন? বাংলায় ৪ রাউন্ড নির্বাচনে তৃণমূলকে সাফ করে দিয়েছেন। সেঞ্চুরি হয়ে গিয়েছে। যারা খেলা করার ভাবনায় ছিলেন, তাদের সঙ্গেই খেলা হয়ে গিয়েছে। নন্দীগ্রামে দিদির ইনিংস শেষ। 

    বর্ধমানে নরেন্দ্র মোদীর সভা। বক্তব্য রাখতে শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী। 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link