Live: মতুয়ারা সবাই নাগরিক, বাংলায় NRC হতে দেব না : Ranaghat-এ Mamata
Latest Updates
মা-বোনেরা রেডি থাকবেন। নির্বাচনে বিজেপি তাণ্ডব করলে, মা-বোনেরা হাতা-খুন্তি নিয়ে উঠে আসবেন। বঙ্গজননীরা গর্জে উঠুন। ছাত্র-যৌবন বিজেপির চক্রান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠুন। বাংলাকে দখল করতে আমরা দেব না: মুখ্যমন্ত্রী
বক্তব্য শেষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আমাকে একটু একটু ভয় পায়। কারণ আমি মাথা বিক্রি করি না। আমি মরে যাব। বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে মাথা দেব, তবু বাংলাকে বেচতে দেব না। বাংলার মানুষকে বেচতে দেব না। : মুখ্যমন্ত্রী
এই বিজেপি থাকলে আবার ছিয়াত্তরের মন্বন্তর দেখা যাবে। তাই কৃষকদের এই আন্দোলনকে আমরা সমর্থন করছি: মুখ্যমন্ত্রী
ভোটের সময় অনেকে বাইরে থেকে এসে টাকা দেবে। বাইরে থেকে এসে কুত্সা রটাবে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বাংলাও জানে। জিজ্ঞেস করুন, কী দিয়েছে ওরা? ৫০০০ টাকা দিয়ে ভোট কিনবে? তবে টাকা দিলে টাকা একদম নিয়ে নেবেন। ওটা জনগণের টাকা। ওরা নাকি সোনার বাংলা গড়বে! কী সোনার বাংলা তৈরি করবে জিজ্ঞেস করুন: মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রীর সভার মাঝপথেই লোক বেরতে শুরু করে। অনিচ্ছুকদের ছেড়ে দিতে অনুরোধ। বাইরে অনেকে অপেক্ষমান বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
উদ্বাস্তুদের নিয়ে এতদিন কেউ কিছু করেনি। উদ্বাস্তু কলোনিগুলিকে জমির দলিল দেব আমরা। যে যেখানে যেমনভাবে আছেন, সেইভাবেই পাট্টা পাবেন। ৯৬টি কলোনি ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছেন। নদিয়ায় ৫০০০ ডিড দেওয়া হচ্ছে। : মুখ্যমন্ত্রী
আমিও যাই, কিন্তু যাওয়া নিয়ে নাটক করি না। যে অবস্থায় আছি, সেই অবস্থাতেই যাই। ধুলো অবস্থায় যাই। কিন্তু এরা সেজেগুজে একেবারে ফাইভ স্টার হোটেলের খাবার নিয়ে যায়! একটা হিমালয়ান জলের বোতলের দাম কত? দেখছেন খাচ্ছে, আর পাশে হিমালয়ান বোতল! আর আমি যে জল খেলাম, সেটা আপনাদের এখানেই হয় 'প্রাণধারা', দাম ৬ টাকা। এত সোজা নয়! রাস্তার ধুলোতে নামতে হয়! কিন্তু রাস্তার ধুলো এদের গায়ে লাগে না। এরা মিথ্যে কথা বলে। মিথ্যে কথার অমাবস্যা! : মুখ্যমন্ত্রী
ট্রাম্পের সঙ্গে বিজেপির তুলনা মুখ্যমন্ত্রীর। হেরে গেলেও বলবে আমরা জিতেছি! কোনও পার্থক্য নাই! বললেন মুখ্যমন্ত্রী
আমরা সবাইকে ভালোবাসি। মতুয়া সম্প্রদায়ের জন্য বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। ১০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। নমঃশূদ্র, রাজবংশী, কামতাপুরী বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। সাঁওতালিভাষী, হিন্দিভাষীদের জন্যও করা হয়েছে বোর্ড। : মুখ্যমন্ত্রী
এই জানুয়ারিতে আরও ২০ লক্ষ সাইকেল দেওয়া হবে। ক্লাস নাইনে যারা পড়ে, তাদের দেওয়া হবে। যাঁরা দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে তাঁদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দেবে সরকার। ট্যাব কেনার জন্য। কেনার পর রসিদ স্কুলে দিতে হবে। আমি কিনে দিতে পারতাম। কিন্তু বাজারে ১২ লাখ ট্যাব পাওয়া যাচ্ছে না। : মুখ্যমন্ত্রী
মতুয়ারা কত সাল থেকে বাংলায় আছেন? কেউ ৫০, কেউ ৫২, কেউ ৭০ সাল থেকে। কেউ কেউ তারও আগে থেকে, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকে। তারা তো এমনিই নাগরিক। তুমি আবার কী নাগরিকত্বের মোয়া খাওয়াবে? মতুয়াদের ভুল বোঝাচ্ছে বিজেপি। ওদের কথা শুনে একবার অ্যাপ্লাই করবে, তারপর বিদেশি হয়ে যাবে! মতুয়া ভাইবোনেরা সবাই নাগরিক। নমঃশূদ্র ভাইবোনেরা সবাই নাগরিক। কে কার নাগরিকত্ব কাড়তে পারে? এত সহজ? বাংলায় NRC করতে দেব না। NPR করতে দেব না। মানুষের অধিকার কাড়তে দেব না। নিশ্চিন্তে ঘুমোন মায়ের কোলে। নাগরিক আমরা সবাই। আমাদের নাগরিকত্ব কে কাড়বে? : মুখ্যমন্ত্রী
তৃণমূলে গেলে কালো, আর বিজেপিতে গেলে ভালো! তৃণমূলে গেলে ঘষটা সাবান, আর বিজেপিতে গেলে সানলাইট ওয়াশিং পাউডার! : মুখ্যমন্ত্রী
মিথ্যে কথা বলার কোনও জুড়িদার নেই। ভোট এলেই বলবে, সবার চাকরি, সবার নাগরিকত্ব করে দেব, আর ভোট চলে গেলেই ডুগডুগি বাজাবে : মুখ্যমন্ত্রী
তফশিলি, নমঃশূদ্র, মতুয়া ভাইবোনেরা এখানে থাকেন। এখানে সত্যজিত বিশ্বাস, আমাদের বিধায়ক খুন হন। তাঁর বৌকে আমরা জেতাতে পারিনি। জিতল একজন মহামানব! তাঁর কুকীর্তি তো আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন, আমি মুখে বলতে পারব না : মুখ্যমন্ত্রী
আগে এলাকায় কোনও কাজ হত না, শুধু ভোট পলিটিক্স হত। এখন নদিয়ায় এমন কোনও জায়গা নেই, যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া নেই। দিনের পর দিন লোডশেডিং। অন্ধকারে পড়াশোনা হত না। হাসপাতালে অপারেশন হত না। আজকে যাঁরা জন্মাচ্ছে, তাঁরা জানেও না লোডশেডিং বলে বস্তুটা কী! : মুখ্যমন্ত্রী
মতুয়া পাড়ায় মমতার সভা। রানাঘাটের হবিবপুরে মমতার জনসভা। নজরে মতুয়া ভোট।